যশোরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জনসভা স্মরণকালের ঐতিহাসিক জনসমুদ্রে পরিণত হবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, করোনাকালের পর বৃহস্পতিবার প্রথমবারের মতো জনসভায় অংশ নিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এটি স্মরণকালের ঐতিহাসিক জনসমুদ্রে পরিণত হবে। শেখ হাসিনা বাংলাদেশ রূপান্তরের রূপকার। বিশ্ব সংকটের পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশের বাস্তবতার নিরিখে কাজ করছেন তিনি।
যশোরের মানুষ এখন আড়াই ঘণ্টায় ঢাকায় যেতে পারেন উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, পদ্মা সেতু আজ দূরকে কাছে নিয়ে এসেছে। যশোর, খুলনাসহ দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলাকে কাছে নিয়ে এসেছে। সম্প্রতি মধুমতি সেতু উদ্বোধনের কারণে এ যাত্রা আরো সহজ হয়েছে।
জনসভায় আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা তার উন্নয়ন নিয়ে কথা বলবেন জানিয়ে তিনি বলেন, নেত্রী ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা নিয়ে কথা বলবেন। জনগণের জন্য তিনি কী করেছেন, কী করবেন, তার স্বপ্ন কী, মানুষের চোখের ভাষা, মনের ভাষা নিয়ে কথা বলবেন তিনি।
করোনাকালের আগে বিভিন্ন সভা-সমাবেশে প্রধানমন্ত্রী নিয়মিত অংশ নিতেন উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, সিলেটে বন্যাদুর্গতদের সহায়তা করতে গিয়েছিলেন। সেখানে তিনি হযরত শাহজালালের (রহ) মাজার জিয়ারত করেছিলেন। তবে কোনো জনসভায় অংশ নেননি। এ প্রথম জনসভা হচ্ছে। এরপর হবে চট্টগ্রামে। তারপর কক্সবাজারে জনসভা হবে। আমরা জনসভা করছি, নেত্রী জনগণের কাছে যাচ্ছেন।
তিনি বলেন, এটা তো জনগণ এরইমধ্যে গ্রহণ করে নিয়েছে। জনগণ যেটা পছন্দ করে, সেটা বলতে অসুবিধা কী? এ নিয়ে জাতীয় সংসদের একজন সদস্য কটাক্ষ করেছেন। এটা বিএনপির সঙ্গে মারামারি করার জন্য না।
এসময় আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, আব্দুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ, আফম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, এসএম কামাল হোসেন, দফতর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম মিলন, বাগেরহাট-২ আসনের সংসদ সদস্য শেখ সারহান নাসের তন্ময় প্রমুখ।