মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

কর্তৃত্ববাদী সরকার ব্যবস্থায় নারী নির্যাতনের জন্য মূলত দায়ী

নারী নির্যাতনের মূল কারন কর্তৃত্ববাদী সরকার ব্যবস্হা ও গোঁজামিল মিশ্রিত রাষ্ট্রকাঠামো, আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে “মায়ের ডাক” ও “অধিকার” এর যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত মানব বন্ধন ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি কবি এ্যাডভোকেট মোস্তফা নুর তাাঁর বক্তব্যে এই কথা বলেন।
৯ মার্চ বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সামনে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে তিনি বলেন- নারী-পুরুষ, ধনী-গরীব, অক্ষরজ্ঞানী কিংবা নিরক্ষর নির্বিশেষে সকল মানুষের প্রতি সভ্য আচরণ প্রদর্শনই সকল প্রকারের বৈষম্য রোধ করতে পারে। কর্মক্ষেত্র এবং শিক্ষাঙ্গণে অবিরাম নারী নিগৃহীতের ঘটনায় বক্তারা উদ্বেগ প্রকাশ করেন। শিক্ষাঙ্গনের রাজনৈতিক প্রশ্রয়ে থাকা নারী সন্ত্রাসীদের দ্বারা সাধারণ নারী শিক্ষার্থীদের উপর চলছে অবর্নণীয় অত্যাচার। সকল প্রকারের জুলুম ও নির্যাতন হতে দেশ-জাতি এবং সভ্যতাকে রক্ষায় জনগণকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানানো হয়।
এছাড়াও “যৌতুক নেয়া বন্ধ করো, বাল্য বিবাহ বন্ধ কর, গুমের শিকার পরিবারের নারীদের ওপর রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস বন্ধ করুন” ইত্যাদি দাবী সম্বলিত প্লেকার্ড নিয়ে নারী সমাজের প্রতিনিধিগণ অবস্থান করেন মানববন্ধনে।
কবি আব্দুল্লাহ মজুমদারের সভাপতিত্বে আয়োজিত মানববন্ধন ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি কবি মোস্তফা নূর এডভোকেট আরো বলেন, কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় সহ ঢাকার ইডেন কলেজে নারী শিক্ষার্থীদের উপর নির্যাতনকারী দস্যুরাণীদের এখনো আইনের আওতায় আনা হয়নি। ফলে জনগণের কাছে একটি ম্যাসেজ যাচ্ছে যে, বিশেষ দল ও গৌষ্ঠির মদদে এই দেশে যাবতীয় ঘৃণ্য অপরাধ সংগঠিত করলেও অপরাধিদের কিছুই হবে না। এতে অপরাধিরা আরো বেপরোয়া হচ্ছে এবং নারী পুরুষ শিশু নির্বিশেষে দুর্বলদের উপর সবলের অত্যাচার খুব স্বাভাবিক ভাববার জন্যে সুদূর প্রসারী ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে এই সব নি:সংশ ঘটনা এক জাতীয় বৈধতা পাচ্ছে কি না চিন্তার বিষয়।
অনৃষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সাংবাদিক ওসমান জাহাঙ্গীর, সংগঠনের বিবৃতি পাঠ করেন নারী মানবাধিকার কর্মী সায়মা হক, আরো বক্তব্য রাখেন কে এম আবুল কাশেম (বাহাদুর), সাংবাদিক কামাল পারভেজ, রিপা আক্তার, মোছাম্মদ রিনা আকতার, শিউলি আকতার, সজল দাশ, হারাধন নাহা (বাসু), হাজেরাতুন নেছা, হানিফুল ইসলাম, পারভীন আক্তার চৌধুরী, অভিলাষ মাহমুদ, শহিদুজামান, জানে আলম, সাংবাদিক সুমন বড়ুয়া, প্রিয়াঙ্কা প্রমুখ।

