ইসলামী বিশ্ব বিদ্যালয় (ইবি) শাখা ছাত্রলীগের ২৪ সদস্যবিশিষ্ট কমিটিতে নতুন সহ-সভাপতি হিসেবে যুক্ত হয়েছেন শাখা ছাত্রলীগ নেত্রী রেহেনা আক্তার (ঝুমা)। সোমবার (২৮ নভেম্বর) রাত ১টা ৪৪মিনিটে নিজের ফেসবুক আইডিতে এ সংক্রান্ত পোস্ট করলে বিষয়টি জনসম্মুখে আসে। এ নিয়ে সামাজিক যোগযোগ মাধ্যমে নেতাকর্মীদের মাঝে অলোচনা-সমালোচনার ঝড় বয়। পরে সাংবাদিকদের কাছে বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সমাজসেবা সম্পাদক শেখ স্বাধীন শাহেদ।
জানা যায়, গত ৩১ জুলাই ইবি ছাত্রলীগের ২৪ সদস্যবিশিষ্ট কমিটির অনুমোদন দেয় কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। এর প্রায় চার মাস পর শাখা ছাত্রলীগের কমিটিতে নতুন সহ-সভাপতি হিসেবে রেহেনা আক্তারকে যুক্ত করা হয়েছে। তবে নতুন নাম সংবলিত কমিটির প্যাডে কেন্দ্রীয় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের স্বাক্ষরের নিচে পূর্বের তথা কমিটি অনুমোদনের তারিখ উল্লেখ রয়েছে ।
সোমবার রেহেনা ঔই প্যাডের ছবিসহ করা পোস্টে বলেন, আমাকে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ ইসলামী বিশ্ব বিদ্যালয় শাখার সহ-সভাপতি হিসেবে দায়িত্বপ্রাপ্ত করায় সংগ্রামী সভাপতি আল-নাহিয়ান খান জয় ও বিপ্লবী সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য দাদাকে আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।
বিষয়টা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। কেউ কেউ তাকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অভিনন্দন জানালেও অধিকাংশ নেতাকর্মীকে সমালোচনা করতে দেখা গেছে।
শাখা ছাত্রলীগ কর্মী রাকিব হাসান তার ফেসবুক পোস্টে বলেন, চার মাস পর কমিটি এডিটিং করে রেহানা আক্তারকে সহ-সভাপতি প্রচার করা হচ্ছে অথচ কেন্দ্রীয় সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের কোন জরুরী প্রেস বিজ্ঞপ্তি নেই। যদি এভাবেই পদ হয় তাহলে পদ পদবী বিহীন নেতাকর্মী যারা আছে তারা এডিটিং এর মাধ্যমে যে কোনো একটি পদ নিয়ে রাজনীতি করুক।
শাখা ছাত্রলীগ সহ-সভাপতি তন্ময় সাহা টনি রেহেনা আক্তারের পোস্টে কমেন্ট করে বলেন, কোনো বিজ্ঞপ্তি ছাড়া কে তাকে কমিটিতে আনলো কিছুই তো বুঝলাম না।
এ বিষয়ে শাখা ছাত্রলীগ সভাপতি ফয়সাল সিদ্দিকী আরাফাত বলেন, আমরা বিষয়টি দেখেছি, ৩১ জুলাই প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে যে কমিটি ছিল ওটাই আছে। পূর্ণাঙ্গ কমিটি করার সময় যাচাই বাছাই করে তখন সিদ্ধান্ত নিবো।
এ বিষয়ে ইবি শাখার তত্ত্বাবধায়ক কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সমাজসেবা সম্পাদক শেখ স্বাধীন শাহেদ বলেন, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি-সম্পাদকের বর্তমানে সিগনেচারির পাওয়ারটা নেই, তারা আর নতুন কাউকে পদায়ন করতে পারবেনা। তবে ওই মেয়েটার পদায়ন অনেক আগেই করা হয়েছে, ইবির প্রেসিডেন্ট সেক্রেটারিকে চিঠিটা দেওয়ার কথা ছিল কিন্তু তাদের মনে হয় দেয়া হয় নাই। আর এই চার্টটা আমাকে দিয়েছে উপ দপ্তর সম্পাদক সজিব নাথ। এই মেয়েটিকে সহ-সভাপতি পরিচয় দিতে আমার সামনেই বলেছেন সভাপতি-সম্পাদক। আমি তাকে বলছিলাম এভাবে মৌখিক পরিচয় না দিয়ে, প্রেসটা সংশোধন করে তোমার নাম বসাই নাও অথবা একটা চিঠি নাও। এই জন্য প্রেসটা সংশোধন করা হয়েছে।