মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

দিনের কোন সময় ব্যায়াম করলে ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমে?

ছবি সংগৃহীত

ডায়াবেটিস মারণ রোগ। নিয়মিত ওষুধ তো খেতেই হবে, পরিবর্তন আনতে হবে জীবনযাত্রাতেও। সুষম খাদ্য গ্রহণ, নিয়মিত ব্যায়াম ডায়াবেটিস প্রতিরোধে সাহায্য করে। তবে ব্যায়ামের ক্ষেত্রে সময় খুব গুরুত্বপূর্ণ। কোন সময়ে ব্যায়াম করা হচ্ছে, তার উপর নির্ভর করে কতটা স্বাস্থ্য উপকারিতা মিলবে। সাম্প্রতিক একটি গবেষণায় উঠে এসেছে এমনই তথ্য। দেখা গিয়েছে, যাঁরা ভোরে ব্যায়াম করেন তাঁদের তুলনায় যাঁরা সন্ধ্যায় ব্যায়াম করেন তাঁদের ডায়াবেটিস হওয়ার সম্ভাবনা কম।

গবেষণা কী বলছে: নেদারল্যান্ডসের বিজ্ঞানীরা দেখেছেন, দিনের শেষ ভাগে নিয়মিত ব্যায়াম করা প্রাপ্তবয়স্কদের রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা অনেক বেশি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। ডায়াবেটোলজিয়া জার্নালে এই গবেষণাপত্র প্রকাশিত হয়েছে। ৭৭৫ জন ডাচ পুরুষ এবং মহিলাদের উপর ব্যায়াম নিয়ে একাধিক পরীক্ষানিরীক্ষা করা হয়। অংশ গ্রহণকারীদের বয়স ছিল ৪৫ থেকে ৬৫ বছরের মধ্যে। তাঁদের ওয়ার্কআউটের সময়ের উপর ভিত্তি করে তিনটি গ্রুপে ভাগ করে দেওয়া হয়। সকাল (সকাল ৬টা থেকে দুপুর ১২টার মধ্যে), বিকেল (১২টা থেকে ৬টা) এবং সন্ধ্যায় (৬টা থেকে মধ্যরাত)।

ফলাফল: দেহের কোষ যখন ইনসুলিন হরমোনে সঠিকভাবে সাড়া দেয় না তখন তাকে ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স বলে। এর ফলে টাইপ ২ ডায়াবেটিস, গর্ভকালীন ডায়াবেটিস এবং প্রিডায়াবেটিস হতে পারে। গবেষকরা দেখেছেন, বিকাল এবং সন্ধ্যার গ্রুপের সদস্যদের ইনসুলিন প্রতিরোধ ক্ষমতা হ্রাস পেয়েছে। দিনের বদলে বিকালে বা সন্ধ্যায় ওয়ার্কআউট করার ফলে ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স ২৫ শতাংশ পর্যন্ত কমে গিয়েছে।

ফলাফল থেকে প্রাপ্তি: গবেষকরা বলছেন, শারীরিক ক্রিয়াকলাপের উপর ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স নির্ভর করে। তবে এখনই এই নিয়ে শেষ কথা বলার সময় আসেনি। আরও গবেষণা প্রয়োজন।

টাইপ ২ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি: টাইপ ২ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি রয়েছে – যাঁদের বয়স ৪০-এর বেশি, দক্ষিণ এশিয়ার মানুষদের ক্ষেত্রে ২৫, যাঁদের নিকটাত্মীয়ের ডায়াবেটিস আছে, অতিরিক্ত ওজন বা স্থূলতা এবং এশিয়, আফ্রিকান-ক্যারিবিয়ান বা আফ্রিকান বংশোদ্ভূত মানুষদের।

ডায়াবেটিসের লক্ষণ: ডায়াবেটিসের যে উপসর্গের দিকে খেয়াল রাখতে হবে – স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি প্রস্রাব, বিশেষ করে রাতে, সব সময় তৃষ্ণার্ত থাকা, যৌনাঙ্গের চারপাশে চুলকানি, কাটা বা ক্ষত সারাতে বেশি সময় নেওয়া, ঝাপসা দৃষ্টি, ক্লান্তির অনুভূতি, হঠাৎ ওজন কমে যাওয়া।

(Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি কেবলমাত্র সাধারণ তথ্যের জন্য, তাই বিস্তারিত জানতে হলে সর্বদা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।)

দিনের কোন সময় ব্যায়াম করলে ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমে?

