মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ইবি প্রকৌশলীর অডিও ফাঁস, অফিসে ভাঙচুর, স্মারকলিপি প্রদান

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের তত্বাবধায়ক প্রকৌশলীর সাথে অজ্ঞাত এক ছাত্রীর কথোপকথন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। গত ১৫ নভেম্বর অডিও ফাঁস হলেও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়নি বিশ^বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ও সংশ্লিষ্ট অফিস। ফলে আজ শনিবার অভিযুক্ত টুটুলের বিচার দাবিতে প্রধান প্রকৌশলীর অফিস ভাংচুর, অফিসের প্রধান ফটকে তালাসহ উপাচার্য বরারব স্মারকলিপি দিয়েছে শিক্ষার্থীরা। এসময় এক ঘন্টা অফিসে অবরুদ্ধ অবস্থায় থাকতে হয়েছে প্রধান প্রকৌশলীকে। পরে উপাচার্যের আশ^াসে শিক্ষার্থীরা তালা খুলে দিয়েছেন। আজ শনিবার (১৯ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বেলা ১২ টা পর্যন্ত এ ঘটনা ঘটে।

জানা যায়, গত মঙ্গলবার ‘ইবির নিউজ’ নামে ফেসবুক আইডি থেকে প্রকৌশলী টুটুলের ৬ মিনিট ২১ সেকেন্ডের একটি অডিও ক্লিপ ফাঁস হয়। যা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সমালোচনার ঝড় উঠে। অডিও ফাঁসের তিনদিন পেরুলেও কর্তৃপক্ষ অভিযুক্ত টুটুলের বিরুদ্ধে কোনরকম ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। ফলে শিক্ষার্থীরা ক্ষুদ্ধ হয়ে আজ সকাল সাড়ে ১০টার দিকে প্রকৌশল ভবনের সামনে অবস্থান নেয়। কিছুক্ষণ অবস্থান করে প্রধান প্রকৌশলীর অফিসে গিয়ে অভিযুক্ত টুটুলের বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানায়। বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন বললে শিক্ষার্থীরা উত্তেজিত হয়ে প্রধান প্রকৌশলীর অফিস ভাংচুর করে। পরে তাকে রুমের মধ্যে রেখেই অফিসের নিচে তালা লাগিয়ে দেয় শিক্ষার্থীরা। এসময় ১ ঘন্টা অবরুদ্ধ অবস্থায় থাকতে হয়েছে তাকে। পরে একই দাবিতে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে প্রশাসন ভবনের সামনে অবস্থান নেয়। কিছুক্ষণ অবস্থান করে দুই সদস্যের প্রতিনিধি দল উপাচার্যের কাছে স্মারকলিপি দেয়। এসময় অভিযুক্ত টুটুলের স্থায়ী বহিস্কার দাবি করেছে তারা।

স্মারকলিপিতে তারা বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে টুটুলের ৬ মিনিট ২১ সেকেন্ডের আপত্তিকর অডিও ক্লিপ ফাঁস হয় যা বিশ^বিদ্যালয়ের বর্তমান ও সাবেক শিক্ষার্থীদের বিব্রত করছে এবং একইসাথে বিশ^বিদ্যালয়ের সুনাম বিনষ্ট করছে। এছাড়া এর আগেও ২০১৩ সালে কুষ্টিয়ার এক শিক্ষক কর্তৃক ছাত্রীদের গোপন ভিডিও ধারণের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে মামলা হলে তিনি গ্রেফতার হন ও তাকে বিশ^বিদ্যালয় থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়।

এ বিষয়ে প্রধান প্রকৌশলী মুন্সী সহিদ উদ্দীন মো. তারেক বলেন, প্রায় ২৫-৩০জন শিক্ষার্থী আমার অফিসে এসে দ্রæত সময়ের মধ্যে আমাকে প্রকৌশলী টুটুলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বলে। একপর্যায়ে তারা ক্ষুব্ধ হয়ে আলমারির কাচ ভাঙচুর করে ও দরজায় লাথি মারে। এসময় তারা ভবনের প্রধান ফটকে তালা দেয়। এতে আমি প্রায় ১ঘণ্টা অবরুদ্ধ হয়ে পড়ি। পরে আমি বিষয়টি প্রশাসনকে অবহিত করলে শিক্ষার্থীরা এসে তালা খুলে দেয়।

এ বিষয়ে প্রক্টর অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ঘটনার বিস্তারিত বিবরণসহ প্রকৌশল অফিসকে অভিযোগ দিতে বলা হয়েছে। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

