শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

গণপরিবহন ধর্মঘটের পরও রাজশাহীতে ঢল নেমেছে বিএনপি নেতাকর্মীদের

রাজশাহীতে বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশ আগামীকাল শনিবার। দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তিসহ বিভিন্ন দাবিতে ঐতিহাসিক মাদ্রাসা মাঠে দুপুর ২টায় এই গণসমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। তবে চতুর্মুখী চাপের ভেতরেও কৌশলী হয়ে গণসমাবেশ সফলের চেষ্টা চালিয়েছে দলটি। গণপরিবহন ধর্মঘটের পর এবার সিএনজি, থ্রি হুইলার মালিকরাও ধর্মঘটের ডাক দিলেও রাজশাহীতে ঢল নামছে বিএনপি নেতাকর্মীদের।

এদিকে,  লন্ডন থেকে দফায় দফায় ফোন করে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান পুলিশ কিংবা আওয়ামী লীগের কোনো ফাঁদে পা দিতে নির্দেশ দিয়েছেন নেতাদের। পুলিশের কড়াকড়ি, আওয়ামী লীগের সতর্কবার্তা এবং বাস ও সিএনজি ধর্মঘটের  মধ্যে দলটির নেতারা রাজশাহীকে জনসমুদ্রে পরিণত করতে চান।

আরও ধর্মঘট:  অনির্দিষ্টকালের পরিবহন ধর্মঘটের দ্বিতীয় দিনে এবার নতুন করে ধর্মঘট ডাক দিল সিএনজি ও থ্রি হুইলার চালকরা। আজ শুক্রবার দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘটের ডাক দেন তারা তাই সব সড়কে অবাধ চলাচল ও হয়রানিমুক্ত রেজিস্ট্রেশনের দাবিতে সিএনজি চালিত অটোরিকশা ও থ্রি হুইলার ধর্মঘট চলছে।

পরিবহন ধর্মঘটের পর বেশি ভাড়া নিলেও সাধারণ যাত্রীদের ভরসা হয়ে উঠেছিল এই সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও থ্রি হুইলার যান। কিন্তু আজ শুক্রবার দুপুরে হঠাৎ করে তারা ধর্মঘটের ডাক দেন। ফলে পুরো রাজশাহীর যোগাযোগ ব্যবস্থা এখন প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে। বিশেষ করে শহর থেকে আন্তঃজেলা ও উপজেলা পর্যায়ে সড়কপথে যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। আর ধর্মঘটের কবকে পড়ে সাধারণ মানুষকে যারপরনাই দুর্ভোগ ও ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে।

রাজশাহী সিএনজি চালিত অটোরিকশা ও থ্রি হুইলার মালিক সমিতির সভাপতি আহসান হাবিব জানিয়েছেন, পরিবহন মালিকরা তাদের বিরুদ্ধে ধর্মঘট পালন করছে। আর তারা পরিবহন মালিক ও শ্রমিকদের বিরুদ্ধে। কারণ সড়কে চলাচলের অধিকার তাদেরও রয়েছে। এজন্য দুই পক্ষের আন্দোলন কর্মসূচি এক হলেও দাবি ভিন্ন।

সড়ক ও নৌপথে নেতাকর্মীদের ঢল:  গণসমাবেশের আগে শুক্রবার বিকেলে বাঁধাভাঙা ঢল নামে নেতাকর্মীদের। আগের দুদিন খণ্ড খণ্ডভাবে বিএনপির নেতাকর্মীরা এলেও শুক্রবার ছিল জনস্রোত। বিশেষ করে বিকেলে মাদ্রাসা মাঠের আশেপাশের সড়ক হাজার হাজার নেতাকর্মীর পদচারণায় মুখর হয়ে ওঠে। মুহুর্মুহু স্লোগানে প্রকম্পিত হয়ে ওঠে চারপাশ।

