বৃহস্পতিবার, ২৩ মার্চ ২০২৩, ৯ চৈত্র ১৪২৯ বঙ্গাব্দ

কোরআন অবমাননাকারীদের জন্য ভয়াবহ শাস্তি দুনিয়া-আখিরাতে

মহান আল্লাহ তায়ালা মানব জাতির হেদায়েতের জন্য পবিত্র কোরআন অবতীর্ণ করেছেন। কোরআন অবমাননাকারীদের জন্য দুনিয়া ও আখিরাতে চরম দুর্ভোগ ও ভয়াবহ শাস্তির ঘোষণা দিয়েছেন মহান আল্লাহ তায়ালা।
মক্কার হেরা গুহায় কোরআনের প্রথম আয়াত ‘ইকরা’ অবতীর্ণ হওয়ার পর থেকে সবার জন্য কোরআনের বিধান মানা অপরিহার্য।
আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কোরআনে এরশাদ করেন, ‘এটা সে কিতাব; যাতে কোন সন্দেহ নেই, মুত্তাকীদের জন্য হেদায়েত। -(সুরা বাকারা, আয়াত, ২)
পবিত্র কোরআনে বর্ণিত হয়েছে, ‘দুর্ভোগ প্রত্যেক ঘোর মিথ্যাবাদী মহাপাপীর, যে আল্লাহর আয়াতের আবৃত্তি শোনে অথচ ঔদ্ধত্যের সঙ্গে (নিজ মতবাদে) অটল থাকে। যেন সে তা শোনেইনি। সুতরাং ওকে মর্মন্তুদ শাস্তির সুসংবাদ দাও।’ (সুরা : জাসিয়া, আয়াত : ৭-৮)
কোনো মুসলিমের জন্য কোরআন অবমাননার মতো জঘন্য অপরাধের কোনো সুযোগ নেই। কেউ কোরআনের প্রতি প্রচ- বিদ্বেষ নিয়ে অন্য বা কোনোভাবে কোরআন অবমাননা কিংবা তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করলে সে ইসলামের গ-ির বাইরে চলে যাবে এবং তাকে ইসলামী শরিয়তের ভাষায় মুরতাদ বলা হবে। এ বিষয়ে বিজ্ঞ আলেমদের মাঝে কোনো দ্বিমত নেই। ইসলামী আইন অনুযায়ী মুরতাদের শাস্তি হল মৃত্যুদ-।
আল্লাহ তায়ালা বলেন,
যারা আল্লাহ ও তার রাসুলের বিরুদ্ধে দুশমনিতে লিপ্ত হয় এবং পৃথিবীতে অশান্তি ও বিপর্যয় সৃষ্টির পাঁয়তারা করে, তাদের শাস্তি কেবল মৃত্যুদ-, শূলিবিদ্ধ করে হত্যা কিংবা হাত পা বিপরীত দিক থেকে কেটে ফেলা অথবা নির্বাসিত করা (কারাগারে নিক্ষেপ করা)। এ তো হল তাদের পার্থিব অপমান। আর পরকালেও তাদের জন্য অপেক্ষা করছে মর্মন্তুদ শাস্তি। (সূরা মায়েদা ৩৩)
পক্ষান্তরে মুরতাদের পরকালীন শাস্তি সম্পর্কে আল্লাহ তায়ালা বলেন,
আর তোমাদের মধ্যে কেউ যদি নিজের ধর্ম থেকে ফিরে যায়। আর সে অবিশ্বাসী অবস্থায় মারা যায়, তাহলে দুনিয়া ও আখেরাতে তাদের সকল নেক আমল বরবাদ হয়ে যাবে। এই লোকেরাই হল জাহান্নামের অধিবাসী, তারা চিরকাল সেখানে থাকবে। (সূরা বাকারা ২১৭)
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, কতক লোক আল্লাহর পরিজন। সাহাবিগণ জিজ্ঞেস করলেন, হে আল্লাহর রাসুল! তারা কারা? তিনি বলেন, কোরআন তিলাওয়াতকারীগণ আল্লাহর পরিজন এবং তাঁর বিশেষ বান্দা।’ (ইবনে মাজাহ, হাদিস : ২১৫)

