নাভি শরীরের কেন্দ্রবিন্দু। জীবনের বিকাশ, সঞ্চালন এবং নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তাই নাভিকে শরীরের দ্বিতীয় মস্তিষ্কও বলা হয়। পরিপাকতন্ত্রের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত থাকায় নাভির যে কোনও ভারসাম্যহীনতা সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। অনেক সময় ভারি জিনিস তোলা, কোষ্ঠকাঠিন্য কিংবা ডায়রিয়ার কারণে নাভি স্বস্থান থেকে সরে যেতে পারে।
নাভি তার নিজের জায়গা থেকে সরে গেলে প্রচণ্ড ব্যথা হয়। পেট মোচড় দিয়ে ওঠে সঙ্গে বমি এবং বমি বমি ভাব। এই সমস্যায় সবচেয়ে বেশি ভোগে শিশুরা। কিছু ঘরোয়া উপায়ে সহজেই এর চিকিৎসা করা যায়। দেখে নেওয়া যাক সেগুলো।
নাভির চারপাশে মাসাজ: কখনও কখনও নাভিতে ছুঁচের মতো কিছু ফোটার অনুভূতি হয়। এ ক্ষেত্রে নাভির চারপাশে মাসাজ করলে উপশম মেলে। তবে মাসাজ নিজে করতে না যাওয়াই ভালো। পেশাদার কারও সাহায্য নিতে হবে। এই সময় ভারি কিছু তোলা এড়িয়ে যাওয়া উচিত।
জাম্পিং উপকারি: মা-ঠাকুমারা এই টোটকাটা দিতেন। তাঁরা বলতেন, উঁচু জায়গা থেকে লাভ দিলে নাভি স্বস্থানে চলে আসে। এর জন্য অন্তত ২ ফুট উচ্চতা থেকে দু-তিনবার লাফ দিতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে, লাফ দেওয়ার সময় সমস্ত ওজন যেন পায়ের আঙ্গুলের উপর থাকে।
মৌরি দারুণ উপকারি: ভারী জিনিস তোলার সময় হঠাৎ নাভি তার জায়গা থেকে সরে যায়, এটা খুব বেদনাদায়ক। যদি হঠাৎ করে এমন হয়, তাহলে মৌরির ঘরোয়া প্রতিকার খুবই কার্যকরী। ১০ গ্রাম মৌরি পিষে তাতে ৫০ গ্রাম গুড় মিশিয়ে খালি পেটে ২-৩ দিন খেতে হবে।
যোগব্যায়াম: পীড়িত ব্যক্তির উচিত হলাসন, নৌকাসন এবং পবনমুক্তাসনের মতো যোগাসন করা। এই আসনগুলো নিয়মিত করলে নাভির ব্যথাজনিত সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
সরষের তেল: তিন থেকে চার দিন খালি পেটে নাভিতে কয়েক ফোঁটা সরষেরর তেল লাগাতে হবে। ২-৩ দিনের মধ্যেই পার্থক্য বোঝা যাবে। ধীরে ধীরে নাভি তার জায়গায় আসতে শুরু করবে।
আমলা: এক চামচ আমলার গুঁড়ো করে তাতে লেবুর রস মিশিয়ে নাভির চারপাশে লাগাতে হবে। পেস্ট লাগানোর পর কিছুক্ষণ শুয়ে থাকতে হবে, দাঁড়ালে চলবে না। এই পেস্টটি দিনে দুবার লাগালে নাভি আগের জায়গায় ফিরে আসবে।
চা পাতা: এক গ্লাসে এক চা-চামচ চা পাতা সিদ্ধ করে ছেঁকে নিয়ে হালকা গরম অবস্থায় পান করতে হবে। এতে ব্যথা যেমন কমবে, তেমনই নাভিও তার জায়গায় চলে আসবে।
(Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি কেবলমাত্র সাধারণ তথ্যের জন্য, তাই বিস্তারিত জানতে হলে সর্বদা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।)