বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আগামী নির্বাচন দেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ –তথ্যমন্ত্রী

আগামী নির্বাচন দেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আগামী নির্বাচনে ফয়সালা হবে- দেশ শেখ হাসিনার নেতৃত্বে যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছে এটা অব্যাহত থাকবে। নাকি বাংলাদেশ পাকিস্তানের মতো পেছনের দিকে হাঁটবে।

রবিবার বিকালে বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে নীলফামারী জেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে এক বৈঠকে এ কথা বলেন দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় এই নেতা বলেন, ‘আগামী নির্বাচনে ফয়সালা হবে- দেশ এগিয়ে যাচ্ছে এটা অব্যাহত থাকবে নাকি পাকিস্তানের মতো পেছনের দিকে হাঁটবে। সুতরাং আমাদের ঐক্য, সংহতি, সাংগঠনিক শক্তি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং এর ওপর গুরুত্ব দেওয়ার জন্য আমি তৃণমূল্যের নেতৃবৃন্দকে অনুরোধ জানাই।’

দলে তৃণমূলের ঐক্য, সংহতি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে তৃণমূল নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘আপনারাই দলের প্রাণ। আপনাদের ঐক্য, সংহতি দলের জীবনীশক্তি বাড়াবে, দলের শক্তিকে বাড়াবে।’

তিনি বলেন, ‘প্রকৃতপক্ষে তৃণমূলেই আওয়ামী লীগের প্রাণ। এক বছরের কম সময়ের মধ্যে দেশে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে এবং সে নির্বাচনে আওয়ামী লীগ যদি তৃণমূল পর্যায়ে ঐক্যবদ্ধ থাকে আমাদেরকে হারানোর শক্তি কারো নেই। কারণ গত ১৪ বছরে প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে যে উন্নয়ন হয়েছে এবং প্রত্যেকটা মানুষের ভাগ্যের উন্নয়ন হয়েছে। যে যতো কথাই বলুক, বিশ্বে খারাপ পরিস্থিতির মধ্যেও বাংলাদেশ যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছে তার প্রশংসা করে ‘দি ইকোনোমিস্ট’ রিপোর্ট ছাপিয়েছে। অর্থাৎ পৃথিবীর অন্য দেশ পারছে না, আমরা পারছি।’

তৃণমূলের ঐক্য এবং সংহতি দৃঢ় করতে প্রয়োজনীয় কার্যক্রমের কথা উল্লেখ করে ড. হাছান বলেন, ‘ইদানিং কোথাও কোথাও এক বছরেও কমিটি পূর্ণাঙ্গ না হওয়ায় গত সম্মেলনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের গঠনতন্ত্রে একটি নতুন ধরা সংযোজন করা হয়েছে, কমিটি হওয়ার পর ৪৫ দিনের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ কমিটি করতে হবে তা না হলে সেটি বাতিল করা হবে। সুতরাং এটা সবাইকে মাথায় রাখতে হবে। অনেক ক্ষেত্রে সম্মেলন করে আসা হয়, কমিটি হয় না, সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকও হয় না। এগুলো পরিহার করতে হবে। গঠনতন্ত্র অনুযায়ী প্রতি দুই মাসে মিটিং ডাকার বাধ্যবাধকতা আছে। কিছুদিন পরপর বর্ধিত সভা যেমন, থানা কমিটি হলে ইউনিয়নের ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকদের নিয়ে সভা ডাকা প্রয়োজন। তাহলে দলের মধ্যে একটা ঐক্য-সংহতি তৈরি হয়।’

এসময় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খান, আসাদুজ্জামান নূর, সাংগঠনিক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, কার্যনির্বাহী শাহবুদ্দিন ফরাজি, আফতাব উদ্দিন সরকার, সংরক্ষিত মহিলা আসনের এমপি রাবেয়া আলীম, নীলফামারী জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি দেওয়ান কামাল আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মমতাজুল।

আগামী নির্বাচন দেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ –তথ্যমন্ত্রী