জনপ্রিয়

কোরআন অবমাননাকারীদের জন্য ভয়াবহ শাস্তি দুনিয়া-আখিরাতে

প্রকাশের সময় : ০৯:০২:২০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

মহান আল্লাহ তায়ালা মানব জাতির হেদায়েতের জন্য পবিত্র কোরআন অবতীর্ণ করেছেন। কোরআন অবমাননাকারীদের জন্য দুনিয়া ও আখিরাতে চরম দুর্ভোগ ও ভয়াবহ শাস্তির ঘোষণা দিয়েছেন মহান আল্লাহ তায়ালা।
মক্কার হেরা গুহায় কোরআনের প্রথম আয়াত ‘ইকরা’ অবতীর্ণ হওয়ার পর থেকে সবার জন্য কোরআনের বিধান মানা অপরিহার্য।
আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কোরআনে এরশাদ করেন, ‘এটা সে কিতাব; যাতে কোন সন্দেহ নেই, মুত্তাকীদের জন্য হেদায়েত। -(সুরা বাকারা, আয়াত, ২)
পবিত্র কোরআনে বর্ণিত হয়েছে, ‘দুর্ভোগ প্রত্যেক ঘোর মিথ্যাবাদী মহাপাপীর, যে আল্লাহর আয়াতের আবৃত্তি শোনে অথচ ঔদ্ধত্যের সঙ্গে (নিজ মতবাদে) অটল থাকে। যেন সে তা শোনেইনি। সুতরাং ওকে মর্মন্তুদ শাস্তির সুসংবাদ দাও।’ (সুরা : জাসিয়া, আয়াত : ৭-৮)
কোনো মুসলিমের জন্য কোরআন অবমাননার মতো জঘন্য অপরাধের কোনো সুযোগ নেই। কেউ কোরআনের প্রতি প্রচ- বিদ্বেষ নিয়ে অন্য বা কোনোভাবে কোরআন অবমাননা কিংবা তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করলে সে ইসলামের গ-ির বাইরে চলে যাবে এবং তাকে ইসলামী শরিয়তের ভাষায় মুরতাদ বলা হবে। এ বিষয়ে বিজ্ঞ আলেমদের মাঝে কোনো দ্বিমত নেই। ইসলামী আইন অনুযায়ী মুরতাদের শাস্তি হল মৃত্যুদ-।
আল্লাহ তায়ালা বলেন,
যারা আল্লাহ ও তার রাসুলের বিরুদ্ধে দুশমনিতে লিপ্ত হয় এবং পৃথিবীতে অশান্তি ও বিপর্যয় সৃষ্টির পাঁয়তারা করে, তাদের শাস্তি কেবল মৃত্যুদ-, শূলিবিদ্ধ করে হত্যা কিংবা হাত পা বিপরীত দিক থেকে কেটে ফেলা অথবা নির্বাসিত করা (কারাগারে নিক্ষেপ করা)। এ তো হল তাদের পার্থিব অপমান। আর পরকালেও তাদের জন্য অপেক্ষা করছে মর্মন্তুদ শাস্তি। (সূরা মায়েদা ৩৩)
পক্ষান্তরে মুরতাদের পরকালীন শাস্তি সম্পর্কে আল্লাহ তায়ালা বলেন,
আর তোমাদের মধ্যে কেউ যদি নিজের ধর্ম থেকে ফিরে যায়। আর সে অবিশ্বাসী অবস্থায় মারা যায়, তাহলে দুনিয়া ও আখেরাতে তাদের সকল নেক আমল বরবাদ হয়ে যাবে। এই লোকেরাই হল জাহান্নামের অধিবাসী, তারা চিরকাল সেখানে থাকবে। (সূরা বাকারা ২১৭)
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, কতক লোক আল্লাহর পরিজন। সাহাবিগণ জিজ্ঞেস করলেন, হে আল্লাহর রাসুল! তারা কারা? তিনি বলেন, কোরআন তিলাওয়াতকারীগণ আল্লাহর পরিজন এবং তাঁর বিশেষ বান্দা।’ (ইবনে মাজাহ, হাদিস : ২১৫)