সোমবার, ২৭ মার্চ ২০২৩, ১২ চৈত্র ১৪২৯ বঙ্গাব্দ

হিলিতে ফেলে দেওয়া মাছের আঁশ রপ্তানি হচ্ছে বিদেশে

দিনাজপুরের হিলিতে আবর্জনা হিসেবে মাছের আঁশ ফেলে দেওয়া হলেন ও তা বিক্রি করে বাড়তি আয় করছেন ব্যবসায়ীরা। আর এ আঁশ রপ্তানি হচ্ছে চীনসহ বিভিন্ন দেশে।
হিলি মাছ বাজারে নিজেদের পাশাপাশি অন্যান্য দোকান থেকে ও মাছের আঁশ সংগ্রহ করেন।এরপর এগুলো প্রক্রিয়াজাত করে ৫০ থেকে ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছেন ব্যবসায়ীরা। ক্রেতারা মাছ কিনে তা দোকান থেকেই কেটে নিয়ে যান আর ফেলে দেওয়া হচ্ছে মাছের আঁশগুলো আর সেই আঁশ বিক্রয় করে আর্থিক ভাবে লাভবান হচ্ছেন এখানকার ব্যবসায়ীরা।মাছ বাজারে বড় ছোট মিলিয়ে ২০ থেকে ২৫ টির মতো মাছের দোকান রয়েছে।এ আঁশ রফতানি হচ্ছে বিদেশেও। তৈরি হচ্ছে ওষুধের ফয়েলসহ নানা কিছু। দেশেও মাছের আঁশ দিয়ে তৈরি হচ্ছে মাছ ও মুরগীর খাদ্য।মাছ বিক্রেতা আশরাফুল বলেন,আমরা প্রতিদিন ১ থেকে ২ কেজি করে মাছের আঁশ জড়ো করি যা মাসে ৩০ থেকে ৪০ কেজির মতো আঁশ বিক্রি করতে পারি। যা থেকে তিন-চার হাজার টাকা বাড়তি আয় হয়। এতে আমরা মাছ ব্যবসার পাশাপাশি বাড়তি আয় করতে পারছি।হিলি বাজারের মাছ বিক্রেতা কাওসার হোসেন বলেন, মাছের আঁশগুলো আগে ফেলে দিতাম যা পরিবেশ দূষিত করতো। এখন মাছের আঁশগুলোর চাহিদা থাকায় আঁশগুলো ভালোভাবে ধুয়ে রোদে শুকিয়ে বিক্রি করি।মাছের আঁশ পাইকার ক্রেতা লিটন পারভেজ বলেন,আগে সবাই মাছের আঁশ ফেলে দিতো।এখন আমরা কিনি বলে সবাই সংগ্রহ করে রাখে।আমি শুধু হিলি নয় দিনাজপুর,সৈয়দপুর,ঘোড়াঘাট,বগুড়া,নাটোর,জয়পুরহাট,বিরামপুর, রাজশাহীসহ বিভিন্ন জেলার মাছ বাজার থেকে এ আঁশ সংগ্রহ করে থাকি। এগুলো সংগ্রহ করে ঢাকা পাঠাই। সেখান থেকে চীনে রফতানি হচ্ছে।

জনপ্রিয়

হিলিতে ফেলে দেওয়া মাছের আঁশ রপ্তানি হচ্ছে বিদেশে

প্রকাশের সময় : ০৭:৩৪:৫৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

দিনাজপুরের হিলিতে আবর্জনা হিসেবে মাছের আঁশ ফেলে দেওয়া হলেন ও তা বিক্রি করে বাড়তি আয় করছেন ব্যবসায়ীরা। আর এ আঁশ রপ্তানি হচ্ছে চীনসহ বিভিন্ন দেশে।
হিলি মাছ বাজারে নিজেদের পাশাপাশি অন্যান্য দোকান থেকে ও মাছের আঁশ সংগ্রহ করেন।এরপর এগুলো প্রক্রিয়াজাত করে ৫০ থেকে ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছেন ব্যবসায়ীরা। ক্রেতারা মাছ কিনে তা দোকান থেকেই কেটে নিয়ে যান আর ফেলে দেওয়া হচ্ছে মাছের আঁশগুলো আর সেই আঁশ বিক্রয় করে আর্থিক ভাবে লাভবান হচ্ছেন এখানকার ব্যবসায়ীরা।মাছ বাজারে বড় ছোট মিলিয়ে ২০ থেকে ২৫ টির মতো মাছের দোকান রয়েছে।এ আঁশ রফতানি হচ্ছে বিদেশেও। তৈরি হচ্ছে ওষুধের ফয়েলসহ নানা কিছু। দেশেও মাছের আঁশ দিয়ে তৈরি হচ্ছে মাছ ও মুরগীর খাদ্য।মাছ বিক্রেতা আশরাফুল বলেন,আমরা প্রতিদিন ১ থেকে ২ কেজি করে মাছের আঁশ জড়ো করি যা মাসে ৩০ থেকে ৪০ কেজির মতো আঁশ বিক্রি করতে পারি। যা থেকে তিন-চার হাজার টাকা বাড়তি আয় হয়। এতে আমরা মাছ ব্যবসার পাশাপাশি বাড়তি আয় করতে পারছি।হিলি বাজারের মাছ বিক্রেতা কাওসার হোসেন বলেন, মাছের আঁশগুলো আগে ফেলে দিতাম যা পরিবেশ দূষিত করতো। এখন মাছের আঁশগুলোর চাহিদা থাকায় আঁশগুলো ভালোভাবে ধুয়ে রোদে শুকিয়ে বিক্রি করি।মাছের আঁশ পাইকার ক্রেতা লিটন পারভেজ বলেন,আগে সবাই মাছের আঁশ ফেলে দিতো।এখন আমরা কিনি বলে সবাই সংগ্রহ করে রাখে।আমি শুধু হিলি নয় দিনাজপুর,সৈয়দপুর,ঘোড়াঘাট,বগুড়া,নাটোর,জয়পুরহাট,বিরামপুর, রাজশাহীসহ বিভিন্ন জেলার মাছ বাজার থেকে এ আঁশ সংগ্রহ করে থাকি। এগুলো সংগ্রহ করে ঢাকা পাঠাই। সেখান থেকে চীনে রফতানি হচ্ছে।