শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

সন্তানদের সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে রাজধানীতে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার আটক-৫

  • ঢাকা ব্যুরো।।
  • প্রকাশের সময় : ১১:০২:১৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
  • ৭০

যশোর থেকে সন্তানদের সঙ্গে দেখা করতে এসে রাজধানীতে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হন এক নারী। এ ঘটনায় করা মামলায় তিনজন দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন। একই সঙ্গে দুইজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুই দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

রবিবার (৫ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আসামিদের হাজির করে পুলিশ। এ সময় আল-আমিন হোসেন, সবুজ ও শফিকুল ইসলাম দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিতে সম্মত হওয়ায় তা রেকর্ড করার আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা।

আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শেখ সাদী আসামি শফিকুলের, মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট নুরুল হুদা চৌধুরী আসামি সবুজের এবং মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তরিকুল ইসলাম আসামি আল আমিনের জবানবন্দি রেকর্ড করেন। এরপর তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

অপরদিকে আসামি বিল্লাল হোসেন ও রাসেল ওরফে মোল্লা রাসেলেকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাতদিনের রিমান্ডের আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা। শুনানি শেষে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শান্তা আক্তার জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুইদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এর আগে গত শনিবার রাতে রাজধানীর গাবতলী, ডেমরা, বসিলা ও ভোলার তজুমুদ্দিন এলাকা থেকে অভিযুক্ত পাঁচজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

জানা যায়, ভুক্তভোগী নারী স্বামী-সন্তানসহ মোহাম্মদপুরের বসিলায় বসবাস করতেন। ৪ মাস আগে শারীরিক অসুস্থতাজনিত কারণে সন্তানদের স্বামীর কাছে রেখে তিনি গ্রামের বাড়িতে চলে যান। এর মধ্যে কিছু না জানিয়েই স্বামী তাকে তালাক দেন। গত ২৫ জানুয়ারি তালাকের কারণ জানতে ও এ বিষয়ে আলোচনা করতে স্বামীর সাক্ষাতের জন্য ঢাকায় আসেন তিনি। বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে তিনি তার আগের বাসায় এসে তার স্বামী-সন্তানকে না পেয়ে আশপাশে খোঁজাখুজি করতে থাকেন। এভাবে রাত প্রায় ৯টা পর্যন্ত বসিলা চল্লিশফিট, ফিউচার হাউজিং, গার্ডেনসিটি হাউজিং, স্বপ্নধারা হাউজিং ও আশপাশের এলাকায় খোঁজাখুজি করে সন্তানদের সন্ধান না পেয়ে গ্রামের বাড়ি ফিরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। রাত সাড়ে ৯টার দিকে তিনি বসিলা চল্লিশফিট তিনরাস্তার মোড় থেকে গাবতলী যাওয়ার জন্য একটি রিকশা নেন। রিকশাচালক প্রায় তিন ঘণ্টা তাকে রাস্তায় ঘোরাঘুরি করে রাত প্রায় সাড়ে ১২টার দিকে বসিলা ফিউচার টাউনের একটি জায়গায় গিয়ে রিকশাচালক তার সঙ্গীরাসহ ওই নারীকে ভয়ভীতি দেখিয়ে শ্রমিকদের জন্য তৈরি একটি অস্থায়ী টিনের ঘরে নিয়ে যায়। সেখানে ৫ জন মিলে ভিকটিমকে হত্যার হুমকি দিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। এ ঘটনায় মোহাম্মদপুর থানার মামলা করা হয়।

সন্তানদের সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে রাজধানীতে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার আটক-৫

প্রকাশের সময় : ১১:০২:১৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

যশোর থেকে সন্তানদের সঙ্গে দেখা করতে এসে রাজধানীতে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হন এক নারী। এ ঘটনায় করা মামলায় তিনজন দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন। একই সঙ্গে দুইজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুই দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

রবিবার (৫ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আসামিদের হাজির করে পুলিশ। এ সময় আল-আমিন হোসেন, সবুজ ও শফিকুল ইসলাম দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিতে সম্মত হওয়ায় তা রেকর্ড করার আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা।

আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শেখ সাদী আসামি শফিকুলের, মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট নুরুল হুদা চৌধুরী আসামি সবুজের এবং মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তরিকুল ইসলাম আসামি আল আমিনের জবানবন্দি রেকর্ড করেন। এরপর তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

অপরদিকে আসামি বিল্লাল হোসেন ও রাসেল ওরফে মোল্লা রাসেলেকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাতদিনের রিমান্ডের আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা। শুনানি শেষে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শান্তা আক্তার জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুইদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এর আগে গত শনিবার রাতে রাজধানীর গাবতলী, ডেমরা, বসিলা ও ভোলার তজুমুদ্দিন এলাকা থেকে অভিযুক্ত পাঁচজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

জানা যায়, ভুক্তভোগী নারী স্বামী-সন্তানসহ মোহাম্মদপুরের বসিলায় বসবাস করতেন। ৪ মাস আগে শারীরিক অসুস্থতাজনিত কারণে সন্তানদের স্বামীর কাছে রেখে তিনি গ্রামের বাড়িতে চলে যান। এর মধ্যে কিছু না জানিয়েই স্বামী তাকে তালাক দেন। গত ২৫ জানুয়ারি তালাকের কারণ জানতে ও এ বিষয়ে আলোচনা করতে স্বামীর সাক্ষাতের জন্য ঢাকায় আসেন তিনি। বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে তিনি তার আগের বাসায় এসে তার স্বামী-সন্তানকে না পেয়ে আশপাশে খোঁজাখুজি করতে থাকেন। এভাবে রাত প্রায় ৯টা পর্যন্ত বসিলা চল্লিশফিট, ফিউচার হাউজিং, গার্ডেনসিটি হাউজিং, স্বপ্নধারা হাউজিং ও আশপাশের এলাকায় খোঁজাখুজি করে সন্তানদের সন্ধান না পেয়ে গ্রামের বাড়ি ফিরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। রাত সাড়ে ৯টার দিকে তিনি বসিলা চল্লিশফিট তিনরাস্তার মোড় থেকে গাবতলী যাওয়ার জন্য একটি রিকশা নেন। রিকশাচালক প্রায় তিন ঘণ্টা তাকে রাস্তায় ঘোরাঘুরি করে রাত প্রায় সাড়ে ১২টার দিকে বসিলা ফিউচার টাউনের একটি জায়গায় গিয়ে রিকশাচালক তার সঙ্গীরাসহ ওই নারীকে ভয়ভীতি দেখিয়ে শ্রমিকদের জন্য তৈরি একটি অস্থায়ী টিনের ঘরে নিয়ে যায়। সেখানে ৫ জন মিলে ভিকটিমকে হত্যার হুমকি দিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। এ ঘটনায় মোহাম্মদপুর থানার মামলা করা হয়।