বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

শরণখোলায় আদম ব্যাপারী কামরুলের খপ্পরে পথে বসেছে প্রায় ২০ টি দরিদ্র পরিবার

বাগেরহাটের শরণখোলায় সৌদি আরবে মোটা অংকের বেতনে চাকুরী পাইয়ে দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে প্রায় অর্ধকোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে কামরুল ইসলাম নামের এক আদমব্যাসায়ীর বিরুদ্ধে। কামরুল এলাকার প্রায় ২০ জন ব্যাক্তিকে ভালো চাকরি এবং আকামা করিয়ে দেয়ার নাম করে বিদেশে পাঠালেও কাউকেই ভালো চাকুরী ও আকামার ব্যাবস্থা করেনি। আকামাহীন ভুক্তভুগীরা প্রবাসে চুরিকরে কমবেতনে চাকুরী করছেন। অনেকে এখন খেয়ে না খেয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন ।আকামা না থাকায় অনেকে জেল খেটে বাড়ি চলে আসতে হয়েছে। অনেককে আবার ভুয়া আকামাকরে দিয়েছে কামরুল। এ দিকে এক মাত্র কর্মক্ষম ব্যক্তিকে ধার-দেনা ,ব্যাংক লোন করে বিদেশে পাঠানো দরিদ্র পরিবারের লোকজন অনাহারে অর্ধহারে মানবেতর জীবনযাপন করছেন।বিদেশ থেকে পরিবারের জন্য টাকা পাঠানোর পরিবর্তে দেশ থেকে আবারও তাদেরকে টাকা পাঠাতে হচ্ছে। এমতাবস্থায় দরিদ্র পরিবারের নারীরা নদীতে মাছ ধরে অন্যের বাসায় কাজ করে সংসারের ভরন পোষন চালাতে বাধ্য হচ্ছে। ভুক্তভুগী পরিবারের লোকজন কামরুল ইসলামের কাছে তাদের আকামা বাবদ দেওয়া টাকা দাবী করলে সে তার স্ত্রী রেশমী আক্তারকে দিয়ে পাওনাদারদের বিরুদ্ধে চাদা বাজী মামলা দেওয়ার হুমকি দেওয়াচ্ছে ।

এ সব অভিযোগ তুলে শুক্রবার দুপুরে ভুক্তভুগীরা সোনাতলা গ্রামের মৃতঃমজিদ হাওলাদারের প্রবাসী পুত্র আদম ব্যাপারী কামরুল ইসলামের বিরুদ্ধে একই গ্রামের জোমাদ্দারবাড়ির সামনে মানববন্ধন করেন। মানববন্ধনে ভুক্তভুগী পরিবারের নারী-পুরুষসহ স্থানীয় শতাধিক ব্যক্তি উপস্থিত ছিলেন। তারা সাংবাদিকদের কাছে জানান, আদম ব্যাবসায়ী কামরুল অনেকের আত্মীয় এবং প্রতিবেশী।সেই সুযোগে তাদের নানা রকম প্রলোভন দেখিয়ে এবং ফুসলিয়ে সৌদি আরব নিয়ে যায় ।

সেখানে নেয়ার পর তাদেরকে কোন কাজ না দিয়ে এবং আকামা করে না দিয়ে পালিয়ে বেড়ায় । তার প্রতারনার স্বীকার সোনাতলা গ্রামের প্রায় ২০ টি পরিবার এখন পথে বসার উপক্রম হয়েছে।

উপজেলার সোনাতলা গ্রামের লিটন জোমাদ্দার জানান, তার ছেলে রনি জোমাদ্দারকে কামরুল হাওলাদার ৬ লাখ টাকার বিনিময় ৪ বছর আগে সৌদি আরব নেয়। কিন্তু তাকে কোন কাজ এবং আকামা করে দেয়নি কামরুল। তার ছেলেকে ৪ বছর পালিয়ে থাকতে হয় সৌদি আরবে। তখন সে না খেয়ে অনেক দিন কাটিয়েছে। তিনি তার ছেলের জন্য কামরুলের কাছে আকামার টাকা পাঠালেও তাও সে আত্মসাৎ করে খেয়েছে। তার ছেলে সম্প্রতি অন্যের সহায়তায় দেশে চলে আসলে তিনি কামরুলের কাছে এবং তাদের পরিবারের কাছে তাদের আকামার টাকাসহ অন্যান্য ক্ষয়-ক্ষতির টাকা ফেরত চাইলে কামরুলতার স্ত্রী রেশমীকেদিয়ে তাদের বিরুদ্ধে ৯ লাখ টাকা চাঁদাবাজীর অভিযোগ দেয় শরণখোলা থানা পুলিশসহ সাংবাদিকদের কাছে।

মানববন্ধনে অন্যান্যদের মাঝে বক্তব্য রাখেন বিদেশ ফেরত রনী জোমাদ্দারের পিতা লিটন জোমাদ্দার, স্থানীয় সাবেক ইউপি সদস্য মোঃডালিম হোসেন, প্রবাসী সোমেদ খানের স্ত্রী ফজিলা বেগম, প্রবাসী মধু জোমাদ্দারের স্ত্রী কাজল বেগম, দিশে ফেরত মোঃমনিরুলইসলাম,মোঃনাসির হাওলাদার। ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের লোকজন সাংবাদিকদের কাছে কথা বলতে গিয়ে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন।তারা কামরুলের কাছে পাওনা টাকা ফেরত পাবার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সহায়তা কামনা করেন।