প্রকাশের সময় : ১১:১৮:১৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ৫ মার্চ ২০২৩

আগামী নির্বাচন দেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আগামী নির্বাচনে ফয়সালা হবে- দেশ শেখ হাসিনার নেতৃত্বে যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছে এটা অব্যাহত থাকবে। নাকি বাংলাদেশ পাকিস্তানের মতো পেছনের দিকে হাঁটবে।

রবিবার বিকালে বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে নীলফামারী জেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে এক বৈঠকে এ কথা বলেন দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় এই নেতা বলেন, ‘আগামী নির্বাচনে ফয়সালা হবে- দেশ এগিয়ে যাচ্ছে এটা অব্যাহত থাকবে নাকি পাকিস্তানের মতো পেছনের দিকে হাঁটবে। সুতরাং আমাদের ঐক্য, সংহতি, সাংগঠনিক শক্তি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং এর ওপর গুরুত্ব দেওয়ার জন্য আমি তৃণমূল্যের নেতৃবৃন্দকে অনুরোধ জানাই।’

দলে তৃণমূলের ঐক্য, সংহতি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে তৃণমূল নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘আপনারাই দলের প্রাণ। আপনাদের ঐক্য, সংহতি দলের জীবনীশক্তি বাড়াবে, দলের শক্তিকে বাড়াবে।’

তিনি বলেন, ‘প্রকৃতপক্ষে তৃণমূলেই আওয়ামী লীগের প্রাণ। এক বছরের কম সময়ের মধ্যে দেশে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে এবং সে নির্বাচনে আওয়ামী লীগ যদি তৃণমূল পর্যায়ে ঐক্যবদ্ধ থাকে আমাদেরকে হারানোর শক্তি কারো নেই। কারণ গত ১৪ বছরে প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে যে উন্নয়ন হয়েছে এবং প্রত্যেকটা মানুষের ভাগ্যের উন্নয়ন হয়েছে। যে যতো কথাই বলুক, বিশ্বে খারাপ পরিস্থিতির মধ্যেও বাংলাদেশ যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছে তার প্রশংসা করে ‘দি ইকোনোমিস্ট’ রিপোর্ট ছাপিয়েছে। অর্থাৎ পৃথিবীর অন্য দেশ পারছে না, আমরা পারছি।’

তৃণমূলের ঐক্য এবং সংহতি দৃঢ় করতে প্রয়োজনীয় কার্যক্রমের কথা উল্লেখ করে ড. হাছান বলেন, ‘ইদানিং কোথাও কোথাও এক বছরেও কমিটি পূর্ণাঙ্গ না হওয়ায় গত সম্মেলনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের গঠনতন্ত্রে একটি নতুন ধরা সংযোজন করা হয়েছে, কমিটি হওয়ার পর ৪৫ দিনের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ কমিটি করতে হবে তা না হলে সেটি বাতিল করা হবে। সুতরাং এটা সবাইকে মাথায় রাখতে হবে। অনেক ক্ষেত্রে সম্মেলন করে আসা হয়, কমিটি হয় না, সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকও হয় না। এগুলো পরিহার করতে হবে। গঠনতন্ত্র অনুযায়ী প্রতি দুই মাসে মিটিং ডাকার বাধ্যবাধকতা আছে। কিছুদিন পরপর বর্ধিত সভা যেমন, থানা কমিটি হলে ইউনিয়নের ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকদের নিয়ে সভা ডাকা প্রয়োজন। তাহলে দলের মধ্যে একটা ঐক্য-সংহতি তৈরি হয়।’

এসময় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খান, আসাদুজ্জামান নূর, সাংগঠনিক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, কার্যনির্বাহী শাহবুদ্দিন ফরাজি, আফতাব উদ্দিন সরকার, সংরক্ষিত মহিলা আসনের এমপি রাবেয়া আলীম, নীলফামারী জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি দেওয়ান কামাল আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মমতাজুল।