বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

গণতন্ত্র ফিরে পেতে দেশের মানুষ আজ ঐক্যবদ্ধ: মির্জা ফখরুল

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, গণতন্ত্র ফিরে পেতে দেশের মানুষ আজ ঐক্যবদ্ধ। আন্দোলনের মাধ্যমে সরকারের পতন ঘটানো হবে। আমাদের চলমান আন্দোলন সফল হবে বলে আশা করি। এ দানবীয় সরকারের পতন ঘটিয়ে দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা হবে। মঙ্গলবার খালেদা জিয়ার কনিষ্ঠ পুত্র আরাফাত রহমান কোকোর কবর জিয়ারত শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।

এদিকে কুরআনখানি, মিলাদ মাহফিলসহ নানা আয়োজনে পালিত হয়েছে আরাফাত রহমান কোকোর ৮ম মৃত্যুবার্ষিকী। দিবসটি উপলক্ষ্যে বনানীতে তার কবরে পুষ্পমাল্য অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানায় বিএনপি ও বিভিন্ন সংগঠন। সকালে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে নেতাকর্মীরা ফাতেহা পাঠ করে কবরে পুষ্পমাল্য অপর্ণ করেন। এরপর তার আত্মীর মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাতে অংশ নেন নেতাকর্মীরা।

এ সময় মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, আরাফাত রহমান কোকো একটি রাজনৈতিক পরিবারের সন্তান হয়েও তিনি নিজে রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন না। কিন্তু দুর্ভাগ্যক্রমে সরকারের রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হয়েই তাকে মৃত্যুবরণ করতে হয়। তিনি বলেন, এদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে সবচেয়ে কলঙ্কময় ওয়ান-ইলেভেনের পর কোকোকে মিথ্যা মামলায় গ্রেফতার করা হয়। পরে তাকে করা হয় নির্বাসিত। বিদেশের মাটিতে ভালো চিকিৎসা না পেয়ে তাকে চলে যেতে হয়েছে। আমরা তার আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি।

এ সময়ে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, জয়নুল আবদিন ফারুক, কেন্দ্রীয় নেতা নাজিম উদ্দিন আলম, তাবিথ আউয়াল, মীর সরাফত আলী সপু, মীর নেওয়াজ আলী নেওয়াজ, রফিক শিকদার, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি নেতা নবীউল্লাহ নবী, যুবদলের মামুন হাসান, মোনায়েম মুন্না, শফিকুল ইসলাম মিল্টনসহ বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

এরপর বিএনপি মিডিয়া সেল, জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশন, ইউনিভার্সিটি টিচার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ-ইউট্যাব, আরাফাত রহমান কোকো স্মৃতি পরিষদ, ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপিসহ বিভিণ্ন সংগঠন প্রয়াতের কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানায়। এ সময় মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক জহিরউদ্দিন স্বপন, সদস্য সচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, সদস্য অধ্যাপক মোর্শেদ হাসান খান, শাম্মী আক্তার, আতিকুর রহমান রুমন, শায়রুল কবির খান উপস্থিত ছিলেন।

এদিকে দুপুরে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এবং বিকালে গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে কোকোর মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে মিলাদ ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়।

গুলশান কার্যালয়ে দোয়া মাহফিলে অংশ নিয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ওয়ান-ইলেভেন সরকার কোকোর ওপর অমানুষিক নির্যাতন চালিয়েছে। পরে চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানো হলেও তিনি আর সুস্থ হয়ে ফিরে আসতে পারেননি।

মিলাদ মাহফিলে স্কাইপের মাধ্যমে লন্ডন থেকে অংশ নেন কোকোর বড় ভাই বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। এছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার জমিরউদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, ড. আব্দুল মঈন খান, বেগম সেলিমা রহমান, কেন্দ্রীয় নেতা বরকতউল্লাহ বুলু, মীর মোহাম্মদ নাছির, এজেডএম জাহিদ হোসেন, আবুল খায়ের ভূঁইয়া, ইসমাঈল জবিউল্যাহ, অধ্যাপক ড. শাহিদা রফিক, হাবিবুর রহমান হাবিব, তাহমিনা রুশদীর লুনা, অধ্যাপক ডা. সিরাজ উদ্দিন আহমেদ, অধ্যাপক সুকোমল বড়ুয়া, আফরোজা খান রিতা, মজিবুর রহমান সারোয়ার, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, হাবিব-উন-নবী খান সোহেল, শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি। মিলাদে আরও অংশ নেন বিএম আব্দুস সাত্তার, শামা ওবায়েদ, রিয়াজ উদ্দিন নসু, আফরোজা আব্বাস, সুলতানা আহমেদ, নেওয়াজ হালিমা আরলী, ইশরাক হোসেন, শামসুদ্দিন দিদার প্রমুখ।

কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দোয়া মাহফিলে অংশ নিয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেন, বাংলাদেশে সবচেয়ে প্রিয় পরিবার জিয়া পরিবার। তিনি বলেন, ক্রিকেটের মানোন্নয়নের জন্য কোকো যে কাজ করে গিয়েছেন, তার উপরে আজ বাংলাদেশের ক্রিকেট দাঁড়িয়ে আছে। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা আহমেদ আজম খান, আবদুস সালাম, সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, আবদুস সালাম আজাদ, শিরিন সুলতানা, বেলাল আহমেদ প্রমুখ।

