মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

আওয়ামীলীগকে আর নির্বাচনী সংলাপ খেলা খেলতে দেয়া হবে না

চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহবায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, সাংবাদিক সাগর রুনি হত্যার বিচার এখনো হয়নি। কারণ সাগর রুনি সরকারের জালানি খাতে শতকোট টাকার লুটপাট জেনে ফেলেছিল তাই তাদেরকে হত্যা করা হয়েছিল। তেমনিভাবে হলমার্কের দুর্নীতি যখন প্রকাশ হলো তখনই রামুর বৌদ্ধ মন্দিরে হামলার ঘটনা ঘটলো। এগুলো একটার সাথে একটার যোগাযোগ রয়েছে। দেশে যখন সরকারের দুর্নীতির কোন ঘটনা প্রকাশ পায় তখনই সরকার পরিকল্পিতভাবে আরেকটা অঘটন ঘটিয়ে জনগণের দৃষ্টি অন্যদিকে সরিয়ে দেয়। এখন নির্বাচন যখন ঘনিয়ে আসছে তখন একটা সংলাপ সংলাপ খেলা খেলতে চাচ্ছে। ২০১৮ সালেও তারা এ ধরনের একটি সংলাপ খেলা খেলেছিলো। এই সংলাপের আড়ালে একটা ব্লু প্রিন্টের মাধ্যমে আমরা যারা নির্বাচন করব তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। কিন্তু আওয়ামীলীগকে এবার নির্বাচনী সংলাপ খেলা খেলতে দেবো না। এই সরকারের অধীনে কোন নির্বাচন হতে পারে না। তত্বাবধায়ক সরকারের অধীনেই নির্বাচন হতে হবে।
তিনি রবিবার (৫ মার্চ) দুপুরে জামালখান রোডস্থ চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের আবদুল খালেক মিলনায়তনে সম্মিলিত পেশাজীবি পরিষদ চট্টগ্রামের উদ্যোগে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, বিএনপির মুখপত্র দৈনিক দিনকালের ডিক্লারেশন ও মুদ্রণের ঘোষনাপত্র বাতিল করে দিয়েছে সরকার। ইতিপূর্বেও আমার দেশ সহ বিভিন্ন গণমাধ্যম বন্ধ করা হয়েছিল। বর্তমান নিশিরাতের সরকারের অধীনে গণমাধ্যমের যে কোনো স্বাধীনতা নেই তা আবারও প্রমাণিত হলো। বিরোধী দলের একমাত্র পত্রিকাটির প্রকাশনা বাতিল সরকারের চরম হিংসা চরিতার্থ করার বহিঃপ্রকাশ। এটি মত প্রকাশের স্বাধীনতার উপর চরম আঘাত।
তিনি অবিলম্বে দিনকাল ও আমার দেশ সহ বন্ধ গণমাধ্যমের ডিক্লারেশন ও মুদ্রণের ঘোষনাপত্র বাতিলের আদেশ প্রত্যাহারের দাবি জানান।
সভাপতির বক্তব্যে সাংবাদিক জাহিদুল করিম কচি বলেন, সরকার গণতন্ত্র পুণরুদ্ধারের আন্দোলন দমন করতে ফ্যাসিবাদী কায়দায় নিষ্ঠুর জুলুম নির্যাতন অব্যাহত রেখেছে। কিন্তু অতীতে যেমন কোনো স্বৈরশাসন বিরোধী আন্দোলনের নেতাকর্মীদের গুম, খুন, গ্রেপ্তার, নির্যাতন করে দমাতে পারেনি। বর্তমান শাসকগোষ্ঠীও গণতন্ত্রকামীদের আন্দোলন দমাতে পারবে না।
সম্মিলিত পেশাজীবি পরিষদের সদস্য সচিব ডা. খুরশিদ জামিল চৌধুরী বলেন, মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার এখন বর্তমান সরকারের দমনপীড়নে ক্ষতবিক্ষত। আইনের শাসন না থাকায় ঘরে বাইরে কারও জীবনের নিরাপত্তা নেই। বর্তমানে কোনো অপরাধের সঙ্গে জড়িত না হয়েও নির্দোষ মানুষকে অপরাধী বানিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে।
বিএনপি নেতা এরশাদ উল্লাহ বলেন, ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মাধ্যমেই দেশের জনগণ আওয়ামী ফ্যাসিবাদি সরকারকে উৎখাত করবে। গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে সবাইকে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে।
মেট্রোপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মো. শাহনওয়াজ বলেন, ক্ষমতার জোরে সরকার দেশে এমন কিছু আইন তৈরি করেছে, যেসব আইন মানুষের অধিকার ক্ষুন্ন করেছে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন প্রণয়ন করে দেশের গণমাধ্যমগুলোর কণ্ঠরোধ করেছে। গণমাধ্যম এখন এক ভয়ংকর সময় পার করছে।
বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবি পরিষদ চট্টগ্রামের আহবায়ক সাংবাদিক জাহিদুল করিম কচির সভাপতিত্বে এবং এ্যাবের সভাপতি ইঞ্জি, সেলিম মো. জানে আলমের সঞ্চালনায় মতবিনিময় করেন সম্মিলিত পেশাজীবি পরিষদের সদস্য সচিব ডা. খুরশিদ জামিল চৌধুরী, বিএনপি নেতা এরশাদ উল্লাহ, মেট্রোপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মো. শাহনওয়াজ, বিএনপি নেতা ইঞ্জি. বেলায়েত হোসেন, শিক্ষক সমিতির সভাপতি এম এ সাফা চৌধুরী, ড্যাব নেতা ডা. মো. ঈসা চৌধুরী, ইঞ্জি. আতিকুজ্জামান বিল্লাহ, বিএনপি নেতা মন্জুর রহমান চৌধুরী, ইদ্রিস আলী, সাংবাদিক রফিকুল ইসলাম সেলিম, সাইফুল ইসলাম শিল্পী, নুরুল মোস্তফা কাজী, জীবন মুছা, এম এ হোসেন, এফ এ এফ রুমি, আকতার হোসেন, ব্যবসায়ী নেতা মাহবুব রানা, সালাউদ্দীন আলী, রোটারিয়ান জসিম উদ্দিন, তাতীদল নেতা মনিরুজ্জামান টিটু, শ্রমিক নেতা রফিকুল ইসলাম, এম এ জলিল, এন মো. রিমন প্রমূখ।

আওয়ামীলীগকে আর নির্বাচনী সংলাপ খেলা খেলতে দেয়া হবে না

প্রকাশের সময় : ০৮:১৪:২২ অপরাহ্ন, রবিবার, ৫ মার্চ ২০২৩
চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহবায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, সাংবাদিক সাগর রুনি হত্যার বিচার এখনো হয়নি। কারণ সাগর রুনি সরকারের জালানি খাতে শতকোট টাকার লুটপাট জেনে ফেলেছিল তাই তাদেরকে হত্যা করা হয়েছিল। তেমনিভাবে হলমার্কের দুর্নীতি যখন প্রকাশ হলো তখনই রামুর বৌদ্ধ মন্দিরে হামলার ঘটনা ঘটলো। এগুলো একটার সাথে একটার যোগাযোগ রয়েছে। দেশে যখন সরকারের দুর্নীতির কোন ঘটনা প্রকাশ পায় তখনই সরকার পরিকল্পিতভাবে আরেকটা অঘটন ঘটিয়ে জনগণের দৃষ্টি অন্যদিকে সরিয়ে দেয়। এখন নির্বাচন যখন ঘনিয়ে আসছে তখন একটা সংলাপ সংলাপ খেলা খেলতে চাচ্ছে। ২০১৮ সালেও তারা এ ধরনের একটি সংলাপ খেলা খেলেছিলো। এই সংলাপের আড়ালে একটা ব্লু প্রিন্টের মাধ্যমে আমরা যারা নির্বাচন করব তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। কিন্তু আওয়ামীলীগকে এবার নির্বাচনী সংলাপ খেলা খেলতে দেবো না। এই সরকারের অধীনে কোন নির্বাচন হতে পারে না। তত্বাবধায়ক সরকারের অধীনেই নির্বাচন হতে হবে।