বগুড়া থেকে আসা নেতারা জানান, এই জেলা থেকে আট হাজার মোটরসাইকেলে এসেছেন বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী। চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নাটোর, নওগাঁ, জয়পুরহাট, সিরাজগঞ্জ ও পাবনা থেকেও একইভাবে বিএনপির নেতাকর্মীরা এসেছেন মোটরসাইকেল, সাইকেল ও নসিমনে চড়ে। শুধু সড়কপথেই নয়, নদীপথ পাড়ি দিয়েও রাজশাহীর গণসমাবেশে যোগ দিতে এসেছেন নেতাকর্মীরা।

রাজশাহী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সাঈদ চাঁদ জানান, বাঘা ও চারঘাট থেকে বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী পদ্মা পাড়ি দিয়ে গণসমাবেশের উদ্দেশে রওয়ানা হন। কিন্তু নদীপথেও নৌপুলিশ বাধা দেয়। তবে বাধা পেড়িয়ে নেতাকর্মীরা গন্তব্যে পৌঁছেছেন।

তিনি আরও বলেন, ‘যে জোয়ার তৈরি হয়েছে তা আর থামানো যাবে না। দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত বিএনপির নেতাকর্মীরা আর ঘরে ফিরবে না। ১০ ডিসেম্বরের পর আর এই সরকার ক্ষমতায় থাকবে না।’

সন্ধ্যাতেই উত্তাল চারপাশ: রাজশাহী বিভাগের আট জেলার নেতাকর্মীরা একত্রিত হন মাদ্রাসা মাঠের পাশে কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দান ও পাশের সড়কগুলোতে। শুক্রবার সন্ধ্যায় মুহুর্মুহু তালি ও শ্লোগানে স্লোগানে উত্তাল হয়ে ওঠে আশোপাশের এলাকা। প্রথমদিকে পুলিশ নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করলেও শেষ পর্যন্ত তা আর ধরে রাখা যায়নি।  রঙ-বেরঙের টি-শার্ট ও ক্যাপ পরে দলে দলে ছুটে আসেন ঈদগাহ মাঠের দিকে। হাজার হাজার নেতাকর্মীর উপস্থিতিতে ভরে যায় পুরো এলাকা।

বগুড়ার শাহজাহানপুর থেকে আসা সাইদুল ইসলাম বলেন, ‘সরকার ধর্মঘট দিয়ে গণসমাবেশ বানচাল করার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু এই জনসমুদ্রই প্রমাণ করেছে দেশের মানুষ আওয়ামী লীগকে আর ক্ষমতায় দেখতে চায় না। তারা ভোটের অধিকার চাই। বেঁচে থাকার অধিকার চাই’।

লন্ডনের ফোন:  রাজশাহী বিভাগীয় গণসমাবেশ সফল করতে লন্ডন থেকে দফায় দফায় ফোন করেছেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। দিয়েছেন নানা নির্দেশনাও। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ও রাজশাহীর সাবেক মেয়র মিজানুর রহমান মিনু, সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, রাজশাহী মহানগর বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সাবেক মেয়র মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুলের সঙ্গে কথা বলেছেন তিনি।

দলের একটি সূত্র আমাদের সময়কে জানিয়েছে, গণসমাবেশের আয়োজনে পুলিশের বাধা মোকাবিলায় ‘কৌশলী’ হতে না পারায় শীর্ষনেতাদের ‘ধমকিয়েছেন’ তারেক। তাদের তিরস্কারও করেছেন তিনি।  নির্দেশ দিয়েছেন, পুলিশের পলিসির কাছে কৌশলী হতে। সরাসরি কোনো দ্বন্দ্বে না জড়াতে।

দলের আরেকটি সূত্র জানাচ্ছে, বিএনপি নেতা মিজানুর রহমান মিনু মাঠে কাজ করছেন না- এমন নালিশ যায় তারেক রহমানের কানে। রাজশাহী থেকে রুহুল কবির রিজভীর অনুসারী হিসেবে পরিচিত এক নেতা তারেকের কাছে এই অভিযোগ করেন। অভিযোগ পেয়ে তারেক রহমান পরিস্থিতি জানতে ফোন করেন মিনুকে। মিনু সেসময় স্থানীয় নেতাদের সঙ্গে নিয়ে মাদ্রাসা মাঠেই অবস্থান করছিলেন। এসময় ফোনে মিনুর তারেক রহমান গণসমাবেশ নিয়ে কয়েক মিনিট কথা বলেন তিনি।

