শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

যেসব বিউটি প্রোডাক্ট ব্যবহারে হতে পারে ক্যানসার!

ছবিঃ সংগৃহীত

নিজেকে সুন্দর করে সাজাতে সবাই ভালোবাসে। বিশেষ দিনে সবাই নিজেকে একটু আলাদাভাবেই দেখতে চায়। এর জন্য অনেকেই সাহায্য নেন বিভিন্ন ধরনের মেকআপ প্রোডাক্টের। কিন্তু এতে করে যে নিজেকে ক্যানসারের দিকে নিজেকে ঠেলে দিচ্ছেন তা কি জানেন?

বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, বিভিন্ন ধরনের মেকআপ প্রোডাক্টগুলো বিষাক্ত রাসায়নিক প্রোডাক্ট দিয়ে তেরি। যেগুলো ব্যবহারে শরীরে দেখা দেয় নানা ধরনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া। প্রথমদিকে এসব প্রোডাক্ট ব্যবহারে চুলকানি, র‌্যাশ দেখা দেয়। এরপরই সমস্যা দেখা দেয় ব্রণ আর একনির সমস্যা।

এ বিষয়ে স্কিন বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, মেকআপ প্রোডাক্ট দিয়ে ক্ষণিকের জন্য সুন্দর হওয়া গেলেও তা পরে বিপদ ডেকে আনে। এসব প্রসাধনী সুন্দর করে তোলার পরিবর্তে বরং আপনাকে আরও অসুস্থ করে তোলে।

এসব প্রোডাক্ট অতিরিক্ত ব্যবহার করলে কিংবা ত্বকে বেশি সময়ের জন্য রেখে দিলে ত্বকের হরমোন পরিবর্তন হওয়ার সুযোগ পায়, যা ক্যানসারের ঝুঁকিকে বাড়িয়ে তোলে।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজার পত্রিকায় প্রকাশিত হওয়া এক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, এ বিষয়ে কথা বলেছেন ভারতীয় চিকিৎসক স্মিতা ভোইর পাতিল।

ত্বকের জন্য যেসব প্রসাধনী ক্ষতিকর সেগুলোর মধ্যে প্রথমেই রয়েছে কমপ্যাক্ট বা ট্যালকম পাউডার। এসব প্রোডাক্টের উপাদান ত্বকের জন্য ক্ষতিকর। কারণ মিহি গুঁড়ো হওয়ার কারণে এগুলো ত্বকের ছিদ্র বন্ধ করে দেয়। ফলে অক্সিজেনের অভাবে ত্বকের সুস্থ কোষগুলো নষ্ট হতে শুরু করে যা ত্বকে রিংকেল বা বলিরেখার জন্য দায়ী।

তা ছাড়া ট্যালকম পাউডারে অ্যাসবেস্টস এবং স্পাস্টিক নামক পদার্থ থাকে যা ফুসফুসের ক্যানসারের কারণ হতে পারে। ক্ষতিকর প্রোডাক্টের মধ্যে রয়েছে নেইলপলিশের নামও।

নেইলপলিশে টলিউইন, ফরমালডিহাইড এবং ডিবিউটাইল ফ্যাথালেটের মতো ক্ষতিকারক রাসায়নিক থাকে। অন্যদিকে, নেইল পেইন্ট রিমুভারে অ্যাসিটোন থাকে আর এসব পদার্থ খুবই বিষাক্ত।

এসব উপাদান হরমোনের শুধু পরিবর্তনই করে না ডায়াবিটিস এবং থাইরয়েডের ভারসাম্যহীনতার ঝুঁকি বাড়াতে সাহায্য করে। এ ছাড়া এটি কিডনি এবং স্নায়ুতন্ত্রের ক্ষতির জন্য চোখের জ্বালা হওয়ার ঝুঁকি বাড়িয়ে তোলে।

এ ছাড়া ইন্টিমেট ওয়াশ, পারফিউম বা বডি স্প্রে, ফেস পাউডার, লিপস্টিক ব্যবহারেও রয়েছে ক্যানসার হওয়ার ঝুঁকি। তাই এসব সুস্থ ও নিরাপদ থাকতে এসব প্রোডাক্ট যতটা সম্ভব কম ব্যবহার করুন।

২৮ ঘন্টা বাঘের ডেরায়, রাত কেটেছে উচুঁ কেওড়া গাছের ডালে

যেসব বিউটি প্রোডাক্ট ব্যবহারে হতে পারে ক্যানসার!

প্রকাশের সময় : ০১:৩৮:২৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৬ ডিসেম্বর ২০২২

নিজেকে সুন্দর করে সাজাতে সবাই ভালোবাসে। বিশেষ দিনে সবাই নিজেকে একটু আলাদাভাবেই দেখতে চায়। এর জন্য অনেকেই সাহায্য নেন বিভিন্ন ধরনের মেকআপ প্রোডাক্টের। কিন্তু এতে করে যে নিজেকে ক্যানসারের দিকে নিজেকে ঠেলে দিচ্ছেন তা কি জানেন?

বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, বিভিন্ন ধরনের মেকআপ প্রোডাক্টগুলো বিষাক্ত রাসায়নিক প্রোডাক্ট দিয়ে তেরি। যেগুলো ব্যবহারে শরীরে দেখা দেয় নানা ধরনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া। প্রথমদিকে এসব প্রোডাক্ট ব্যবহারে চুলকানি, র‌্যাশ দেখা দেয়। এরপরই সমস্যা দেখা দেয় ব্রণ আর একনির সমস্যা।

এ বিষয়ে স্কিন বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, মেকআপ প্রোডাক্ট দিয়ে ক্ষণিকের জন্য সুন্দর হওয়া গেলেও তা পরে বিপদ ডেকে আনে। এসব প্রসাধনী সুন্দর করে তোলার পরিবর্তে বরং আপনাকে আরও অসুস্থ করে তোলে।

এসব প্রোডাক্ট অতিরিক্ত ব্যবহার করলে কিংবা ত্বকে বেশি সময়ের জন্য রেখে দিলে ত্বকের হরমোন পরিবর্তন হওয়ার সুযোগ পায়, যা ক্যানসারের ঝুঁকিকে বাড়িয়ে তোলে।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজার পত্রিকায় প্রকাশিত হওয়া এক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, এ বিষয়ে কথা বলেছেন ভারতীয় চিকিৎসক স্মিতা ভোইর পাতিল।

ত্বকের জন্য যেসব প্রসাধনী ক্ষতিকর সেগুলোর মধ্যে প্রথমেই রয়েছে কমপ্যাক্ট বা ট্যালকম পাউডার। এসব প্রোডাক্টের উপাদান ত্বকের জন্য ক্ষতিকর। কারণ মিহি গুঁড়ো হওয়ার কারণে এগুলো ত্বকের ছিদ্র বন্ধ করে দেয়। ফলে অক্সিজেনের অভাবে ত্বকের সুস্থ কোষগুলো নষ্ট হতে শুরু করে যা ত্বকে রিংকেল বা বলিরেখার জন্য দায়ী।

তা ছাড়া ট্যালকম পাউডারে অ্যাসবেস্টস এবং স্পাস্টিক নামক পদার্থ থাকে যা ফুসফুসের ক্যানসারের কারণ হতে পারে। ক্ষতিকর প্রোডাক্টের মধ্যে রয়েছে নেইলপলিশের নামও।

নেইলপলিশে টলিউইন, ফরমালডিহাইড এবং ডিবিউটাইল ফ্যাথালেটের মতো ক্ষতিকারক রাসায়নিক থাকে। অন্যদিকে, নেইল পেইন্ট রিমুভারে অ্যাসিটোন থাকে আর এসব পদার্থ খুবই বিষাক্ত।

এসব উপাদান হরমোনের শুধু পরিবর্তনই করে না ডায়াবিটিস এবং থাইরয়েডের ভারসাম্যহীনতার ঝুঁকি বাড়াতে সাহায্য করে। এ ছাড়া এটি কিডনি এবং স্নায়ুতন্ত্রের ক্ষতির জন্য চোখের জ্বালা হওয়ার ঝুঁকি বাড়িয়ে তোলে।

এ ছাড়া ইন্টিমেট ওয়াশ, পারফিউম বা বডি স্প্রে, ফেস পাউডার, লিপস্টিক ব্যবহারেও রয়েছে ক্যানসার হওয়ার ঝুঁকি। তাই এসব সুস্থ ও নিরাপদ থাকতে এসব প্রোডাক্ট যতটা সম্ভব কম ব্যবহার করুন।