গণতন্ত্র ফিরে পেতে দেশের মানুষ আজ ঐক্যবদ্ধ: মির্জা ফখরুল

প্রকাশের সময় : ১০:৩৫:১৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২৩

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, গণতন্ত্র ফিরে পেতে দেশের মানুষ আজ ঐক্যবদ্ধ। আন্দোলনের মাধ্যমে সরকারের পতন ঘটানো হবে। আমাদের চলমান আন্দোলন সফল হবে বলে আশা করি। এ দানবীয় সরকারের পতন ঘটিয়ে দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা হবে। মঙ্গলবার খালেদা জিয়ার কনিষ্ঠ পুত্র আরাফাত রহমান কোকোর কবর জিয়ারত শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।

এদিকে কুরআনখানি, মিলাদ মাহফিলসহ নানা আয়োজনে পালিত হয়েছে আরাফাত রহমান কোকোর ৮ম মৃত্যুবার্ষিকী। দিবসটি উপলক্ষ্যে বনানীতে তার কবরে পুষ্পমাল্য অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানায় বিএনপি ও বিভিন্ন সংগঠন। সকালে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে নেতাকর্মীরা ফাতেহা পাঠ করে কবরে পুষ্পমাল্য অপর্ণ করেন। এরপর তার আত্মীর মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাতে অংশ নেন নেতাকর্মীরা।

এ সময় মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, আরাফাত রহমান কোকো একটি রাজনৈতিক পরিবারের সন্তান হয়েও তিনি নিজে রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন না। কিন্তু দুর্ভাগ্যক্রমে সরকারের রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হয়েই তাকে মৃত্যুবরণ করতে হয়। তিনি বলেন, এদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে সবচেয়ে কলঙ্কময় ওয়ান-ইলেভেনের পর কোকোকে মিথ্যা মামলায় গ্রেফতার করা হয়। পরে তাকে করা হয় নির্বাসিত। বিদেশের মাটিতে ভালো চিকিৎসা না পেয়ে তাকে চলে যেতে হয়েছে। আমরা তার আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি।

এ সময়ে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, জয়নুল আবদিন ফারুক, কেন্দ্রীয় নেতা নাজিম উদ্দিন আলম, তাবিথ আউয়াল, মীর সরাফত আলী সপু, মীর নেওয়াজ আলী নেওয়াজ, রফিক শিকদার, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি নেতা নবীউল্লাহ নবী, যুবদলের মামুন হাসান, মোনায়েম মুন্না, শফিকুল ইসলাম মিল্টনসহ বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

এরপর বিএনপি মিডিয়া সেল, জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশন, ইউনিভার্সিটি টিচার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ-ইউট্যাব, আরাফাত রহমান কোকো স্মৃতি পরিষদ, ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপিসহ বিভিণ্ন সংগঠন প্রয়াতের কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানায়। এ সময় মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক জহিরউদ্দিন স্বপন, সদস্য সচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, সদস্য অধ্যাপক মোর্শেদ হাসান খান, শাম্মী আক্তার, আতিকুর রহমান রুমন, শায়রুল কবির খান উপস্থিত ছিলেন।

এদিকে দুপুরে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এবং বিকালে গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে কোকোর মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে মিলাদ ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়।

গুলশান কার্যালয়ে দোয়া মাহফিলে অংশ নিয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ওয়ান-ইলেভেন সরকার কোকোর ওপর অমানুষিক নির্যাতন চালিয়েছে। পরে চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানো হলেও তিনি আর সুস্থ হয়ে ফিরে আসতে পারেননি।

মিলাদ মাহফিলে স্কাইপের মাধ্যমে লন্ডন থেকে অংশ নেন কোকোর বড় ভাই বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। এছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার জমিরউদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, ড. আব্দুল মঈন খান, বেগম সেলিমা রহমান, কেন্দ্রীয় নেতা বরকতউল্লাহ বুলু, মীর মোহাম্মদ নাছির, এজেডএম জাহিদ হোসেন, আবুল খায়ের ভূঁইয়া, ইসমাঈল জবিউল্যাহ, অধ্যাপক ড. শাহিদা রফিক, হাবিবুর রহমান হাবিব, তাহমিনা রুশদীর লুনা, অধ্যাপক ডা. সিরাজ উদ্দিন আহমেদ, অধ্যাপক সুকোমল বড়ুয়া, আফরোজা খান রিতা, মজিবুর রহমান সারোয়ার, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, হাবিব-উন-নবী খান সোহেল, শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি। মিলাদে আরও অংশ নেন বিএম আব্দুস সাত্তার, শামা ওবায়েদ, রিয়াজ উদ্দিন নসু, আফরোজা আব্বাস, সুলতানা আহমেদ, নেওয়াজ হালিমা আরলী, ইশরাক হোসেন, শামসুদ্দিন দিদার প্রমুখ।

কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দোয়া মাহফিলে অংশ নিয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেন, বাংলাদেশে সবচেয়ে প্রিয় পরিবার জিয়া পরিবার। তিনি বলেন, ক্রিকেটের মানোন্নয়নের জন্য কোকো যে কাজ করে গিয়েছেন, তার উপরে আজ বাংলাদেশের ক্রিকেট দাঁড়িয়ে আছে। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা আহমেদ আজম খান, আবদুস সালাম, সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, আবদুস সালাম আজাদ, শিরিন সুলতানা, বেলাল আহমেদ প্রমুখ।