শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা যশোরে

যশোরে মৃদু শৈতপ্রবাহ বিরাজ করছে, অনুভূত হচ্ছে তীব্র শীত। উত্তরের হিমেল হাওয়ার কারণে সকালে কাজে বেরিয়ে দুর্ভোগে পড়েন খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষ।

বৃহস্পতিবার (০৫ জানুয়ারি) যশোরে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বেলা ১১টা পর্যন্ত কুয়াশাচ্ছন্ন ছিল আকাশ।

যশোর বিমানবাহিনীর আবহাওয়া অধিদফতরের তথ্যমতে, যশোরে মৃদু শৈতপ্রবাহ বিরাজ করছে। বৃহস্পতিবার (০৫ জানুয়ারি) দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শুক্রবারের (০৬ জানুয়ারি) তাপমাত্রা আরও কমার শঙ্কা রয়েছে।

এর আগে গত দুদিন ধরে যশোরের তাপমাত্রা ছিল ১২ থেকে ১৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে।

আবদুস সামাদ নামে এক রিকশাচালক বলেন, সকালে রিকশা নিয়ে বের হয়েছি। ঠান্ডার কারণে রিকশা চালাতে কষ্ট হচ্ছে। হাত অবস হয়ে যাচ্ছে। আগুন পোহাতে পারলে ভালো হতো।

আব্দুল আলিম নামে এক চাকরিজীবী বলেন, সকাল ৮টার মধ্যে অফিসের উদ্দেশে বের হতে হয়। আজ প্রচণ্ড শীতের কারণে রিকশা না নিয়ে হেঁটে যাচ্ছি। যাতে শরীরটা একটু গরম থাকে।
সালাম হোসেন নামে এক হোটেল কর্মচারী বলেন, সকালে নাশতার জন্য হোটেলে চাপ থাকে। যে কারণে ফজরের আজানের পর থেকে কাজের চাপ। ওই সময় থেকে পানি ব্যবহার করছি। পানি ধরলে মনে হচ্ছে হাত অবশ হয়ে যাচ্ছে। আঙুলগুলো নাড়ানো যাচ্ছে না। তারপরও কাজ করছি। ঠান্ডায় ভয় করলে মালিক মজুরি দেবেন না।

এ দিকে ঠান্ডার কারণে জেলায় বেড়েছে জ্বর, সর্দিকাশি ও শ্বাসকষ্টজনিত রোগ। হাসপাতালে বেড়েছে শিশু রোগীর সংখ্যা।

যশোর জেনারেল হাসপাতালের শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. মাহাবুবুর রহমান জানান, প্রতিদিনই রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। বিশেষ করে সর্দি, কাশিতে আক্রান্ত শিশুদের নিয়ে অভিভাবকরা হাসপাতালে আসছেন। এ অবস্থায় শিশুদের গরম কাপড়ে রাখা ও গরম খাবার খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছি।

দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা যশোরে

প্রকাশের সময় : ০৩:১৯:৪২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৫ জানুয়ারী ২০২৩

যশোরে মৃদু শৈতপ্রবাহ বিরাজ করছে, অনুভূত হচ্ছে তীব্র শীত। উত্তরের হিমেল হাওয়ার কারণে সকালে কাজে বেরিয়ে দুর্ভোগে পড়েন খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষ।

বৃহস্পতিবার (০৫ জানুয়ারি) যশোরে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বেলা ১১টা পর্যন্ত কুয়াশাচ্ছন্ন ছিল আকাশ।

যশোর বিমানবাহিনীর আবহাওয়া অধিদফতরের তথ্যমতে, যশোরে মৃদু শৈতপ্রবাহ বিরাজ করছে। বৃহস্পতিবার (০৫ জানুয়ারি) দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শুক্রবারের (০৬ জানুয়ারি) তাপমাত্রা আরও কমার শঙ্কা রয়েছে।

এর আগে গত দুদিন ধরে যশোরের তাপমাত্রা ছিল ১২ থেকে ১৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে।

আবদুস সামাদ নামে এক রিকশাচালক বলেন, সকালে রিকশা নিয়ে বের হয়েছি। ঠান্ডার কারণে রিকশা চালাতে কষ্ট হচ্ছে। হাত অবস হয়ে যাচ্ছে। আগুন পোহাতে পারলে ভালো হতো।

আব্দুল আলিম নামে এক চাকরিজীবী বলেন, সকাল ৮টার মধ্যে অফিসের উদ্দেশে বের হতে হয়। আজ প্রচণ্ড শীতের কারণে রিকশা না নিয়ে হেঁটে যাচ্ছি। যাতে শরীরটা একটু গরম থাকে।
সালাম হোসেন নামে এক হোটেল কর্মচারী বলেন, সকালে নাশতার জন্য হোটেলে চাপ থাকে। যে কারণে ফজরের আজানের পর থেকে কাজের চাপ। ওই সময় থেকে পানি ব্যবহার করছি। পানি ধরলে মনে হচ্ছে হাত অবশ হয়ে যাচ্ছে। আঙুলগুলো নাড়ানো যাচ্ছে না। তারপরও কাজ করছি। ঠান্ডায় ভয় করলে মালিক মজুরি দেবেন না।

এ দিকে ঠান্ডার কারণে জেলায় বেড়েছে জ্বর, সর্দিকাশি ও শ্বাসকষ্টজনিত রোগ। হাসপাতালে বেড়েছে শিশু রোগীর সংখ্যা।

যশোর জেনারেল হাসপাতালের শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. মাহাবুবুর রহমান জানান, প্রতিদিনই রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। বিশেষ করে সর্দি, কাশিতে আক্রান্ত শিশুদের নিয়ে অভিভাবকরা হাসপাতালে আসছেন। এ অবস্থায় শিশুদের গরম কাপড়ে রাখা ও গরম খাবার খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছি।