শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নিষেধাজ্ঞা অমাণ্য করে জঙ্গল সলিমপুরে চলছে পাহাড় কাটা

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের জঙ্গল সলিমপুরে ভয়ানক পাহাড় খেকো কথিত মাওলানা রাসেলের হাত থেকে রক্ষা নেই সরকারী ভূমি। ছিন্নমূলের কালাপানিয়া এলাকায় পাহাড়ি গাছ কর্তন, পাহাড় কাটা সরকারিভাবে নিষিদ্ধ। এ বিষয়ে উচ্চ আদালতের নিষেধাজ্ঞাও আছে। তবে এই নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে জঙ্গল সলিমপুর দরবেশ নগর লোকমানের খামারবাড়ি এলাকায় কথিত মাওলানা মো.রাসেল হোসেন ও তার মামা শামসুদ্দিনের নেতৃত্বে পাহাড়ে বৃক্ষ নিধন করে পাহাড় কেটে রাস্তাঘাট, ঘরবাড়ি তৈরির হিড়িক পড়েছে।
সম্প্রতি সীতাকুণ্ডের কালাপানিয়া এলাকায় পাহাড় খেকোদের তৎপরতা অনেক বেড়েছে। অনেকে আবার রাতের আঁধারে পাহাড়ি এলাকা সমান করে প্লট বানিয়ে বিক্রি করছেন। কিন্তু পাহাড় কাটা বন্ধে পরিবেশ অধিদপ্তরসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরের তেমন কোনো তৎপরতা দৃশ্যমান নেই।
সীতাকুণ্ডের ছিন্নমূল সংলগ্ন কালাপানিয়ায় লোকমান ফকিরের খামারবাড়ির পাহাড়ে গিয়ে দেখা যায়, ১০-১৫ জন শ্রমিক খুন্তি–কোদাল দিয়ে পাহাড় কাটছেন। আশপাশে আরও কয়েকটি স্থানে পাহাড় কেটে সমতল করে সেখানে রাস্তাঘাট, টিন ও বাঁশের বসতি নির্মাণ করছেন কয়েকজন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন শ্রমিক বলেন, ১০-১২ দিন ধরে পাহাড়কাটা চলছে। ঘরবাড়িও তৈরি হচ্ছে সমানে। বর্তমানে দেশের বেকারত্বের কারণে পাহাড়কাটায় শ্রমিক–কম খরচে পাওয়া যায়। প্রশাসনের নজর এড়াতে অনেকেই রাতের বেলায় পাহাড় কাটছেন বলে জানান কয়েকজন শ্রমিক।
চট্টগ্রামের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক রাজস্ব কার্যালয়ের পরিচয় বহনকারী চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী মো. শামসুদ্দিন এবং তার ভাগিনা মাওলানা মো.রাসেল হোসেনের নেতৃত্বে সংঘবদ্ধ চক্র পাহাড় কাটার নেতৃত্ব দিচ্ছেন। পাহাড় কাটতে কম খরচে ১০/১২ শ্রমিক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এই চক্র পাহাড় কেটে তৈরি সমতল জায়গা প্লট বানিয়ে চড়ামূল্যে বিক্রি করছে বলে দাবি করেন তারা।
চট্টগ্রামের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক রাজস্ব এর চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী পরিচয় বহনকারী শামসুদ্দিন আমাদের প্রতিবেদককে বলেন, আমাদের বাপ দাদার সম্পদ আমাদের ইচ্ছামত আমরা কাজ করতে পারি। সরকারি সম্পদ কিনা এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন,এগুলো সরকারের খাস খতিয়ান ছিল আমরা এ জমিগুলো চাষাবাদ করে খাচ্ছি। জায়গা বিক্রি সংক্রান্ত বিষয় জানতে চাইলে মাদ্রাসার মুহতামিম মাওলানা রাসেল হোসেন বলেন এগুলো আমাদের পৈতৃক সম্পত্তি।
এ প্রসঙ্গে জালালাবাদ মৌজার সহকারী কমিশনার মো. রায়হান বলেন, এ বিষয়ে আমি কোন কিছু জানি না। তবে এ বিষয়ে সত্যটা পাওয়া গেলে পরিবেশ অধিদপ্তরকে সাথে নিয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করব।