জনপ্রিয়

ইবি প্রকৌশলীর অডিও ফাঁস, অফিসে ভাঙচুর, স্মারকলিপি প্রদান

প্রকাশের সময় : ০৯:৩৪:১৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ নভেম্বর ২০২২

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের তত্বাবধায়ক প্রকৌশলীর সাথে অজ্ঞাত এক ছাত্রীর কথোপকথন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। গত ১৫ নভেম্বর অডিও ফাঁস হলেও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়নি বিশ^বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ও সংশ্লিষ্ট অফিস। ফলে আজ শনিবার অভিযুক্ত টুটুলের বিচার দাবিতে প্রধান প্রকৌশলীর অফিস ভাংচুর, অফিসের প্রধান ফটকে তালাসহ উপাচার্য বরারব স্মারকলিপি দিয়েছে শিক্ষার্থীরা। এসময় এক ঘন্টা অফিসে অবরুদ্ধ অবস্থায় থাকতে হয়েছে প্রধান প্রকৌশলীকে। পরে উপাচার্যের আশ^াসে শিক্ষার্থীরা তালা খুলে দিয়েছেন। আজ শনিবার (১৯ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বেলা ১২ টা পর্যন্ত এ ঘটনা ঘটে।

জানা যায়, গত মঙ্গলবার ‘ইবির নিউজ’ নামে ফেসবুক আইডি থেকে প্রকৌশলী টুটুলের ৬ মিনিট ২১ সেকেন্ডের একটি অডিও ক্লিপ ফাঁস হয়। যা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সমালোচনার ঝড় উঠে। অডিও ফাঁসের তিনদিন পেরুলেও কর্তৃপক্ষ অভিযুক্ত টুটুলের বিরুদ্ধে কোনরকম ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। ফলে শিক্ষার্থীরা ক্ষুদ্ধ হয়ে আজ সকাল সাড়ে ১০টার দিকে প্রকৌশল ভবনের সামনে অবস্থান নেয়। কিছুক্ষণ অবস্থান করে প্রধান প্রকৌশলীর অফিসে গিয়ে অভিযুক্ত টুটুলের বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানায়। বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন বললে শিক্ষার্থীরা উত্তেজিত হয়ে প্রধান প্রকৌশলীর অফিস ভাংচুর করে। পরে তাকে রুমের মধ্যে রেখেই অফিসের নিচে তালা লাগিয়ে দেয় শিক্ষার্থীরা। এসময় ১ ঘন্টা অবরুদ্ধ অবস্থায় থাকতে হয়েছে তাকে। পরে একই দাবিতে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে প্রশাসন ভবনের সামনে অবস্থান নেয়। কিছুক্ষণ অবস্থান করে দুই সদস্যের প্রতিনিধি দল উপাচার্যের কাছে স্মারকলিপি দেয়। এসময় অভিযুক্ত টুটুলের স্থায়ী বহিস্কার দাবি করেছে তারা।

স্মারকলিপিতে তারা বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে টুটুলের ৬ মিনিট ২১ সেকেন্ডের আপত্তিকর অডিও ক্লিপ ফাঁস হয় যা বিশ^বিদ্যালয়ের বর্তমান ও সাবেক শিক্ষার্থীদের বিব্রত করছে এবং একইসাথে বিশ^বিদ্যালয়ের সুনাম বিনষ্ট করছে। এছাড়া এর আগেও ২০১৩ সালে কুষ্টিয়ার এক শিক্ষক কর্তৃক ছাত্রীদের গোপন ভিডিও ধারণের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে মামলা হলে তিনি গ্রেফতার হন ও তাকে বিশ^বিদ্যালয় থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়।

এ বিষয়ে প্রধান প্রকৌশলী মুন্সী সহিদ উদ্দীন মো. তারেক বলেন, প্রায় ২৫-৩০জন শিক্ষার্থী আমার অফিসে এসে দ্রæত সময়ের মধ্যে আমাকে প্রকৌশলী টুটুলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বলে। একপর্যায়ে তারা ক্ষুব্ধ হয়ে আলমারির কাচ ভাঙচুর করে ও দরজায় লাথি মারে। এসময় তারা ভবনের প্রধান ফটকে তালা দেয়। এতে আমি প্রায় ১ঘণ্টা অবরুদ্ধ হয়ে পড়ি। পরে আমি বিষয়টি প্রশাসনকে অবহিত করলে শিক্ষার্থীরা এসে তালা খুলে দেয়।

এ বিষয়ে প্রক্টর অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ঘটনার বিস্তারিত বিবরণসহ প্রকৌশল অফিসকে অভিযোগ দিতে বলা হয়েছে। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।