কর্তৃত্ববাদী সরকার ব্যবস্থায় নারী নির্যাতনের জন্য মূলত দায়ী

প্রকাশের সময় : ০৫:৫৭:৪০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ মার্চ ২০২৩
নারী নির্যাতনের মূল কারন কর্তৃত্ববাদী সরকার ব্যবস্হা ও গোঁজামিল মিশ্রিত রাষ্ট্রকাঠামো, আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে “মায়ের ডাক” ও “অধিকার” এর যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত মানব বন্ধন ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি কবি এ্যাডভোকেট মোস্তফা নুর তাাঁর বক্তব্যে এই কথা বলেন।
৯ মার্চ বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সামনে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে তিনি বলেন- নারী-পুরুষ, ধনী-গরীব, অক্ষরজ্ঞানী কিংবা নিরক্ষর নির্বিশেষে সকল মানুষের প্রতি সভ্য আচরণ প্রদর্শনই সকল প্রকারের বৈষম্য রোধ করতে পারে। কর্মক্ষেত্র এবং শিক্ষাঙ্গণে অবিরাম নারী নিগৃহীতের ঘটনায় বক্তারা উদ্বেগ প্রকাশ করেন। শিক্ষাঙ্গনের রাজনৈতিক প্রশ্রয়ে থাকা নারী সন্ত্রাসীদের দ্বারা সাধারণ নারী শিক্ষার্থীদের উপর চলছে অবর্নণীয় অত্যাচার। সকল প্রকারের জুলুম ও নির্যাতন হতে দেশ-জাতি এবং সভ্যতাকে রক্ষায় জনগণকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানানো হয়।
এছাড়াও “যৌতুক নেয়া বন্ধ করো, বাল্য বিবাহ বন্ধ কর, গুমের শিকার পরিবারের নারীদের ওপর রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস বন্ধ করুন” ইত্যাদি দাবী সম্বলিত প্লেকার্ড নিয়ে নারী সমাজের প্রতিনিধিগণ অবস্থান করেন মানববন্ধনে।
কবি আব্দুল্লাহ মজুমদারের সভাপতিত্বে আয়োজিত মানববন্ধন ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি কবি মোস্তফা নূর এডভোকেট আরো বলেন, কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় সহ ঢাকার ইডেন কলেজে নারী শিক্ষার্থীদের উপর নির্যাতনকারী দস্যুরাণীদের এখনো আইনের আওতায় আনা হয়নি। ফলে জনগণের কাছে একটি ম্যাসেজ যাচ্ছে যে, বিশেষ দল ও গৌষ্ঠির মদদে এই দেশে যাবতীয় ঘৃণ্য অপরাধ সংগঠিত করলেও অপরাধিদের কিছুই হবে না। এতে অপরাধিরা আরো বেপরোয়া হচ্ছে এবং নারী পুরুষ শিশু নির্বিশেষে দুর্বলদের উপর সবলের অত্যাচার খুব স্বাভাবিক ভাববার জন্যে সুদূর প্রসারী ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে এই সব নি:সংশ ঘটনা এক জাতীয় বৈধতা পাচ্ছে কি না চিন্তার বিষয়।
অনৃষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সাংবাদিক ওসমান জাহাঙ্গীর, সংগঠনের বিবৃতি পাঠ করেন নারী মানবাধিকার কর্মী সায়মা হক, আরো বক্তব্য রাখেন কে এম আবুল কাশেম (বাহাদুর), সাংবাদিক কামাল পারভেজ, রিপা আক্তার, মোছাম্মদ রিনা আকতার, শিউলি আকতার, সজল দাশ, হারাধন নাহা (বাসু), হাজেরাতুন নেছা, হানিফুল ইসলাম, পারভীন আক্তার চৌধুরী, অভিলাষ মাহমুদ, শহিদুজামান, জানে আলম, সাংবাদিক সুমন বড়ুয়া, প্রিয়াঙ্কা প্রমুখ।