মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

এক্স-রে করেই বুঝা যাবে হার্ট অ্যাটাকের পূর্বাভাস

Heart Attack: গবেষকেরা একধরনের ‘লার্নিং মডেল’ তৈরি করেছেন, যা হার্ট অ্যাটাকের পূর্বাভাস দিতে সক্ষম। এই প্রযুক্তিকে বলা হচ্ছে সিএক্সআর-সিভিডি (CXR-CVD)। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ক্যানসার ইনস্টিটিউটে প্রযুক্তিটি নিয়ে কাজ হয়েছে।

এবার রেডিয়োলজির জগতে ঘটে গেল এক যুগান্তকারী ঘটনা। এবার থেকে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সাহায্যেই কেউ হৃদরোগ সংক্রান্ত কোনও ঝুঁকির মধ্যে আছে কি না, তা জানা যাবে। মাধ্যমটা হবে একটি এক্স-রে! বিশ্বব্যাপী মৃত্যুর অন্যতম প্রধান কারণ হৃদ্‌রোগ। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা তথা ‘হু’-র তথ্য অনুযায়ী, প্রতিবছর হৃদ্‌রোগে ১ কোটি ৭৯ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়। এ কারণে গবেষকেরা দীর্ঘদিন ধরে হৃদ্‌রোগের আশঙ্কা ও এর প্রতিরোধের বিষয়টি নিয়ে কাজ করছেন। তবে এতদিন যে স্তরে এই কাজ হত, সেটাও বদলে গিয়েছে। এখন গবেষকেরা এই কাজে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকেও কাজে লাগাচ্ছেন। তাঁরা বলছেন, আর ইকোকার্ডিয়োগ্রামের উপর নির্ভর করতে হবে না, এখন থেকে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সাহায্যে শুধু চেস্ট এক্স-রে করেই তা থেকে হৃদ্‌রোগের কোনও আশঙ্কা আছে কিনা তা নির্ণয় করা যাবে। চিকিৎসাবিজ্ঞানে তথা রেডিয়োলজিতে এই ঘটনাকে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।

এ জন্য গবেষকেরা একধরনের ‘লার্নিং মডেল’ তৈরি করেছেন, যা হৃদরোগের কারণে হার্ট অ্যাটাক বা স্ট্রোকের পূর্বাভাস দিতে সক্ষম। এই প্রযুক্তিকে বলা হচ্ছে সিএক্সআর-সিভিডি(CXR-CVD)। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ক্যানসার ইনস্টিটিউটে এই প্রযুক্তি নিয়ে গবেষণা হয়েছে। এই প্রযুক্তি পরীক্ষামূলক ভাবে ১১৪৩০ জন রোগীর উপর পরীক্ষাও করা হয়েছে। রেডিয়োলজিক্যাল সোসাইটি অব নর্থ আমেরিকার (আরএসএনএ) বার্ষিক সভায় ঘোষণা করা হয়েছে এই পরীক্ষার ফল। গবেষকেরা বলেছেন, তাঁদের লার্নিং মডেল বা ডিপ লার্নিং বিষয়টি হচ্ছে উন্নত কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার একটি ধরন, যার মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট এক্স-রে ইমেজ অনুসন্ধান করে কোনও ব্যক্তির হৃদরোগের ধরন সম্পর্কে আঁচ করা যেতে পারে।

গবেষণানিবন্ধের প্রধান লেখক জ্যাকব ওয়েইস বলেছেন, ‘এক্স-রে ছবি ব্যবহার করে হৃদরোগের ঝুঁকি নির্ণয়ের সম্ভাব্য সমাধান আমাদের এই ‘ডিপ লার্নিং মডেল’। জেনে বা না-জেনে যাঁরা হৃদরোগ সংক্রান্ত কোনও ঝুঁকির মধ্যে আছেন কিন্তু সেজন্য তখনও পর্যন্ত কোনও চিকিৎসা নেওয়া হয়ে ওঠেনি তাঁদের, তাঁরা এই নব-উদ্ভাবিত কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তি কাজে লাগাতে পারেন।

ওয়ানডে তিন ম্যাচের সিরিজে শেষখেলায় শ্রীলংকাকে ৪ উইকেটে হারাল বাংলাদেশ

এক্স-রে করেই বুঝা যাবে হার্ট অ্যাটাকের পূর্বাভাস

প্রকাশের সময় : ০৭:৫১:১৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ৫ ডিসেম্বর ২০২২

Heart Attack: গবেষকেরা একধরনের ‘লার্নিং মডেল’ তৈরি করেছেন, যা হার্ট অ্যাটাকের পূর্বাভাস দিতে সক্ষম। এই প্রযুক্তিকে বলা হচ্ছে সিএক্সআর-সিভিডি (CXR-CVD)। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ক্যানসার ইনস্টিটিউটে প্রযুক্তিটি নিয়ে কাজ হয়েছে।

এবার রেডিয়োলজির জগতে ঘটে গেল এক যুগান্তকারী ঘটনা। এবার থেকে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সাহায্যেই কেউ হৃদরোগ সংক্রান্ত কোনও ঝুঁকির মধ্যে আছে কি না, তা জানা যাবে। মাধ্যমটা হবে একটি এক্স-রে! বিশ্বব্যাপী মৃত্যুর অন্যতম প্রধান কারণ হৃদ্‌রোগ। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা তথা ‘হু’-র তথ্য অনুযায়ী, প্রতিবছর হৃদ্‌রোগে ১ কোটি ৭৯ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়। এ কারণে গবেষকেরা দীর্ঘদিন ধরে হৃদ্‌রোগের আশঙ্কা ও এর প্রতিরোধের বিষয়টি নিয়ে কাজ করছেন। তবে এতদিন যে স্তরে এই কাজ হত, সেটাও বদলে গিয়েছে। এখন গবেষকেরা এই কাজে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকেও কাজে লাগাচ্ছেন। তাঁরা বলছেন, আর ইকোকার্ডিয়োগ্রামের উপর নির্ভর করতে হবে না, এখন থেকে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সাহায্যে শুধু চেস্ট এক্স-রে করেই তা থেকে হৃদ্‌রোগের কোনও আশঙ্কা আছে কিনা তা নির্ণয় করা যাবে। চিকিৎসাবিজ্ঞানে তথা রেডিয়োলজিতে এই ঘটনাকে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।

এ জন্য গবেষকেরা একধরনের ‘লার্নিং মডেল’ তৈরি করেছেন, যা হৃদরোগের কারণে হার্ট অ্যাটাক বা স্ট্রোকের পূর্বাভাস দিতে সক্ষম। এই প্রযুক্তিকে বলা হচ্ছে সিএক্সআর-সিভিডি(CXR-CVD)। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ক্যানসার ইনস্টিটিউটে এই প্রযুক্তি নিয়ে গবেষণা হয়েছে। এই প্রযুক্তি পরীক্ষামূলক ভাবে ১১৪৩০ জন রোগীর উপর পরীক্ষাও করা হয়েছে। রেডিয়োলজিক্যাল সোসাইটি অব নর্থ আমেরিকার (আরএসএনএ) বার্ষিক সভায় ঘোষণা করা হয়েছে এই পরীক্ষার ফল। গবেষকেরা বলেছেন, তাঁদের লার্নিং মডেল বা ডিপ লার্নিং বিষয়টি হচ্ছে উন্নত কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার একটি ধরন, যার মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট এক্স-রে ইমেজ অনুসন্ধান করে কোনও ব্যক্তির হৃদরোগের ধরন সম্পর্কে আঁচ করা যেতে পারে।

গবেষণানিবন্ধের প্রধান লেখক জ্যাকব ওয়েইস বলেছেন, ‘এক্স-রে ছবি ব্যবহার করে হৃদরোগের ঝুঁকি নির্ণয়ের সম্ভাব্য সমাধান আমাদের এই ‘ডিপ লার্নিং মডেল’। জেনে বা না-জেনে যাঁরা হৃদরোগ সংক্রান্ত কোনও ঝুঁকির মধ্যে আছেন কিন্তু সেজন্য তখনও পর্যন্ত কোনও চিকিৎসা নেওয়া হয়ে ওঠেনি তাঁদের, তাঁরা এই নব-উদ্ভাবিত কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তি কাজে লাগাতে পারেন।