নিষেধাজ্ঞা অমাণ্য করে জঙ্গল সলিমপুরে চলছে পাহাড় কাটা

প্রকাশের সময় : ০৯:১৯:৪২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২২
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের জঙ্গল সলিমপুরে ভয়ানক পাহাড় খেকো কথিত মাওলানা রাসেলের হাত থেকে রক্ষা নেই সরকারী ভূমি। ছিন্নমূলের কালাপানিয়া এলাকায় পাহাড়ি গাছ কর্তন, পাহাড় কাটা সরকারিভাবে নিষিদ্ধ। এ বিষয়ে উচ্চ আদালতের নিষেধাজ্ঞাও আছে। তবে এই নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে জঙ্গল সলিমপুর দরবেশ নগর লোকমানের খামারবাড়ি এলাকায় কথিত মাওলানা মো.রাসেল হোসেন ও তার মামা শামসুদ্দিনের নেতৃত্বে পাহাড়ে বৃক্ষ নিধন করে পাহাড় কেটে রাস্তাঘাট, ঘরবাড়ি তৈরির হিড়িক পড়েছে।
সম্প্রতি সীতাকুণ্ডের কালাপানিয়া এলাকায় পাহাড় খেকোদের তৎপরতা অনেক বেড়েছে। অনেকে আবার রাতের আঁধারে পাহাড়ি এলাকা সমান করে প্লট বানিয়ে বিক্রি করছেন। কিন্তু পাহাড় কাটা বন্ধে পরিবেশ অধিদপ্তরসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরের তেমন কোনো তৎপরতা দৃশ্যমান নেই।
সীতাকুণ্ডের ছিন্নমূল সংলগ্ন কালাপানিয়ায় লোকমান ফকিরের খামারবাড়ির পাহাড়ে গিয়ে দেখা যায়, ১০-১৫ জন শ্রমিক খুন্তি–কোদাল দিয়ে পাহাড় কাটছেন। আশপাশে আরও কয়েকটি স্থানে পাহাড় কেটে সমতল করে সেখানে রাস্তাঘাট, টিন ও বাঁশের বসতি নির্মাণ করছেন কয়েকজন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন শ্রমিক বলেন, ১০-১২ দিন ধরে পাহাড়কাটা চলছে। ঘরবাড়িও তৈরি হচ্ছে সমানে। বর্তমানে দেশের বেকারত্বের কারণে পাহাড়কাটায় শ্রমিক–কম খরচে পাওয়া যায়। প্রশাসনের নজর এড়াতে অনেকেই রাতের বেলায় পাহাড় কাটছেন বলে জানান কয়েকজন শ্রমিক।
চট্টগ্রামের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক রাজস্ব কার্যালয়ের পরিচয় বহনকারী চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী মো. শামসুদ্দিন এবং তার ভাগিনা মাওলানা মো.রাসেল হোসেনের নেতৃত্বে সংঘবদ্ধ চক্র পাহাড় কাটার নেতৃত্ব দিচ্ছেন। পাহাড় কাটতে কম খরচে ১০/১২ শ্রমিক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এই চক্র পাহাড় কেটে তৈরি সমতল জায়গা প্লট বানিয়ে চড়ামূল্যে বিক্রি করছে বলে দাবি করেন তারা।
চট্টগ্রামের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক রাজস্ব এর চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী পরিচয় বহনকারী শামসুদ্দিন আমাদের প্রতিবেদককে বলেন, আমাদের বাপ দাদার সম্পদ আমাদের ইচ্ছামত আমরা কাজ করতে পারি। সরকারি সম্পদ কিনা এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন,এগুলো সরকারের খাস খতিয়ান ছিল আমরা এ জমিগুলো চাষাবাদ করে খাচ্ছি। জায়গা বিক্রি সংক্রান্ত বিষয় জানতে চাইলে মাদ্রাসার মুহতামিম মাওলানা রাসেল হোসেন বলেন এগুলো আমাদের পৈতৃক সম্পত্তি।
এ প্রসঙ্গে জালালাবাদ মৌজার সহকারী কমিশনার মো. রায়হান বলেন, এ বিষয়ে আমি কোন কিছু জানি না। তবে এ বিষয়ে সত্যটা পাওয়া গেলে পরিবেশ অধিদপ্তরকে সাথে নিয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করব।