শরণখোলায় আদম ব্যাপারী কামরুলের খপ্পরে পথে বসেছে প্রায় ২০ টি দরিদ্র পরিবার

প্রকাশের সময় : ১১:৫৮:০৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৩ ডিসেম্বর ২০২২

বাগেরহাটের শরণখোলায় সৌদি আরবে মোটা অংকের বেতনে চাকুরী পাইয়ে দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে প্রায় অর্ধকোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে কামরুল ইসলাম নামের এক আদমব্যাসায়ীর বিরুদ্ধে। কামরুল এলাকার প্রায় ২০ জন ব্যাক্তিকে ভালো চাকরি এবং আকামা করিয়ে দেয়ার নাম করে বিদেশে পাঠালেও কাউকেই ভালো চাকুরী ও আকামার ব্যাবস্থা করেনি। আকামাহীন ভুক্তভুগীরা প্রবাসে চুরিকরে কমবেতনে চাকুরী করছেন। অনেকে এখন খেয়ে না খেয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন ।আকামা না থাকায় অনেকে জেল খেটে বাড়ি চলে আসতে হয়েছে। অনেককে আবার ভুয়া আকামাকরে দিয়েছে কামরুল। এ দিকে এক মাত্র কর্মক্ষম ব্যক্তিকে ধার-দেনা ,ব্যাংক লোন করে বিদেশে পাঠানো দরিদ্র পরিবারের লোকজন অনাহারে অর্ধহারে মানবেতর জীবনযাপন করছেন।বিদেশ থেকে পরিবারের জন্য টাকা পাঠানোর পরিবর্তে দেশ থেকে আবারও তাদেরকে টাকা পাঠাতে হচ্ছে। এমতাবস্থায় দরিদ্র পরিবারের নারীরা নদীতে মাছ ধরে অন্যের বাসায় কাজ করে সংসারের ভরন পোষন চালাতে বাধ্য হচ্ছে। ভুক্তভুগী পরিবারের লোকজন কামরুল ইসলামের কাছে তাদের আকামা বাবদ দেওয়া টাকা দাবী করলে সে তার স্ত্রী রেশমী আক্তারকে দিয়ে পাওনাদারদের বিরুদ্ধে চাদা বাজী মামলা দেওয়ার হুমকি দেওয়াচ্ছে ।

এ সব অভিযোগ তুলে শুক্রবার দুপুরে ভুক্তভুগীরা সোনাতলা গ্রামের মৃতঃমজিদ হাওলাদারের প্রবাসী পুত্র আদম ব্যাপারী কামরুল ইসলামের বিরুদ্ধে একই গ্রামের জোমাদ্দারবাড়ির সামনে মানববন্ধন করেন। মানববন্ধনে ভুক্তভুগী পরিবারের নারী-পুরুষসহ স্থানীয় শতাধিক ব্যক্তি উপস্থিত ছিলেন। তারা সাংবাদিকদের কাছে জানান, আদম ব্যাবসায়ী কামরুল অনেকের আত্মীয় এবং প্রতিবেশী।সেই সুযোগে তাদের নানা রকম প্রলোভন দেখিয়ে এবং ফুসলিয়ে সৌদি আরব নিয়ে যায় ।

সেখানে নেয়ার পর তাদেরকে কোন কাজ না দিয়ে এবং আকামা করে না দিয়ে পালিয়ে বেড়ায় । তার প্রতারনার স্বীকার সোনাতলা গ্রামের প্রায় ২০ টি পরিবার এখন পথে বসার উপক্রম হয়েছে।

উপজেলার সোনাতলা গ্রামের লিটন জোমাদ্দার জানান, তার ছেলে রনি জোমাদ্দারকে কামরুল হাওলাদার ৬ লাখ টাকার বিনিময় ৪ বছর আগে সৌদি আরব নেয়। কিন্তু তাকে কোন কাজ এবং আকামা করে দেয়নি কামরুল। তার ছেলেকে ৪ বছর পালিয়ে থাকতে হয় সৌদি আরবে। তখন সে না খেয়ে অনেক দিন কাটিয়েছে। তিনি তার ছেলের জন্য কামরুলের কাছে আকামার টাকা পাঠালেও তাও সে আত্মসাৎ করে খেয়েছে। তার ছেলে সম্প্রতি অন্যের সহায়তায় দেশে চলে আসলে তিনি কামরুলের কাছে এবং তাদের পরিবারের কাছে তাদের আকামার টাকাসহ অন্যান্য ক্ষয়-ক্ষতির টাকা ফেরত চাইলে কামরুলতার স্ত্রী রেশমীকেদিয়ে তাদের বিরুদ্ধে ৯ লাখ টাকা চাঁদাবাজীর অভিযোগ দেয় শরণখোলা থানা পুলিশসহ সাংবাদিকদের কাছে।

মানববন্ধনে অন্যান্যদের মাঝে বক্তব্য রাখেন বিদেশ ফেরত রনী জোমাদ্দারের পিতা লিটন জোমাদ্দার, স্থানীয় সাবেক ইউপি সদস্য মোঃডালিম হোসেন, প্রবাসী সোমেদ খানের স্ত্রী ফজিলা বেগম, প্রবাসী মধু জোমাদ্দারের স্ত্রী কাজল বেগম, দিশে ফেরত মোঃমনিরুলইসলাম,মোঃনাসির হাওলাদার। ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের লোকজন সাংবাদিকদের কাছে কথা বলতে গিয়ে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন।তারা কামরুলের কাছে পাওনা টাকা ফেরত পাবার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সহায়তা কামনা করেন।