মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

ওসি জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে এত অভিযোগ!

বিএনপি সরকারের সময়ে নিয়োগ পাওয়া ওসি জাহাংগীর আরিফের বিরুদ্ধে ভুক্তভোগীদের অভিযোগের পাল্লা দিনদিন ভারী হচ্ছে। ভুক্তভোগীরা বলছেন, ভয়ভীতি দেখিয়ে অন্যের জমি জোর করে লিখে নিচ্ছেন ওসি জাহাঙ্গীর আরিফ।

 

তার নিজের গ্রামের বাড়ি যশোরের সীমান্তবর্তী উপজেলা শার্শার কায়বা ইউনিয়েনের বাইকোলা গ্রামের মানুষ তার অত্যাচারে অতিষ্ঠ। একই গ্রামের মিলন গাজীর অভিযোগ,

 

ওসি জাহাঙ্গীর অন্যের জমি জোর করে দখল করে নেয়ার জন্য সন্ত্রাসীদের লেলিয়ে দিচ্ছেন।

 

গ্রামের প্রবীণ ব্যক্তি নাজিম উদ্দিন গাজী অভিযোগে বলেন, ওসি গ্রামের মানুষকে ভয়ভীতি দেখিয়ে জমি লিখে নিচ্ছে কম দামে। জমি লিখে না দিলে তাদের বাড়িতে মাস্তান পাঠিয়ে হুমকি দিচ্ছেন। বৃদ্ধ নজিম উদ্দিন গাজির কাছ থেকে জমির দাগ নং ভুল হয়েছে বলে তার নিজস্ব কলম বাগানের অতিরিক্ত ৩ শতক জমি কৌশলে লিখে নেয়। বৃদ্ধা ও তার ছেলেরা আজও পর্যন্ত সেই জমি উদ্ধার করতে পারেনি।

 

ওসির ফুফু পারুল বেগমের অভিযোগ, তার নিজের পুকুর বিক্রির সময় দাগ নং-২৮২৫ এর পরিবর্তে কৌশলে ২৭৮২ দাগের আরও অতিরিক্ত ৪ শতক জমি লিখে নেয়। বৃদ্ধ পারুল বেগম ও তার বোনেরা তখনও বুঝতে পারেনি তাদেও কাছ থেকে ফাঁকি দিয়ে অতিরিক্ত ৪ শতক জমি লিখে নিয়েছে। পরে ২৭৮২ নাম্বার দাগের ৪ শতক জমি অন্যত্র বিক্রি করে দেয়। কি›তু ক্রেতা জমি দখল নিতে গেলে তখন ওসি ও তার ভাই তরিকুল তাদের বাধা দেয় এবং বলেন এ জমি আমাদের। আজও পর্যন্ত সেই জমি দখলে নিতে পারেনি ক্রেতা।

 

সুমন গাজী নামে একই গ্রামের এক ব্যক্তি জানান, ওসি আরিফ চাকরিতে যোগদানের পর থেকে তিনি কোটি কোটি টাকার অবৈধ সম্পদের মালিক হয়েছেন। তিনি ঢাকার বেড়ি বাঁধ এলাকায় চন্দ্রিমা উদ্যানে একটি বিলাশ বহুল ফ্লাট তার স্ত্রীর নামে ক্রয় করেছেন। তার কালো টাকা সাদা করার জন্য ফিরোজা মার্ট নামে একটি অলাইন শপিং এ মালামাল বিক্র করছেন।

 

উল্লেখ্য, ফরিদপুর ভাংগা হাইওয়ে থানা দায়িত্বে থাকাকালে ব্যাপক চাঁদাবাজি, দুর্নীতির অভিযোগে স্থানীয় নসিমন করিমন ও মিনি ট্রাক থেকে মাসিক ১০ লাখ করে চাঁদা আদায় করতেন। জব্দকৃত অটো বিক্রি করে দিতেন গোপনে। গত ৭ এপ্রিল তার চাঁদাবাজি ও বদলির দাবিতে স্থানীয়রা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ সমাবেশ করে। বিক্ষোভের পর পরই পুলিশ হেড কোয়ার্টার থেকে তাকে প্রত্যাহার করে সিলেট রেঞ্জে সংযুক্ত করা হয়। দুর্নীতিবাজ এ ওসির বিরুদ্ধে তদন্ত করে চাকরিচ্যুত করার জন্য প্রধানমন্ত্রীর হস্থক্ষেপ কামনা করছেন গ্রামবাসী।

ওসি জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে এত অভিযোগ!

প্রকাশের সময় : ১২:৫৪:৪৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

বিএনপি সরকারের সময়ে নিয়োগ পাওয়া ওসি জাহাংগীর আরিফের বিরুদ্ধে ভুক্তভোগীদের অভিযোগের পাল্লা দিনদিন ভারী হচ্ছে। ভুক্তভোগীরা বলছেন, ভয়ভীতি দেখিয়ে অন্যের জমি জোর করে লিখে নিচ্ছেন ওসি জাহাঙ্গীর আরিফ।

 

তার নিজের গ্রামের বাড়ি যশোরের সীমান্তবর্তী উপজেলা শার্শার কায়বা ইউনিয়েনের বাইকোলা গ্রামের মানুষ তার অত্যাচারে অতিষ্ঠ। একই গ্রামের মিলন গাজীর অভিযোগ,

 

ওসি জাহাঙ্গীর অন্যের জমি জোর করে দখল করে নেয়ার জন্য সন্ত্রাসীদের লেলিয়ে দিচ্ছেন।

 

গ্রামের প্রবীণ ব্যক্তি নাজিম উদ্দিন গাজী অভিযোগে বলেন, ওসি গ্রামের মানুষকে ভয়ভীতি দেখিয়ে জমি লিখে নিচ্ছে কম দামে। জমি লিখে না দিলে তাদের বাড়িতে মাস্তান পাঠিয়ে হুমকি দিচ্ছেন। বৃদ্ধ নজিম উদ্দিন গাজির কাছ থেকে জমির দাগ নং ভুল হয়েছে বলে তার নিজস্ব কলম বাগানের অতিরিক্ত ৩ শতক জমি কৌশলে লিখে নেয়। বৃদ্ধা ও তার ছেলেরা আজও পর্যন্ত সেই জমি উদ্ধার করতে পারেনি।

 

ওসির ফুফু পারুল বেগমের অভিযোগ, তার নিজের পুকুর বিক্রির সময় দাগ নং-২৮২৫ এর পরিবর্তে কৌশলে ২৭৮২ দাগের আরও অতিরিক্ত ৪ শতক জমি লিখে নেয়। বৃদ্ধ পারুল বেগম ও তার বোনেরা তখনও বুঝতে পারেনি তাদেও কাছ থেকে ফাঁকি দিয়ে অতিরিক্ত ৪ শতক জমি লিখে নিয়েছে। পরে ২৭৮২ নাম্বার দাগের ৪ শতক জমি অন্যত্র বিক্রি করে দেয়। কি›তু ক্রেতা জমি দখল নিতে গেলে তখন ওসি ও তার ভাই তরিকুল তাদের বাধা দেয় এবং বলেন এ জমি আমাদের। আজও পর্যন্ত সেই জমি দখলে নিতে পারেনি ক্রেতা।

 

সুমন গাজী নামে একই গ্রামের এক ব্যক্তি জানান, ওসি আরিফ চাকরিতে যোগদানের পর থেকে তিনি কোটি কোটি টাকার অবৈধ সম্পদের মালিক হয়েছেন। তিনি ঢাকার বেড়ি বাঁধ এলাকায় চন্দ্রিমা উদ্যানে একটি বিলাশ বহুল ফ্লাট তার স্ত্রীর নামে ক্রয় করেছেন। তার কালো টাকা সাদা করার জন্য ফিরোজা মার্ট নামে একটি অলাইন শপিং এ মালামাল বিক্র করছেন।

 

উল্লেখ্য, ফরিদপুর ভাংগা হাইওয়ে থানা দায়িত্বে থাকাকালে ব্যাপক চাঁদাবাজি, দুর্নীতির অভিযোগে স্থানীয় নসিমন করিমন ও মিনি ট্রাক থেকে মাসিক ১০ লাখ করে চাঁদা আদায় করতেন। জব্দকৃত অটো বিক্রি করে দিতেন গোপনে। গত ৭ এপ্রিল তার চাঁদাবাজি ও বদলির দাবিতে স্থানীয়রা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ সমাবেশ করে। বিক্ষোভের পর পরই পুলিশ হেড কোয়ার্টার থেকে তাকে প্রত্যাহার করে সিলেট রেঞ্জে সংযুক্ত করা হয়। দুর্নীতিবাজ এ ওসির বিরুদ্ধে তদন্ত করে চাকরিচ্যুত করার জন্য প্রধানমন্ত্রীর হস্থক্ষেপ কামনা করছেন গ্রামবাসী।