শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

বিদেশি মুরগী খামার করে স্বাবলম্বী  জাহাঙ্গীর স্বপ্ন গিনেস বুক নাম লেখানোর

বিদেশি বিভিন্ন জাতের মুরগীর খামার করে স্বাবলম্বী হয়েছেন, স্বপ্ন দেখছেন গিনেস বুকে নাম লেখাবেন৷ তিনি রাজবাড়ীর কালুখালী উপজেলার বোয়ালিয়া ইউনিয়নের বাংলাদেশ হাট গ্রামের মৃত আমীর হোসেনের ছেলে জাহাঙ্গীর হোসেন (৩৭)। বর্তমানে তার খামারে ৪৮ টি বিদেশি জাতের  প্রায় দুই শতাধিক মুরগী রয়েছে।

বিভিন্ন জাতের এই মুরগী দেখতে  প্রায় প্রতিদিনই  ফরিদপুর, কুষ্টিয়া, পাবনা সহ দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে অসংখ্য দর্শনার্থী ভিড় করছেন তার খামারে।
জানাযায়, পিতার মৃত্যুর পর অার্থিক সংকটের কারনে পরা-শোনা শেষ করতে পারেননি জাহাঙ্গীর। পারিবারিক স্বচ্ছলতা আনতে পাড়ি দেন বিদেশে কিন্তু ভাগ্য সহায় হয় নি! দালালের খপ্পরে পরে প্রতারনার শিকার হন। ২০১৬ সালে ভারতে গিয়ে বিভিন্ন জাতের মুরগীর খামার পর্যবেক্ষন  করেন, এবং দেশে এসে চার জোড়া বিদেশি মুরগী দিয়ে স্বল্প পরিসরে খামার শুরু করেন। তারই ধারাবাহিকতায় বিভিন্ন জাতের মুরগী সংগ্রহ করতে শুরু করেন।
তার খামারে, উইনডট, কসমো,বেলজিয়াম বিয়ার্ড, সিলভারলেস সেরেমা,ইওকোহামা,মর্ডান গেম,সুমাত্রা সহ ৪৮ জাতের মুরগী রয়েছে। এসব মুরগী ১৫ হাজার থেকে শুরু করে প্রায় লাখ টাকায় বিক্রি হয়।
এসম্পর্কে খামারি জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, বাবার মৃত্যুর পর আর্থিক সংকটের কারনে পরালেখা চালিয়ে যেতে পারিনি। বিদেশ যাওযার জন্য কয়েক দফায় প্রতারনার শিকার হই। পরে ভারতে গিয়ে বিভিন্ন জাতের মুরগী খামার দেখে উৎসাহিত হই। সেখান থেকে চার জোড়া বিদেশি  মুরগী দেশে এনে  খামার শুরু করি। ইত্যাদি এগ্রো এন্ড হ্যাচারী  নামে আমার একটি অনলাইন পেজ আছে এবং অনলাইনের মাধ্যমেও এখন মুরগী বিক্রি হচ্ছে।
তিনি আরো বলেন এখন যদি সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা পাই তাহলে  সবচেয়ে বেশি বিদেশি জাতের মুরগী সংগ্রহকারী হিসেবে গিনেস বুকে নেজের নাম লেখনোর স্বপ্ন।
দর্শনার্থী  ইন্টারনেট ব্যবসায়ী কামরুল চিশতি,হাসান কাদরি সহ অনেকে বলেন ফেসবুকের মাধ্যমে জনতে পেরে খামার  দেখতে এসেছি। বিভিন্ন জাতের মুরগী  দেখে ভালো লাগছে।

বিদেশি মুরগী খামার করে স্বাবলম্বী  জাহাঙ্গীর স্বপ্ন গিনেস বুক নাম লেখানোর

প্রকাশের সময় : ০৩:৪৪:২০ অপরাহ্ন, বুধবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৩

বিদেশি বিভিন্ন জাতের মুরগীর খামার করে স্বাবলম্বী হয়েছেন, স্বপ্ন দেখছেন গিনেস বুকে নাম লেখাবেন৷ তিনি রাজবাড়ীর কালুখালী উপজেলার বোয়ালিয়া ইউনিয়নের বাংলাদেশ হাট গ্রামের মৃত আমীর হোসেনের ছেলে জাহাঙ্গীর হোসেন (৩৭)। বর্তমানে তার খামারে ৪৮ টি বিদেশি জাতের  প্রায় দুই শতাধিক মুরগী রয়েছে।

বিভিন্ন জাতের এই মুরগী দেখতে  প্রায় প্রতিদিনই  ফরিদপুর, কুষ্টিয়া, পাবনা সহ দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে অসংখ্য দর্শনার্থী ভিড় করছেন তার খামারে।
জানাযায়, পিতার মৃত্যুর পর অার্থিক সংকটের কারনে পরা-শোনা শেষ করতে পারেননি জাহাঙ্গীর। পারিবারিক স্বচ্ছলতা আনতে পাড়ি দেন বিদেশে কিন্তু ভাগ্য সহায় হয় নি! দালালের খপ্পরে পরে প্রতারনার শিকার হন। ২০১৬ সালে ভারতে গিয়ে বিভিন্ন জাতের মুরগীর খামার পর্যবেক্ষন  করেন, এবং দেশে এসে চার জোড়া বিদেশি মুরগী দিয়ে স্বল্প পরিসরে খামার শুরু করেন। তারই ধারাবাহিকতায় বিভিন্ন জাতের মুরগী সংগ্রহ করতে শুরু করেন।
তার খামারে, উইনডট, কসমো,বেলজিয়াম বিয়ার্ড, সিলভারলেস সেরেমা,ইওকোহামা,মর্ডান গেম,সুমাত্রা সহ ৪৮ জাতের মুরগী রয়েছে। এসব মুরগী ১৫ হাজার থেকে শুরু করে প্রায় লাখ টাকায় বিক্রি হয়।
এসম্পর্কে খামারি জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, বাবার মৃত্যুর পর আর্থিক সংকটের কারনে পরালেখা চালিয়ে যেতে পারিনি। বিদেশ যাওযার জন্য কয়েক দফায় প্রতারনার শিকার হই। পরে ভারতে গিয়ে বিভিন্ন জাতের মুরগী খামার দেখে উৎসাহিত হই। সেখান থেকে চার জোড়া বিদেশি  মুরগী দেশে এনে  খামার শুরু করি। ইত্যাদি এগ্রো এন্ড হ্যাচারী  নামে আমার একটি অনলাইন পেজ আছে এবং অনলাইনের মাধ্যমেও এখন মুরগী বিক্রি হচ্ছে।
তিনি আরো বলেন এখন যদি সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা পাই তাহলে  সবচেয়ে বেশি বিদেশি জাতের মুরগী সংগ্রহকারী হিসেবে গিনেস বুকে নেজের নাম লেখনোর স্বপ্ন।
দর্শনার্থী  ইন্টারনেট ব্যবসায়ী কামরুল চিশতি,হাসান কাদরি সহ অনেকে বলেন ফেসবুকের মাধ্যমে জনতে পেরে খামার  দেখতে এসেছি। বিভিন্ন জাতের মুরগী  দেখে ভালো লাগছে।