মোটরসাইকেল কেবল চুরি নয়, ছিনতাইও হচ্ছে। রাইড শেয়ারিংয়ের নামে কৌশলে চালককে অজ্ঞান করে ছিনিয়ে নেয়া হচ্ছে বাইক। এতে ঘটছে মৃত্যুও।
এমন একটি চক্রের দুই সদস্যকে গ্রেফতার এবং দশটি মোটরসাইকেল উদ্ধার করার পর গোয়েন্দা পুলিশ বলছে, চালককে অজ্ঞান করার ক্ষেত্রে অতিরিক্ত চেতনানাশক প্রয়োগের ফলে ঘটছে মৃত্যুর ঘটনা।
গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) জানিয়েছে, যেসব ঘটনায় মামলা হয় তা তদন্ত করতে গিয়ে যাদেরকে গ্রেফতার করা হয়, তারা সাধারণত পেশাদার চোর চক্রের সদস্য।
চালককে অজ্ঞান করে মোটরসাইকেল চুরি করতে গিয়ে হত্যার মত ঘটনা ঘটছে রাজধানীতে। সম্প্রতি এ চক্রের দুজনকে গ্রেফতারের পর জিজ্ঞাসাবাদে বেরিয়ে এসেছে, কীভাবে রাইড শেয়ারিংয়ের নামে তারা বাইক ছিনতাই করছে।
বছর দেড়েক আগে ছিনতাই হওয়া গিয়াসউদ্দিনের সেই মোটরসাইকেলটিসহ দশটি মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়েছে। ঢাকা থেকে ছিনতাইয়ের পর এসব মোটরসাইকেল কয়েক হাত ঘুরে চলে যায় প্রত্যন্ত অঞ্চলে। চক্রটির মূল টার্গেট রাইড শেয়ারিং করা মোটরসাইকেল হাতিয়ে নেয়া।
সম্প্রতি সময় সংবাদকে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (লালবাগ বিভাগ) উপ-পুলিশ কমিশনার মশিউর রহমান বলেন, ‘মোটরসাইকেল চুরির মামলা তদন্ত করতে গিয়ে আমরা জটিল এক হত্যা রহস্য উদঘাটন করেছি। এটি একটি নতুন বিষয়। চোর চক্র এখন শুধু ভেঙে বা গ্রিল কেটে চুরি করছে না; মানুষকে নানাভাবে পটিয়ে, খাবার খাইয়ে অজ্ঞান করে চুরি করছে তারা।’
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার মো. হারুন অর রশিদ বলেন, বারবার তারা গ্রেফতার হচ্ছেন, জেলেও যাচ্ছেন; আবার তারা কীভাব যেন জামিন পেয়ে যাচ্ছেন। এরপর জেল থেকে জামিন পেয়ে যারা বেরিয়ে হয়ে আসবেন তাদের আমরা তদারকি করব। যেন আর কেউ অজ্ঞানপার্টি বা মলমপার্টির কবলে না পড়ে।
এ ধরনের অজ্ঞানপার্টির হাত থেকে বাঁচতে নাগরিকদের রাইড শেয়ারিংয়ের ক্ষেত্রে এবং গাড়িতে চলাচলে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার। -সুত্র সময় টিভি