বৃহস্পতিবার, ২৩ মার্চ ২০২৩, ৯ চৈত্র ১৪২৯ বঙ্গাব্দ

নাইকো দুর্নীতি মামলায় অভিযোগ গঠনের শুনানি ১৪ ফেব্রুয়ারি

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে করা নাইকো দুর্নীতি মামলায় অভিযোগ গঠনের শুনানি ১৪ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করেছেন আদালত।

সোমবার (৩০ জানুয়ারি) কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগারে অবস্থিত ঢাকার ৯ নম্বর (অস্থায়ী) বিশেষ জজ আদালতের বিচারক শেখ হাফিজুর রহমান এদিন ধার্য করেন।

এদিন শুনানি শেষে খালেদা জিয়ার আইনজীবী জিয়া উদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, খালেদা জিয়ার আইনজীবী সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এ জে মোহাম্মদ আলী অসুস্থ থাকায় আদালতে হাজির হতে পারেননি। এ জন্য তার পক্ষে অ্যাডভোকেট সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেজবাহ শুনানি পেছানোর সময়ের আবেদন করেন। আদালত আবেদন মঞ্জুর করে অভিযোগ গঠন শুনানির জন্য পরবর্তী তারিখ ধার্য করেন।

এর আগে গত ১৭ জানুয়ারি এ মামলায় অভিযোগ গঠনের শুনানি এদিন ধার্য করেছিলেন আদালত। কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগারে অবস্থিত ঢাকার ৯ নম্বর (অস্থায়ী) বিশেষ জজ আদালতের বিচারক শেখ হাফিজুর রহমানই এ আদেশ দিয়েছিলেন।

ওইদিন খালেদা জিয়ার আইনজীবী জিয়া উদ্দিন জিয়া বলেন, চেয়ারপারসন অসুস্থ থাকায় আদালতে উপস্থিত হতে পারেননি। ওইদিনও তার পক্ষে আইনজীবীরা হাজিরা দেন। খালেদা জিয়ার পক্ষে অভিযোগ গঠন থেকে অব্যাহতি চেয়ে শুনানি করেন আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী।

২০০৭ সালে দুদকের সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ মাহবুবুল আলম বাদী হয়ে রাজধানীর তেজগাঁও থানায় নাইকো দুর্নীতি মামলাটি করেন। ২০০৮ সালের ৫ মে খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে দুদক আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয়।

এ মামলার আসামিরা হলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদ, সাবেক জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী এ কে এম মোশাররফ হোসেন, তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সচিব খন্দকার শহীদুল ইসলাম, সাবেক সিনিয়র সহকারী সচিব সি এম ইউছুফ হোসাইন, বাপেক্সের সাবেক মহাব্যবস্থাপক মীর ময়নুল হক, বাপেক্সের সাবেক সচিব মো. শফিউর রহমান, ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুন, ইন্টারন্যাশনাল ট্রাভেল করপোরেশনের চেয়ারম্যান সেলিম ভূঁইয়া ও নাইকোর দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট কাশেম শরীফ। এর মধ্যে এ কে এম মোশাররফ হোসেন ও ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ মারা গেছেন।

দুদকের অভিযোগপত্রে বলা হয়, ২০০১ থেকে ২০০৬ সালের মধ্যে সরকারে থাকাকালে খালেদা জিয়াসহ বেশ কয়েকজন ক্ষমতার অপব্যবহার করে কানাডার কোম্পানিটিকে অবৈধভাবে গ্যাস অনুসন্ধান ও উত্তোলনের সুবিধা পাইয়ে দেয়। অভিযোগপত্রে আসামিদের বিরুদ্ধে প্রায় ১৩ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকার রাষ্ট্রীয় আর্থিক ক্ষতির অভিযোগ আনা হয়।

আসামিদের মধ্যে গিয়াসউদ্দিন আল মামুন বর্তমানে কারাগারে আছেন। নাইকো রিসোর্সেস (বাংলাদেশ) লিমিটেডের সাবেক প্রেসিডেন্ট কাশেম শরীফ পলাতক রয়েছেন। বাকিদের জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন আদালত।

