শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

ক্ষেতলালে ঐতিহ্যবাহী জামাই মেলা অনুষ্ঠিত, মেলার প্রধান আকর্ষণ লাঠিখেলা

জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল উপজেলার আয়মাপুর গ্রামে প্রতি বছরের মতো এবারো অনুষ্ঠিত হয়েছে ঐতিহ্যবাহী গ্রামীণ জামাই মেলা।
জানা গেছে, প্রায় কয়েকশত বছর ধরে উপজেলার আয়মাপুর গ্রামে প্রতি বছর কার্তিক মাসের শেষ শনিবার ফসল ঘরে তোলার আনন্দে মেয়ে ও জামাইদের উদ্দেশে এ মেলার আয়োজন করা হয়। মেলা উপলক্ষে গ্রামের সব জামাইরা শ্বশুর বাড়িতে দাওয়াত পেয়ে থাকেন। এ কারণেই স্থানীয়দের কাছে এটি জামাই মেলা হিসেবে পরিচিত। তবে এখন আর এ মেলাটি শুধু মেয়ে-জামাইয়ের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই এটি পরিণত হয়েছে সকল শ্রেণি পেশার মানুষের মিলন মেলায়। পরিবারের অন্যান্য আত্নীয়-স্বজন ও বন্ধু বান্ধবসহ আশেপাশের বিভিন্ন গ্রামের নানা বয়সী লোকজনও এখন অংশ নেন এই মেলায়।
১২ (নভেম্বর) শনিবার দিনভর মেলাকে ঘিরে আশেপাশের দশ গ্রামের শিশু থেকে শুরু করে নানা বয়সী মানুষের পদচারনায় মুখরিত ছিল গ্রামটি। গ্রামীণ এ মেলায় শিশুদের বিনোদনের জন্য নাগরদোলা, চরকীদোলাসহ নিত্য প্রয়োজনীয় তৈজষপত্র ও আসবাবাপত্র ছাড়াও শিশুদের খেলনা, কসমেটিক্স, রকমারী স্বাদের মিঠাই- মিষ্টান্নের দোকান বসে। মেয়ে-জামাই, জা-ননদ, শ্বশুর-শাশুড়িসহ এ গ্রামে আসা সকল অতিথিদের বিশেষ বিনোদন দিতে আয়োজন করা হয় লাঠি খেলার। বাদ্য-বাজনার তালে তালে লাঠিয়ালরা দেখান তাদের লাঠি খেলার মনোমুগ্ধকর কশরত।
আয়মাপুর গ্রামের বাসিন্দা দেলোয়ার হোসেন সহ বেশ কয়েকজন জানান, আমাদের গ্রামে প্রায় কয়েকশত বছর ধরে তালুকদার পরিবার কর্তৃক পরিচালিত হয়ে আসছে এই পাখিতলার মেলা। কিন্তু বর্তমানে এই মেলার নামকরণ হয়েছে জামাই মেলা। মেলা আসলে গ্রামের সকল মেয়ে জামাই কে দাওয়াত করে কাপড় দেওয়া হয়। এছাড়াও এ মেলার প্রধান আকর্ষণ লাঠিখেলা।
মেলা কমিটির সভাপতি মোফাজ্জল হোসেন জানান, আমাদের বাপ, দাদার আমল হতে এই মেলা পরিচালিত হয়ে আসতেছে। দিন ব্যাপী এ মেলায় আগে মঞ্চ নাটক ও নানা বিনোদনের  ব্যবস্থা ছিল। কিন্তু বর্তমানে সময়ে আর সেসব হয় না। তবে এখন মেলার প্রধান আকর্ষণ লাঠিখেলা।   মেলায় আগত দর্শনার্থীরা প্রতি বছর মন ভরে এ মেলা উপভোগ করেন।
বার্তাকণ্ঠ/এন

রাজনীতিতে নাম লেখাতে যাচ্ছেন সানিয়া মির্জা

ক্ষেতলালে ঐতিহ্যবাহী জামাই মেলা অনুষ্ঠিত, মেলার প্রধান আকর্ষণ লাঠিখেলা

প্রকাশের সময় : ০৬:০৮:১৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ১২ নভেম্বর ২০২২
জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল উপজেলার আয়মাপুর গ্রামে প্রতি বছরের মতো এবারো অনুষ্ঠিত হয়েছে ঐতিহ্যবাহী গ্রামীণ জামাই মেলা।
জানা গেছে, প্রায় কয়েকশত বছর ধরে উপজেলার আয়মাপুর গ্রামে প্রতি বছর কার্তিক মাসের শেষ শনিবার ফসল ঘরে তোলার আনন্দে মেয়ে ও জামাইদের উদ্দেশে এ মেলার আয়োজন করা হয়। মেলা উপলক্ষে গ্রামের সব জামাইরা শ্বশুর বাড়িতে দাওয়াত পেয়ে থাকেন। এ কারণেই স্থানীয়দের কাছে এটি জামাই মেলা হিসেবে পরিচিত। তবে এখন আর এ মেলাটি শুধু মেয়ে-জামাইয়ের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই এটি পরিণত হয়েছে সকল শ্রেণি পেশার মানুষের মিলন মেলায়। পরিবারের অন্যান্য আত্নীয়-স্বজন ও বন্ধু বান্ধবসহ আশেপাশের বিভিন্ন গ্রামের নানা বয়সী লোকজনও এখন অংশ নেন এই মেলায়।
১২ (নভেম্বর) শনিবার দিনভর মেলাকে ঘিরে আশেপাশের দশ গ্রামের শিশু থেকে শুরু করে নানা বয়সী মানুষের পদচারনায় মুখরিত ছিল গ্রামটি। গ্রামীণ এ মেলায় শিশুদের বিনোদনের জন্য নাগরদোলা, চরকীদোলাসহ নিত্য প্রয়োজনীয় তৈজষপত্র ও আসবাবাপত্র ছাড়াও শিশুদের খেলনা, কসমেটিক্স, রকমারী স্বাদের মিঠাই- মিষ্টান্নের দোকান বসে। মেয়ে-জামাই, জা-ননদ, শ্বশুর-শাশুড়িসহ এ গ্রামে আসা সকল অতিথিদের বিশেষ বিনোদন দিতে আয়োজন করা হয় লাঠি খেলার। বাদ্য-বাজনার তালে তালে লাঠিয়ালরা দেখান তাদের লাঠি খেলার মনোমুগ্ধকর কশরত।
আয়মাপুর গ্রামের বাসিন্দা দেলোয়ার হোসেন সহ বেশ কয়েকজন জানান, আমাদের গ্রামে প্রায় কয়েকশত বছর ধরে তালুকদার পরিবার কর্তৃক পরিচালিত হয়ে আসছে এই পাখিতলার মেলা। কিন্তু বর্তমানে এই মেলার নামকরণ হয়েছে জামাই মেলা। মেলা আসলে গ্রামের সকল মেয়ে জামাই কে দাওয়াত করে কাপড় দেওয়া হয়। এছাড়াও এ মেলার প্রধান আকর্ষণ লাঠিখেলা।
মেলা কমিটির সভাপতি মোফাজ্জল হোসেন জানান, আমাদের বাপ, দাদার আমল হতে এই মেলা পরিচালিত হয়ে আসতেছে। দিন ব্যাপী এ মেলায় আগে মঞ্চ নাটক ও নানা বিনোদনের  ব্যবস্থা ছিল। কিন্তু বর্তমানে সময়ে আর সেসব হয় না। তবে এখন মেলার প্রধান আকর্ষণ লাঠিখেলা।   মেলায় আগত দর্শনার্থীরা প্রতি বছর মন ভরে এ মেলা উপভোগ করেন।
বার্তাকণ্ঠ/এন