মিরপুরে পয়েন্ট তালিকার শীর্ষ দুই দলের লড়াইয়ে শেষ হাসি হাসল সিলেট স্ট্রাইকার্স। আগে ব্যাট করতে নেমে নাজমুল হাসান শান্তর ঝোড়ো ইনিংসে স্কোরবোর্ডে চ্যালেঞ্জিং সংগ্রহ জমা করেছিল সিলেট স্ট্রাইকার্স। জবাব দিতে নেমে একটা সময় পর্যন্ত দারুণ জবাব দিতে থাকা বরিশাল এক সময়ে খেই হারিয়ে ফেলে। তবে শেষ পর্যন্ত লড়াই করে মাত্র ২ রানে হেরে যায় সাকিবের দল।
৩০ বলে ৪০ রান করে মুরেস ফিরলেও শান্ত অপরাজিত থাকেন শেষ পর্যন্ত। ফর্মে থাকা এই ব্যাটার এদিন খেলেছেন ৬৬ বলে ৮৯ রানের ইনিংস। তার ইনিংসে ছিল ১১টি চার ও ১টি ছয়ের মার। এ ছাড়াও থিসারা পেরেরা করেন ২১ রান। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৭৩ রান সংগ্রহ করে সিলেট।
বরিশালের পক্ষে মোহাম্মদ ওয়াসিম ৩টি উইকেট শিকার করেন। বাকি ২টি উইকেট ভাগাভাগি করেন সাকিব আল হাসান ও কামরুল হাসান রাব্বি।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে ব্যাট হাতে ঝড় তোলেন সাইফ হাসান। মাত্র ৪.৫ ওভারে ইবরাহিম জদরানের সঙ্গে জুটিতে দলের খাতায় যোগ করেন ৪২ রান। ১৯ বলে ৩১ রান করে তানজিম সাকিবের বলে মুশফিকের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন সাইফ। তার ইনিংসে ছিল ৪টি ছয়ের মার।
সাইফের পর দ্রুত বিদায় নেন এনামুল হক বিজয়ও। ৪৬ রানে দুই উইকেট হারানো বরিশাল অবশ্য কক্ষপথেই ছিল ইবরাহিম-সাকিব জুটির কল্যাণে। মাত্র ৩৩ বলে ৬১ রান যোগ করে এই জুটি।
তবে এরপরই ছন্দপতন। রেজাউর রহমান রাজার এক ওভারে আউট হয়ে ফেরেন ইবরাহিম ও সাকিব। ৩৭ বলে ৪২ রান করার পথে ৪টি চার ও ২টি ছয় হাঁকান ইবরাহিম। সেই ওভারের শেষ বলেই সাকিবের স্টাম্প উপড়ে ফেলেন রাজা। আউট হওয়ার আগে ১৮ বলে ৩ চার ও ১ ছয়ে ২৯ রান করেন সাকিব।
এরপরও করিম জানাত ও ইফতেখার আহমেদের ব্যাটে জয়ের স্বপ্ন দেখছিল বরিশাল। মাশরাফীর এক ওভারে ৩ ছয়ে ম্যাচের সমীকরণ বেশ সহজ করে এনেছিলেন করিম জানাত। তবে মোহাম্মদ আমিরের বলে ১২ বলে ২১ রান করা জানাতের বিদায়ের পর ম্যাচ হেলে পড়ে সিলেটের দিকে।