ছাড় দেবে না আওয়ামী লীগ:  রাজশাহীতে গণসমাবেশের নামে বিএনপি কোনো ধরনের বিশৃংখলা সৃষ্টির চেষ্ট করেলে সমুচিত জবাব দিতে চায় আওয়ামী লীগ। তাই শনিবার সকাল থেকেই দলটির নেতাকর্মী সজাগ থাকবেন। নজর রাখবেন বিএনপির কর্মকাণ্ডের ওপর।

আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামার লিটন বলেন, ‘লন্ডনে বসে ক্যাসেট বাজায় তারেক জিয়া। আর সেই ক্যাসেট শুনে এরা এখানে আওয়াজ দেয়।  সরকার অনুমতি দিয়েছে সমাবেশ করেন। ভদ্রভাবে করেন।’

তিনি বলেন, ‘আট জেলা থেকে লোক নিয়ে এসে করেন, কোনোটাতেই আপত্তি নেই। কিন্তু যদি শুনি কোথাও কোনো গাড়ি ভেঙেছেন, যানবাহনে আগুন দিয়েছেন বা জনগণের মাঝে অশান্তি তৈরি করেছেন, তাহলে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা কী করবে, সেটি তাদের ব্যাপার। তবে আমরা ক্ষমতাসীন দল ছেড়ে দিতে পারি না। জনগণ আমাদের রায় দিয়েছে, জনগণের পক্ষে কাজ করার জন্য, উন্নয়ন দেবার জন্য, তাদের ভাগ্যের পরিবর্তন করবার জন্য, আমরা সেটি রক্ষা করতে ওয়াদাবদ্ধ।’

রাজনীতিতে নাম লেখাতে যাচ্ছেন সানিয়া মির্জা

গণপরিবহন ধর্মঘটের পরও রাজশাহীতে ঢল নেমেছে বিএনপি নেতাকর্মীদের

প্রকাশের সময় : ১০:৪০:০০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২ ডিসেম্বর ২০২২

রাজশাহীতে বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশ আগামীকাল শনিবার। দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তিসহ বিভিন্ন দাবিতে ঐতিহাসিক মাদ্রাসা মাঠে দুপুর ২টায় এই গণসমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। তবে চতুর্মুখী চাপের ভেতরেও কৌশলী হয়ে গণসমাবেশ সফলের চেষ্টা চালিয়েছে দলটি। গণপরিবহন ধর্মঘটের পর এবার সিএনজি, থ্রি হুইলার মালিকরাও ধর্মঘটের ডাক দিলেও রাজশাহীতে ঢল নামছে বিএনপি নেতাকর্মীদের।

এদিকে,  লন্ডন থেকে দফায় দফায় ফোন করে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান পুলিশ কিংবা আওয়ামী লীগের কোনো ফাঁদে পা দিতে নির্দেশ দিয়েছেন নেতাদের। পুলিশের কড়াকড়ি, আওয়ামী লীগের সতর্কবার্তা এবং বাস ও সিএনজি ধর্মঘটের  মধ্যে দলটির নেতারা রাজশাহীকে জনসমুদ্রে পরিণত করতে চান।

আরও ধর্মঘট:  অনির্দিষ্টকালের পরিবহন ধর্মঘটের দ্বিতীয় দিনে এবার নতুন করে ধর্মঘট ডাক দিল সিএনজি ও থ্রি হুইলার চালকরা। আজ শুক্রবার দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘটের ডাক দেন তারা তাই সব সড়কে অবাধ চলাচল ও হয়রানিমুক্ত রেজিস্ট্রেশনের দাবিতে সিএনজি চালিত অটোরিকশা ও থ্রি হুইলার ধর্মঘট চলছে।

পরিবহন ধর্মঘটের পর বেশি ভাড়া নিলেও সাধারণ যাত্রীদের ভরসা হয়ে উঠেছিল এই সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও থ্রি হুইলার যান। কিন্তু আজ শুক্রবার দুপুরে হঠাৎ করে তারা ধর্মঘটের ডাক দেন। ফলে পুরো রাজশাহীর যোগাযোগ ব্যবস্থা এখন প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে। বিশেষ করে শহর থেকে আন্তঃজেলা ও উপজেলা পর্যায়ে সড়কপথে যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। আর ধর্মঘটের কবকে পড়ে সাধারণ মানুষকে যারপরনাই দুর্ভোগ ও ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে।

রাজশাহী সিএনজি চালিত অটোরিকশা ও থ্রি হুইলার মালিক সমিতির সভাপতি আহসান হাবিব জানিয়েছেন, পরিবহন মালিকরা তাদের বিরুদ্ধে ধর্মঘট পালন করছে। আর তারা পরিবহন মালিক ও শ্রমিকদের বিরুদ্ধে। কারণ সড়কে চলাচলের অধিকার তাদেরও রয়েছে। এজন্য দুই পক্ষের আন্দোলন কর্মসূচি এক হলেও দাবি ভিন্ন।

সড়ক ও নৌপথে নেতাকর্মীদের ঢল:  গণসমাবেশের আগে শুক্রবার বিকেলে বাঁধাভাঙা ঢল নামে নেতাকর্মীদের। আগের দুদিন খণ্ড খণ্ডভাবে বিএনপির নেতাকর্মীরা এলেও শুক্রবার ছিল জনস্রোত। বিশেষ করে বিকেলে মাদ্রাসা মাঠের আশেপাশের সড়ক হাজার হাজার নেতাকর্মীর পদচারণায় মুখর হয়ে ওঠে। মুহুর্মুহু স্লোগানে প্রকম্পিত হয়ে ওঠে চারপাশ।

বগুড়া থেকে আসা নেতারা জানান, এই জেলা থেকে আট হাজার মোটরসাইকেলে এসেছেন বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী। চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নাটোর, নওগাঁ, জয়পুরহাট, সিরাজগঞ্জ ও পাবনা থেকেও একইভাবে বিএনপির নেতাকর্মীরা এসেছেন মোটরসাইকেল, সাইকেল ও নসিমনে চড়ে। শুধু সড়কপথেই নয়, নদীপথ পাড়ি দিয়েও রাজশাহীর গণসমাবেশে যোগ দিতে এসেছেন নেতাকর্মীরা।

রাজশাহী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সাঈদ চাঁদ জানান, বাঘা ও চারঘাট থেকে বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী পদ্মা পাড়ি দিয়ে গণসমাবেশের উদ্দেশে রওয়ানা হন। কিন্তু নদীপথেও নৌপুলিশ বাধা দেয়। তবে বাধা পেড়িয়ে নেতাকর্মীরা গন্তব্যে পৌঁছেছেন।

তিনি আরও বলেন, ‘যে জোয়ার তৈরি হয়েছে তা আর থামানো যাবে না। দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত বিএনপির নেতাকর্মীরা আর ঘরে ফিরবে না। ১০ ডিসেম্বরের পর আর এই সরকার ক্ষমতায় থাকবে না।’

সন্ধ্যাতেই উত্তাল চারপাশ: রাজশাহী বিভাগের আট জেলার নেতাকর্মীরা একত্রিত হন মাদ্রাসা মাঠের পাশে কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দান ও পাশের সড়কগুলোতে। শুক্রবার সন্ধ্যায় মুহুর্মুহু তালি ও শ্লোগানে স্লোগানে উত্তাল হয়ে ওঠে আশোপাশের এলাকা। প্রথমদিকে পুলিশ নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করলেও শেষ পর্যন্ত তা আর ধরে রাখা যায়নি।  রঙ-বেরঙের টি-শার্ট ও ক্যাপ পরে দলে দলে ছুটে আসেন ঈদগাহ মাঠের দিকে। হাজার হাজার নেতাকর্মীর উপস্থিতিতে ভরে যায় পুরো এলাকা।

বগুড়ার শাহজাহানপুর থেকে আসা সাইদুল ইসলাম বলেন, ‘সরকার ধর্মঘট দিয়ে গণসমাবেশ বানচাল করার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু এই জনসমুদ্রই প্রমাণ করেছে দেশের মানুষ আওয়ামী লীগকে আর ক্ষমতায় দেখতে চায় না। তারা ভোটের অধিকার চাই। বেঁচে থাকার অধিকার চাই’।

লন্ডনের ফোন:  রাজশাহী বিভাগীয় গণসমাবেশ সফল করতে লন্ডন থেকে দফায় দফায় ফোন করেছেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। দিয়েছেন নানা নির্দেশনাও। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ও রাজশাহীর সাবেক মেয়র মিজানুর রহমান মিনু, সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, রাজশাহী মহানগর বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সাবেক মেয়র মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুলের সঙ্গে কথা বলেছেন তিনি।

দলের একটি সূত্র আমাদের সময়কে জানিয়েছে, গণসমাবেশের আয়োজনে পুলিশের বাধা মোকাবিলায় ‘কৌশলী’ হতে না পারায় শীর্ষনেতাদের ‘ধমকিয়েছেন’ তারেক। তাদের তিরস্কারও করেছেন তিনি।  নির্দেশ দিয়েছেন, পুলিশের পলিসির কাছে কৌশলী হতে। সরাসরি কোনো দ্বন্দ্বে না জড়াতে।

দলের আরেকটি সূত্র জানাচ্ছে, বিএনপি নেতা মিজানুর রহমান মিনু মাঠে কাজ করছেন না- এমন নালিশ যায় তারেক রহমানের কানে। রাজশাহী থেকে রুহুল কবির রিজভীর অনুসারী হিসেবে পরিচিত এক নেতা তারেকের কাছে এই অভিযোগ করেন। অভিযোগ পেয়ে তারেক রহমান পরিস্থিতি জানতে ফোন করেন মিনুকে। মিনু সেসময় স্থানীয় নেতাদের সঙ্গে নিয়ে মাদ্রাসা মাঠেই অবস্থান করছিলেন। এসময় ফোনে মিনুর তারেক রহমান গণসমাবেশ নিয়ে কয়েক মিনিট কথা বলেন তিনি।

ছাড় দেবে না আওয়ামী লীগ:  রাজশাহীতে গণসমাবেশের নামে বিএনপি কোনো ধরনের বিশৃংখলা সৃষ্টির চেষ্ট করেলে সমুচিত জবাব দিতে চায় আওয়ামী লীগ। তাই শনিবার সকাল থেকেই দলটির নেতাকর্মী সজাগ থাকবেন। নজর রাখবেন বিএনপির কর্মকাণ্ডের ওপর।

আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামার লিটন বলেন, ‘লন্ডনে বসে ক্যাসেট বাজায় তারেক জিয়া। আর সেই ক্যাসেট শুনে এরা এখানে আওয়াজ দেয়।  সরকার অনুমতি দিয়েছে সমাবেশ করেন। ভদ্রভাবে করেন।’

তিনি বলেন, ‘আট জেলা থেকে লোক নিয়ে এসে করেন, কোনোটাতেই আপত্তি নেই। কিন্তু যদি শুনি কোথাও কোনো গাড়ি ভেঙেছেন, যানবাহনে আগুন দিয়েছেন বা জনগণের মাঝে অশান্তি তৈরি করেছেন, তাহলে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা কী করবে, সেটি তাদের ব্যাপার। তবে আমরা ক্ষমতাসীন দল ছেড়ে দিতে পারি না। জনগণ আমাদের রায় দিয়েছে, জনগণের পক্ষে কাজ করার জন্য, উন্নয়ন দেবার জন্য, তাদের ভাগ্যের পরিবর্তন করবার জন্য, আমরা সেটি রক্ষা করতে ওয়াদাবদ্ধ।’