বৃহস্পতিবার, ২৩ মার্চ ২০২৩, ৯ চৈত্র ১৪২৯ বঙ্গাব্দ

বড় প্রতিশোধ নিচ্ছে রাশিয়া: জেলেনস্কি

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমিরি জেলেনস্কি বলেছেন, রুশ আগ্রাসনের বিরুদ্ধে ইউক্রেন যে প্রতিরোধ গড়ে তুলেছে তার ‘বড় প্রতিশোধ’ নিতে শুরু করেছে মস্কো। রুশ বাহিনী যখন ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে ক্রমাগত অগ্রসর হচ্ছে, তখন এমন মন্তব্য করলেন তিনি।

কয়েক সপ্তাহ আগে থেকে জেলেনস্কি সতর্ক করে আসছেন যে, ইউক্রেনের দক্ষিণ ও পূর্বাঞ্চলে বড় ধরনের হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে মস্কো।

বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, সোমবার যদিও বড় ধরনের হামলা লক্ষ্য করা যায়নি, তবে রুশ-নিয়ন্ত্রিত ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় দোনেৎস্ক রাজ্যের প্রশাসক (অ্যাডমিনিস্ট্রেটর) ডেনিস পুশিলিন বলেছেন, রুশ সেনারা ভালেদার এলাকার নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে। এটি একটি কয়লা খনির শহর। তবে যুদ্ধ শুরুর পর থেকে এটিকে ঘাঁটি হিসেবে ব্যবহার করে আসছিল ইউক্রেন।

পুশিলিনের উপদেষ্টা ইয়ান গাগিন বলেছেন, রাশিয়ার ভাড়াটে বাহিনী ওয়াগনার বাখমুতগামী একটি সরবরাহ লাইনের আংশিক নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে। গত কয়েক মাস ধরে গুরুত্বপূর্ণ এই বাখমুত শহরের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার চেষ্টা করছে রাশিয়া।

এর একদিন আগে ওয়াগনার গ্রুপের প্রধান দাবি করেন, তাদের যোদ্ধারা ব্লাহোদাতন গ্রামের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে। বাখমুতের ঠিক উত্তরে অবস্থিত গ্রামটি।

তবে ইউক্রেনের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, তারা ব্লাহোদাতন ও ভালেদারে রুশ হামলা প্রতিহত করেছে। রয়টার্স বলছে, তারা স্বতন্ত্রভাবে উভয়পক্ষের দাবি ভেরিভাই করতে (সত্যতা নিশ্চিত) পারেনি। তবে পরিস্থিতি ইঙ্গিত দিচ্ছে যে, রাশিয়ান বাহিনী ধীরে হলেও অগ্রসর হচ্ছে।

জনপ্রিয়

বড় প্রতিশোধ নিচ্ছে রাশিয়া: জেলেনস্কি

প্রকাশের সময় : ০৩:৫৬:২০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩১ জানুয়ারী ২০২৩

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমিরি জেলেনস্কি বলেছেন, রুশ আগ্রাসনের বিরুদ্ধে ইউক্রেন যে প্রতিরোধ গড়ে তুলেছে তার ‘বড় প্রতিশোধ’ নিতে শুরু করেছে মস্কো। রুশ বাহিনী যখন ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে ক্রমাগত অগ্রসর হচ্ছে, তখন এমন মন্তব্য করলেন তিনি।

কয়েক সপ্তাহ আগে থেকে জেলেনস্কি সতর্ক করে আসছেন যে, ইউক্রেনের দক্ষিণ ও পূর্বাঞ্চলে বড় ধরনের হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে মস্কো।

বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, সোমবার যদিও বড় ধরনের হামলা লক্ষ্য করা যায়নি, তবে রুশ-নিয়ন্ত্রিত ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় দোনেৎস্ক রাজ্যের প্রশাসক (অ্যাডমিনিস্ট্রেটর) ডেনিস পুশিলিন বলেছেন, রুশ সেনারা ভালেদার এলাকার নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে। এটি একটি কয়লা খনির শহর। তবে যুদ্ধ শুরুর পর থেকে এটিকে ঘাঁটি হিসেবে ব্যবহার করে আসছিল ইউক্রেন।

পুশিলিনের উপদেষ্টা ইয়ান গাগিন বলেছেন, রাশিয়ার ভাড়াটে বাহিনী ওয়াগনার বাখমুতগামী একটি সরবরাহ লাইনের আংশিক নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে। গত কয়েক মাস ধরে গুরুত্বপূর্ণ এই বাখমুত শহরের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার চেষ্টা করছে রাশিয়া।

এর একদিন আগে ওয়াগনার গ্রুপের প্রধান দাবি করেন, তাদের যোদ্ধারা ব্লাহোদাতন গ্রামের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে। বাখমুতের ঠিক উত্তরে অবস্থিত গ্রামটি।

তবে ইউক্রেনের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, তারা ব্লাহোদাতন ও ভালেদারে রুশ হামলা প্রতিহত করেছে। রয়টার্স বলছে, তারা স্বতন্ত্রভাবে উভয়পক্ষের দাবি ভেরিভাই করতে (সত্যতা নিশ্চিত) পারেনি। তবে পরিস্থিতি ইঙ্গিত দিচ্ছে যে, রাশিয়ান বাহিনী ধীরে হলেও অগ্রসর হচ্ছে।