বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

ঐতিহাসিক যশোর মুক্ত দিবস আজ

  • যশোর অফিস।।
  • প্রকাশের সময় : ০৮:০৭:৪৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৬ ডিসেম্বর ২০২২
  • ৩৮

আজ ৬ ডিসেম্বর। ঐতিহাসিক যশোর মুক্ত দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিন সর্ব প্রথম যশোরের উঠেছিল বিজয় নিশান স্বাধীন বাংলাদেশের রক্তসূর্য খচিত গাঢ় সবুজ পতাকা। এদিন বিকেলে যশোর সেনানিবাস ছেড়ে পালিয়ে যায় হানাদার বাহিনী। এদিকে ৭১- এ ৩,৪ ও ৫ ডিসেম্বর থেকে যশোর অঞ্চলের বিভিন্ন স্থান থেকে হানাদার বাহিনীর সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধাদের প্রচন্ড যুদ্ধ হয়। মুক্তিবাহিনীও সীমান্ত এলাকা থেকে যশোর সেনানিবাসসহ পাক সেনাদের বিভিন্ন স্থাপনায় বিমান হামলা ও গোলা নিক্ষেপ করে। এক পর্যায়ে পর্যদুস্ত পাক বাহিনী ৫ ডিসেম্বর থেকে পলায়ন শুরু করে। যশোর সেনানিবাস ছেড়ে তারা ছিন্নভিন্ন হয়ে খুলনা গিলাতলা সেনানিবাসের দিকে পালিয়ে যেতে থাকে। পলায়নকালে ৫ ও ৬ ডিসেম্বর শহরতলীর রাজারহাটসহ বিভিন্ন স্থানে মুক্তিবাহিনীর সঙ্গে প্রচন্ড লড়াই হয়। ৬ ডিসেম্বর বিকেলের আগেই যশোর সেনানিবাস খালি করে পালিয়ে যায় পাক হানাদাররা। বিকেলে মিত্র বাহিনীর কমান্ডার জেনারেল বারাতের নেতৃত্বে মিত্র ও মুক্তি বাহিনী সেনানিবাসে প্রবেশ করে দখলে নেয়। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে মুক্তির আনন্দে উচ্ছ্বসিত মুক্তিযোদ্ধা-জনতার ঢল নামে শহরে। পাড়া মহল্লায়ও চলে মুক্তির উচ্ছ্বাস। বের হয় খন্ড খন্ড মিছিল। মুক্তির আনন্দে শ্লোগানে শ্লোগানে ফেটে পড়ে গোটা জেলার মানুষ। মুক্তিযুদ্ধের বীরত্ব গাঁথা ঐতিহাসিক ৬ ডিসেম্বর যশোর মুক্ত দিবস যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপনে জেলা প্রশাসন বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে

ঐতিহাসিক যশোর মুক্ত দিবস আজ

প্রকাশের সময় : ০৮:০৭:৪৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৬ ডিসেম্বর ২০২২

আজ ৬ ডিসেম্বর। ঐতিহাসিক যশোর মুক্ত দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিন সর্ব প্রথম যশোরের উঠেছিল বিজয় নিশান স্বাধীন বাংলাদেশের রক্তসূর্য খচিত গাঢ় সবুজ পতাকা। এদিন বিকেলে যশোর সেনানিবাস ছেড়ে পালিয়ে যায় হানাদার বাহিনী। এদিকে ৭১- এ ৩,৪ ও ৫ ডিসেম্বর থেকে যশোর অঞ্চলের বিভিন্ন স্থান থেকে হানাদার বাহিনীর সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধাদের প্রচন্ড যুদ্ধ হয়। মুক্তিবাহিনীও সীমান্ত এলাকা থেকে যশোর সেনানিবাসসহ পাক সেনাদের বিভিন্ন স্থাপনায় বিমান হামলা ও গোলা নিক্ষেপ করে। এক পর্যায়ে পর্যদুস্ত পাক বাহিনী ৫ ডিসেম্বর থেকে পলায়ন শুরু করে। যশোর সেনানিবাস ছেড়ে তারা ছিন্নভিন্ন হয়ে খুলনা গিলাতলা সেনানিবাসের দিকে পালিয়ে যেতে থাকে। পলায়নকালে ৫ ও ৬ ডিসেম্বর শহরতলীর রাজারহাটসহ বিভিন্ন স্থানে মুক্তিবাহিনীর সঙ্গে প্রচন্ড লড়াই হয়। ৬ ডিসেম্বর বিকেলের আগেই যশোর সেনানিবাস খালি করে পালিয়ে যায় পাক হানাদাররা। বিকেলে মিত্র বাহিনীর কমান্ডার জেনারেল বারাতের নেতৃত্বে মিত্র ও মুক্তি বাহিনী সেনানিবাসে প্রবেশ করে দখলে নেয়। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে মুক্তির আনন্দে উচ্ছ্বসিত মুক্তিযোদ্ধা-জনতার ঢল নামে শহরে। পাড়া মহল্লায়ও চলে মুক্তির উচ্ছ্বাস। বের হয় খন্ড খন্ড মিছিল। মুক্তির আনন্দে শ্লোগানে শ্লোগানে ফেটে পড়ে গোটা জেলার মানুষ। মুক্তিযুদ্ধের বীরত্ব গাঁথা ঐতিহাসিক ৬ ডিসেম্বর যশোর মুক্ত দিবস যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপনে জেলা প্রশাসন বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে