সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় নাগরৌহা মাঠে প্রায় দেড়শো বিঘা জমিতে জলাবদ্ধতায় সরিষা ফসলের আবাদ করা যাবে না এমন ধারণা করছেন এলাকার কৃষকেরা। সরিষা আবাদ নিয়ে দুঃচিন্তায় রয়েছেন চাষিরা। সহজ পথে পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা না থাকায় এমন জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে।
নাগরৌহা দক্ষিণ চড়া ( জলিয়া বিল , সুলফি গাড়িয়া, লালি চড়া ) মাঠসহ পাশাপাশি ছয়টি মৌজার মাঠের পানি আগে সহজেই নিষ্কাশন হয়ে যেতো। কচুয়া নদী থেকে চরপাড়া মাঠ অবধি ব্যাক্তি উদ্যোগে একটি খাল করা ছিলো। বর্ষা মৌসুমে অতি সহজেই খালটি হয়ে নাগরৌহা মাঠসহ আশেপাশের মাঠগুলোয় পানি ঢুকতো। আবার মৌসুম শেষে সহজেই পানি বের হয়ে যেতো। নাগরৌহা দক্ষিণ চড়ার শত শত বিঘা জমিতে বছরে সরিষা ও বোরো ( ইরি )ধান ফসলের আবাদ করা গেছে। গত বছর তিনেক আগে ব্যক্তি উদ্যোগের খালটি ভরাট করায় এখন পানি নিষ্কাশনের একমাত্র সহজ পথ বন্ধ হয়ে গেছে।
সরেজমিনে নাগরৌহা দক্ষিণ চড়া মাঠে গিয়ে দেখা গেছে সুলফি গাড়িয়া , লালি চড়া মাঠ জুড়ে পানি জমে আছে। এলাকার কৃষকেরা জানান একে তো বন্যার পানি নিষ্কাশনের সহজ পথ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। আর এবারে বন্যার পানি সহজে মাঠ থেকে শুকাচ্ছে না। এদিকে সরিষা ফসল আবাদের মৌসুম চলছে। কৃষক আঃ কাদের , আঃ ছাত্তারসহ আরো ক’জন বলেন ব্যক্তি উদ্যোগের খালটি ভরাটের পর থেকেই এমন জলাবদ্ধতার সমস্যা দেখা দিচ্ছে। আগের খাল এলাকায় মাটির নীচে পাইপ বসিয়ে কিংবা ড্রেন নির্মাণের মাধ্যমে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা নেওয়া হলে জলাবদ্ধতা হবে না।
উল্লাপাড়া বিএডিসি সেচ বিভাগের সহকারী প্রকৌশলী জাহিদ হাসান বলেন তিনি সরেজমিনে দেখে পানাসি প্রকল্পে সহজেই পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা নেবেন । যাতে করে আর জলাবদ্ধতা না হয়।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সূবর্ণা ইয়াসমিন সুমী বলেন মাঠটির জলাবদ্ধতার কারণে সরিষা ফসলের আবাদ করা না গেলে জমি মালিক কৃষকদের কিছুটা হলেও ক্ষতি হবে। উল্লাপাড়া বিএডিসি সেচ বিভাগ থেকে এর সমাধানে জরুরী উদ্যোগ নেওয়ার বিষয় জানান।
বার্তাকণ্ঠ/এন