ওজন কমাতে ডায়েট গুরুত্বপূর্ণ। যে কোনও পুষ্টিবিদ বা ডায়েটেশিয়ানকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি ক্যালোরির মাত্রা কমাতে এবং শরীরকে হাইড্রেটেড রাখার জন্য পর্যাপ্ত জল পানের পরামর্শ দেবেন। অনেকে অতিরিক্ত ওজন কমাতে তরল খাবার খান। তবে তরল খাবারের সঙ্গে কী পান করা হচ্ছে সেটা গুরুত্বপূর্ণ। আপেলের স্মুদি থেকে শুরু করে ফলের রস, স্মুদি, কফির মতো বেশ কিছু পানীয় রয়েছে যেগুলোতে ভরপুর চিনি থাকে। ওজন কমানোর সময় এগুলো স্বাস্থ্যকর নাও হতে পারে।
আপেল জুস: এটা আদতে অস্বাস্থ্যকর। অনেকে ভাবতে পারেন, আপেল থেকে তৈরি রস অস্বাস্থ্যকর হয় কী করে? আসলে এতে ঘনীভূত চিনি এবং উচ্চ ক্যালোরি থাকে। যা ওজন কমানোর বদলে বাড়িয়ে দিতে পারে। ১০০ পিসি আপেলের রসে অবশ্যই ভিটামিন রয়েছে। তবে চিনির বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য যথেষ্ট নয়। এতে থাকা চিনির পরিমাণ সোডার ক্যানের সঙ্গে তুলনীয়।
কমলালেবুর জুস: আপেলের জুসের মতো কমলালেবুর রসও খুব একটা স্বাস্থ্যকর নয় মোটেই। এতে ফলের রস কম থাকে। মাত্র ৫ থেকে ১০ শতাংশ। এছাড়াও কমলার রসে প্রচুর পরিমাণে উচ্চ ফ্রুক্টোজ কর্ন সিরাপ থাকে। এইচএফসিএস ভুট্টা স্টার্চ থেকে প্রাপ্ত এবং চিনির চেয়ে সস্তা, তাই অনেক খাদ্য প্রস্তুতকারক এটি ব্যবহার করতে পছন্দ করেন। এটি চিনির চেয়েও মিষ্টি এবং শরীর দ্রুত শোষণ করে।
স্মুদি: স্মুদি স্বাস্থ্যকর। তবে স্টেশনারি দোকানে প্যাকেজ স্মুদি নয়। এতে ফল এবং সবজি আছে ঠিকই কিন্তু সঙ্গে প্রচুর পরিমাণে স্মুদিও আছে। এই ধরণের স্মুদিতে একটা সোডার ক্যানের চেয়েও বেশি স্মুদি থাকে। কখনও কখনও আরও বেশি।
কফি: ক্যারামেল এবং ভ্যানিলা ফ্লেভারের মতো স্বাদযুক্ত কফির কথাই হচ্ছে। আইসড বা কোল্ড কফিও বেশ অস্বাস্থ্যকর। এত মিষ্টি দেওয়া হয় যে শেষ পর্যন্ত সেটা আর কফি থাকে না। এগুলোতে প্রায় ৫৬০ ক্যালোরি বা ১৪ গ্রাম স্যাচুরেটেড ফ্যাট এবং ৮০ গ্রাম চিনি থাকে। এর ওপর যদি হুইপড ক্রিম পড়ে তাহলে তো কথাই নেই। এক সপ্তাহে আধা কেজি ওজন বাড়িয়ে ফেলা যায়। কফি পান করতে চাইলে ব্ল্যাক কফিই ভাল।
(Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি কেবলমাত্র সাধারণ তথ্যের জন্য, তাই বিস্তারিত জানতে হলে সর্বদা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।)