জনপ্রিয়

নাইকো দুর্নীতি মামলায় অভিযোগ গঠনের শুনানি ১৪ ফেব্রুয়ারি

প্রকাশের সময় : ০১:৩০:৪৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ জানুয়ারী ২০২৩

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে করা নাইকো দুর্নীতি মামলায় অভিযোগ গঠনের শুনানি ১৪ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করেছেন আদালত।

সোমবার (৩০ জানুয়ারি) কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগারে অবস্থিত ঢাকার ৯ নম্বর (অস্থায়ী) বিশেষ জজ আদালতের বিচারক শেখ হাফিজুর রহমান এদিন ধার্য করেন।

এদিন শুনানি শেষে খালেদা জিয়ার আইনজীবী জিয়া উদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, খালেদা জিয়ার আইনজীবী সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এ জে মোহাম্মদ আলী অসুস্থ থাকায় আদালতে হাজির হতে পারেননি। এ জন্য তার পক্ষে অ্যাডভোকেট সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেজবাহ শুনানি পেছানোর সময়ের আবেদন করেন। আদালত আবেদন মঞ্জুর করে অভিযোগ গঠন শুনানির জন্য পরবর্তী তারিখ ধার্য করেন।

এর আগে গত ১৭ জানুয়ারি এ মামলায় অভিযোগ গঠনের শুনানি এদিন ধার্য করেছিলেন আদালত। কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগারে অবস্থিত ঢাকার ৯ নম্বর (অস্থায়ী) বিশেষ জজ আদালতের বিচারক শেখ হাফিজুর রহমানই এ আদেশ দিয়েছিলেন।

ওইদিন খালেদা জিয়ার আইনজীবী জিয়া উদ্দিন জিয়া বলেন, চেয়ারপারসন অসুস্থ থাকায় আদালতে উপস্থিত হতে পারেননি। ওইদিনও তার পক্ষে আইনজীবীরা হাজিরা দেন। খালেদা জিয়ার পক্ষে অভিযোগ গঠন থেকে অব্যাহতি চেয়ে শুনানি করেন আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী।

২০০৭ সালে দুদকের সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ মাহবুবুল আলম বাদী হয়ে রাজধানীর তেজগাঁও থানায় নাইকো দুর্নীতি মামলাটি করেন। ২০০৮ সালের ৫ মে খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে দুদক আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয়।

এ মামলার আসামিরা হলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদ, সাবেক জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী এ কে এম মোশাররফ হোসেন, তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সচিব খন্দকার শহীদুল ইসলাম, সাবেক সিনিয়র সহকারী সচিব সি এম ইউছুফ হোসাইন, বাপেক্সের সাবেক মহাব্যবস্থাপক মীর ময়নুল হক, বাপেক্সের সাবেক সচিব মো. শফিউর রহমান, ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুন, ইন্টারন্যাশনাল ট্রাভেল করপোরেশনের চেয়ারম্যান সেলিম ভূঁইয়া ও নাইকোর দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট কাশেম শরীফ। এর মধ্যে এ কে এম মোশাররফ হোসেন ও ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ মারা গেছেন।

দুদকের অভিযোগপত্রে বলা হয়, ২০০১ থেকে ২০০৬ সালের মধ্যে সরকারে থাকাকালে খালেদা জিয়াসহ বেশ কয়েকজন ক্ষমতার অপব্যবহার করে কানাডার কোম্পানিটিকে অবৈধভাবে গ্যাস অনুসন্ধান ও উত্তোলনের সুবিধা পাইয়ে দেয়। অভিযোগপত্রে আসামিদের বিরুদ্ধে প্রায় ১৩ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকার রাষ্ট্রীয় আর্থিক ক্ষতির অভিযোগ আনা হয়।

আসামিদের মধ্যে গিয়াসউদ্দিন আল মামুন বর্তমানে কারাগারে আছেন। নাইকো রিসোর্সেস (বাংলাদেশ) লিমিটেডের সাবেক প্রেসিডেন্ট কাশেম শরীফ পলাতক রয়েছেন। বাকিদের জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন আদালত।