প্রকাশের সময় : ০৫:০৬:৫৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ৫ ডিসেম্বর ২০২২

ডায়াবেটিস মারণ রোগ। নিয়মিত ওষুধ তো খেতেই হবে, পরিবর্তন আনতে হবে জীবনযাত্রাতেও। সুষম খাদ্য গ্রহণ, নিয়মিত ব্যায়াম ডায়াবেটিস প্রতিরোধে সাহায্য করে। তবে ব্যায়ামের ক্ষেত্রে সময় খুব গুরুত্বপূর্ণ। কোন সময়ে ব্যায়াম করা হচ্ছে, তার উপর নির্ভর করে কতটা স্বাস্থ্য উপকারিতা মিলবে। সাম্প্রতিক একটি গবেষণায় উঠে এসেছে এমনই তথ্য। দেখা গিয়েছে, যাঁরা ভোরে ব্যায়াম করেন তাঁদের তুলনায় যাঁরা সন্ধ্যায় ব্যায়াম করেন তাঁদের ডায়াবেটিস হওয়ার সম্ভাবনা কম।

গবেষণা কী বলছে: নেদারল্যান্ডসের বিজ্ঞানীরা দেখেছেন, দিনের শেষ ভাগে নিয়মিত ব্যায়াম করা প্রাপ্তবয়স্কদের রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা অনেক বেশি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। ডায়াবেটোলজিয়া জার্নালে এই গবেষণাপত্র প্রকাশিত হয়েছে। ৭৭৫ জন ডাচ পুরুষ এবং মহিলাদের উপর ব্যায়াম নিয়ে একাধিক পরীক্ষানিরীক্ষা করা হয়। অংশ গ্রহণকারীদের বয়স ছিল ৪৫ থেকে ৬৫ বছরের মধ্যে। তাঁদের ওয়ার্কআউটের সময়ের উপর ভিত্তি করে তিনটি গ্রুপে ভাগ করে দেওয়া হয়। সকাল (সকাল ৬টা থেকে দুপুর ১২টার মধ্যে), বিকেল (১২টা থেকে ৬টা) এবং সন্ধ্যায় (৬টা থেকে মধ্যরাত)।

ফলাফল: দেহের কোষ যখন ইনসুলিন হরমোনে সঠিকভাবে সাড়া দেয় না তখন তাকে ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স বলে। এর ফলে টাইপ ২ ডায়াবেটিস, গর্ভকালীন ডায়াবেটিস এবং প্রিডায়াবেটিস হতে পারে। গবেষকরা দেখেছেন, বিকাল এবং সন্ধ্যার গ্রুপের সদস্যদের ইনসুলিন প্রতিরোধ ক্ষমতা হ্রাস পেয়েছে। দিনের বদলে বিকালে বা সন্ধ্যায় ওয়ার্কআউট করার ফলে ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স ২৫ শতাংশ পর্যন্ত কমে গিয়েছে।

ফলাফল থেকে প্রাপ্তি: গবেষকরা বলছেন, শারীরিক ক্রিয়াকলাপের উপর ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স নির্ভর করে। তবে এখনই এই নিয়ে শেষ কথা বলার সময় আসেনি। আরও গবেষণা প্রয়োজন।

টাইপ ২ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি: টাইপ ২ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি রয়েছে – যাঁদের বয়স ৪০-এর বেশি, দক্ষিণ এশিয়ার মানুষদের ক্ষেত্রে ২৫, যাঁদের নিকটাত্মীয়ের ডায়াবেটিস আছে, অতিরিক্ত ওজন বা স্থূলতা এবং এশিয়, আফ্রিকান-ক্যারিবিয়ান বা আফ্রিকান বংশোদ্ভূত মানুষদের।

ডায়াবেটিসের লক্ষণ: ডায়াবেটিসের যে উপসর্গের দিকে খেয়াল রাখতে হবে – স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি প্রস্রাব, বিশেষ করে রাতে, সব সময় তৃষ্ণার্ত থাকা, যৌনাঙ্গের চারপাশে চুলকানি, কাটা বা ক্ষত সারাতে বেশি সময় নেওয়া, ঝাপসা দৃষ্টি, ক্লান্তির অনুভূতি, হঠাৎ ওজন কমে যাওয়া।

(Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি কেবলমাত্র সাধারণ তথ্যের জন্য, তাই বিস্তারিত জানতে হলে সর্বদা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।)