তিনি রবিবার (৫ মার্চ) দুপুরে জামালখান রোডস্থ চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের আবদুল খালেক মিলনায়তনে সম্মিলিত পেশাজীবি পরিষদ চট্টগ্রামের উদ্যোগে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, বিএনপির মুখপত্র দৈনিক দিনকালের ডিক্লারেশন ও মুদ্রণের ঘোষনাপত্র বাতিল করে দিয়েছে সরকার। ইতিপূর্বেও আমার দেশ সহ বিভিন্ন গণমাধ্যম বন্ধ করা হয়েছিল। বর্তমান নিশিরাতের সরকারের অধীনে গণমাধ্যমের যে কোনো স্বাধীনতা নেই তা আবারও প্রমাণিত হলো। বিরোধী দলের একমাত্র পত্রিকাটির প্রকাশনা বাতিল সরকারের চরম হিংসা চরিতার্থ করার বহিঃপ্রকাশ। এটি মত প্রকাশের স্বাধীনতার উপর চরম আঘাত।
তিনি অবিলম্বে দিনকাল ও আমার দেশ সহ বন্ধ গণমাধ্যমের ডিক্লারেশন ও মুদ্রণের ঘোষনাপত্র বাতিলের আদেশ প্রত্যাহারের দাবি জানান।
সভাপতির বক্তব্যে সাংবাদিক জাহিদুল করিম কচি বলেন, সরকার গণতন্ত্র পুণরুদ্ধারের আন্দোলন দমন করতে ফ্যাসিবাদী কায়দায় নিষ্ঠুর জুলুম নির্যাতন অব্যাহত রেখেছে। কিন্তু অতীতে যেমন কোনো স্বৈরশাসন বিরোধী আন্দোলনের নেতাকর্মীদের গুম, খুন, গ্রেপ্তার, নির্যাতন করে দমাতে পারেনি। বর্তমান শাসকগোষ্ঠীও গণতন্ত্রকামীদের আন্দোলন দমাতে পারবে না।
সম্মিলিত পেশাজীবি পরিষদের সদস্য সচিব ডা. খুরশিদ জামিল চৌধুরী বলেন, মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার এখন বর্তমান সরকারের দমনপীড়নে ক্ষতবিক্ষত। আইনের শাসন না থাকায় ঘরে বাইরে কারও জীবনের নিরাপত্তা নেই। বর্তমানে কোনো অপরাধের সঙ্গে জড়িত না হয়েও নির্দোষ মানুষকে অপরাধী বানিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে।
বিএনপি নেতা এরশাদ উল্লাহ বলেন, ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মাধ্যমেই দেশের জনগণ আওয়ামী ফ্যাসিবাদি সরকারকে উৎখাত করবে। গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে সবাইকে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে।
মেট্রোপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মো. শাহনওয়াজ বলেন, ক্ষমতার জোরে সরকার দেশে এমন কিছু আইন তৈরি করেছে, যেসব আইন মানুষের অধিকার ক্ষুন্ন করেছে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন প্রণয়ন করে দেশের গণমাধ্যমগুলোর কণ্ঠরোধ করেছে। গণমাধ্যম এখন এক ভয়ংকর সময় পার করছে।
বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবি পরিষদ চট্টগ্রামের আহবায়ক সাংবাদিক জাহিদুল করিম কচির সভাপতিত্বে এবং এ্যাবের সভাপতি ইঞ্জি, সেলিম মো. জানে আলমের সঞ্চালনায় মতবিনিময় করেন সম্মিলিত পেশাজীবি পরিষদের সদস্য সচিব ডা. খুরশিদ জামিল চৌধুরী, বিএনপি নেতা এরশাদ উল্লাহ, মেট্রোপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মো. শাহনওয়াজ, বিএনপি নেতা ইঞ্জি. বেলায়েত হোসেন, শিক্ষক সমিতির সভাপতি এম এ সাফা চৌধুরী, ড্যাব নেতা ডা. মো. ঈসা চৌধুরী, ইঞ্জি. আতিকুজ্জামান বিল্লাহ, বিএনপি নেতা মন্জুর রহমান চৌধুরী, ইদ্রিস আলী, সাংবাদিক রফিকুল ইসলাম সেলিম, সাইফুল ইসলাম শিল্পী, নুরুল মোস্তফা কাজী, জীবন মুছা, এম এ হোসেন, এফ এ এফ রুমি, আকতার হোসেন, ব্যবসায়ী নেতা মাহবুব রানা, সালাউদ্দীন আলী, রোটারিয়ান জসিম উদ্দিন, তাতীদল নেতা মনিরুজ্জামান টিটু, শ্রমিক নেতা রফিকুল ইসলাম, এম এ জলিল, এন মো. রিমন প্রমূখ।