মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

দই খাওয়ার সঠিক সময় কোনটা জানেন?

ছবিঃ সংগৃহীত

পাতে চব্য চোষ্য যতই থাক দই ছাড়া চলবে না। বিশেষ করে যদি বাড়িতেই দই পাতা হয়, তাহলে তো কথাই নেই। খাঁটি দুগ্ধজাত পণ্য বলে কথা! এর হাজার উপকারিতা রয়েছে। তবে দই নিয়ে বিভ্রান্তিও কম নেই। কখন খাওয়া উচিত, কোন খাবারের সঙ্গে দই খেলে শরীর খারাপের সম্ভাবনা, এই নিয়ে বিস্তর কথা হয়। এর মধ্যে বেশিরভাগেরই কোনও ভিত্তি নেই। তবে কিছু জিনিস মাথায় রাখতে হবে। সেগুলো দেখে নেওয়া যাক।

দইতে একাধিক পুষ্টি উপাদান রয়েছে। রিবোফ্লাভিন, ভিটামিন এ, ভিটামিন বি ৬, ভিটামিন বি ১২ এবং প্যান্টোথেনিক অ্যাসিডের পাওয়ার হাউস। দইতে ল্যাকটিক অ্যাসিডও রয়েছে যা পুষ্টি শোষণে সহায়তা করে।

প্রতিদিন দই খাওয়ার উপকারিতা: দই ঠান্ডা প্রকৃতির। শরীর শীতল রাখে। তাই প্রতিদিনের ডায়েটে দই রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়। মেটাবলিজম বাড়াতে, খাবার থেকে পুষ্টির শোষণ উন্নত করতে এবং হাড়ের স্বাস্থ্যকে শক্তিশালী করতে সাহায্য করে। দই ঠান্ডা প্রকৃতি হলেও সারা বছর খাওয়ার প্রধান কারণ হল স্বাস্থ্যকর প্রোবায়োটিক এবং প্রিবায়োটিকের উপস্থিতি যা অন্ত্রের স্বাস্থ্য, হজম, প্রদাহ এবং স্থূলতা কমায়।

গবেষণা কী বলছে: কখন দই খাওয়া উচিত? সম্প্রতি এই নিয়ে একটি সমীক্ষা চালান ইউনিভার্সিটি অফ উইসকনসিন-ম্যাডিসনের গবেষকরা। সেখানে দেখা গিয়েছে, খাবারের সঙ্গে বা শেষ পাতে দই খাওয়ার চেয়ে খাওয়ার দাওয়ার আগে দই খেলেই সবচেয়ে ভাল উপকার পাওয়া যায়। দেখা গিয়েছে, যে মহিলারা খাওয়ার আগে দই খান তাঁদের অন্ত্রে প্রদাহের সমস্যা অনেক কম। পাশাপাশি হজমও ভাল হয়।

শীতকালে দই: দই ঠান্ডা প্রকৃতির হলেও শীতকালে খাওয়া যায়। শুধু দইয়ের সঙ্গে মধু, এবং মশলা যেমন কালো গোলমরিচ বা ভাজা জিরে গুঁড়ো মিশিয়ে নিতে হবে। তাহলে আর ঠান্ডা লেগে যাওয়ার ভয় থাকবে না। শীতকালে দই শক্তির ভারসাম্য বজায় রাখে। শরীরে শ্লেষ্মার গঠন কমায়। হজমশক্তি বাড়ায় এবং কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা নিরাময় করে। তবে স্থূলতা এবং রক্তপাতজনিত ব্যাধি থাকলে দই এড়িয়ে যাওয়াই ভাল।

আজকের আ. লীগের নেতাকর্মীরা বঙ্গবন্ধুর আদর্শ মানেন না: কাদের

দই খাওয়ার সঠিক সময় কোনটা জানেন?

প্রকাশের সময় : ০৫:০১:৫৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ৫ ডিসেম্বর ২০২২

পাতে চব্য চোষ্য যতই থাক দই ছাড়া চলবে না। বিশেষ করে যদি বাড়িতেই দই পাতা হয়, তাহলে তো কথাই নেই। খাঁটি দুগ্ধজাত পণ্য বলে কথা! এর হাজার উপকারিতা রয়েছে। তবে দই নিয়ে বিভ্রান্তিও কম নেই। কখন খাওয়া উচিত, কোন খাবারের সঙ্গে দই খেলে শরীর খারাপের সম্ভাবনা, এই নিয়ে বিস্তর কথা হয়। এর মধ্যে বেশিরভাগেরই কোনও ভিত্তি নেই। তবে কিছু জিনিস মাথায় রাখতে হবে। সেগুলো দেখে নেওয়া যাক।

দইতে একাধিক পুষ্টি উপাদান রয়েছে। রিবোফ্লাভিন, ভিটামিন এ, ভিটামিন বি ৬, ভিটামিন বি ১২ এবং প্যান্টোথেনিক অ্যাসিডের পাওয়ার হাউস। দইতে ল্যাকটিক অ্যাসিডও রয়েছে যা পুষ্টি শোষণে সহায়তা করে।

প্রতিদিন দই খাওয়ার উপকারিতা: দই ঠান্ডা প্রকৃতির। শরীর শীতল রাখে। তাই প্রতিদিনের ডায়েটে দই রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়। মেটাবলিজম বাড়াতে, খাবার থেকে পুষ্টির শোষণ উন্নত করতে এবং হাড়ের স্বাস্থ্যকে শক্তিশালী করতে সাহায্য করে। দই ঠান্ডা প্রকৃতি হলেও সারা বছর খাওয়ার প্রধান কারণ হল স্বাস্থ্যকর প্রোবায়োটিক এবং প্রিবায়োটিকের উপস্থিতি যা অন্ত্রের স্বাস্থ্য, হজম, প্রদাহ এবং স্থূলতা কমায়।

গবেষণা কী বলছে: কখন দই খাওয়া উচিত? সম্প্রতি এই নিয়ে একটি সমীক্ষা চালান ইউনিভার্সিটি অফ উইসকনসিন-ম্যাডিসনের গবেষকরা। সেখানে দেখা গিয়েছে, খাবারের সঙ্গে বা শেষ পাতে দই খাওয়ার চেয়ে খাওয়ার দাওয়ার আগে দই খেলেই সবচেয়ে ভাল উপকার পাওয়া যায়। দেখা গিয়েছে, যে মহিলারা খাওয়ার আগে দই খান তাঁদের অন্ত্রে প্রদাহের সমস্যা অনেক কম। পাশাপাশি হজমও ভাল হয়।

শীতকালে দই: দই ঠান্ডা প্রকৃতির হলেও শীতকালে খাওয়া যায়। শুধু দইয়ের সঙ্গে মধু, এবং মশলা যেমন কালো গোলমরিচ বা ভাজা জিরে গুঁড়ো মিশিয়ে নিতে হবে। তাহলে আর ঠান্ডা লেগে যাওয়ার ভয় থাকবে না। শীতকালে দই শক্তির ভারসাম্য বজায় রাখে। শরীরে শ্লেষ্মার গঠন কমায়। হজমশক্তি বাড়ায় এবং কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা নিরাময় করে। তবে স্থূলতা এবং রক্তপাতজনিত ব্যাধি থাকলে দই এড়িয়ে যাওয়াই ভাল।