সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনের বিষয়টি সুরাহা এবং আইনজীবী ও সাংবাদিকদের ওপর পুলিশের লাঠিচার্জ, নির্যাতন ও সৃষ্ট পরিস্থিতি নিয়ে প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর সঙ্গে আলোচনা করেছেন বিএনপি-সমর্থক আইনজীবীরা।
বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতির কক্ষে প্রবেশ করেন বিএনপি-সমর্থিত নীল প্যানেলের সভাপতি প্রার্থী ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন ও সম্পাদক প্রার্থী ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল।
এ সময় তাদের সঙ্গে ছিলেন- সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল ও জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সভাপতি এ জে মোহাম্মদ আলী, সুপ্রিমকোর্ট বারের সাবেক সভাপতি জয়নুল আবেদিন ও বিএনপির আইন বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল।
প্রধান বিচারপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন ও রুহুল কুদ্দুস কাজল সাংবাদিকদের জানান, প্রধান বিচারপতি বুধবার ঘটে যাওয়া ঘটনাগুলো শুনেছেন। আইনজীবী ও সাংবাদিকদের ওপর হামলাসহ সব শুনেছেন। প্রধান বিচারপতি আইনজীবীদের বলেছেন, তিনি এ বিষয়ে অ্যাটর্নি জেনারেলের সঙ্গে কথা বলবেন। এরপর উনার কিছু করণীয় থাকলে তা জানাবেন।
ব্যারিস্টার খোকন জানান, আমি প্রধান বিচারপতিকে বলেছি, তিনি উদ্যোগ না নিলে সুপ্রিমকোর্টের ঐতিহ্য নষ্ট হবে। বিচার বিভাগের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হবে। দেশবাসীর কাছে বিচার বিভাগের মর্যাদা নষ্ট হবে। পুরো দেশ-জাতি সুপ্রিমকোর্টের এ নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে আছে।
এদিন সকাল সোয়া ৯টায় প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে আপিল বিভাগের ৮ বিচারপতির এজলাসে সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এ জে মোহাম্মদ আলী বুধবারের (১৫ মার্চ) পুলিশের হামলা ও মামলার কথা তুলে ধরেন এবং আইনজীবীদের নিরাপত্তা চান।
ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল প্রধান বিচারপতিকে সম্বোধন করে বলেন, আমরা আপনার আদালতের আইনজীবী। আপনি আমাদের অভিভাবক। আমরা কী এমন অপরাধ করেছি? বুধবার পুলিশ আইনজীবীদের নির্যাতন করল। নারী আইনজীবীরাও রেহাই পাননি। আমি পুলিশকে বলেছি, আমি সম্পাদক প্রার্থী। তারপরও আমাকে ধাক্কাতে ধাক্কাতে বের করে দেওয়া হয়েছে। আমাদের বিরুদ্ধে দুটি মামলা হয়েছে। বার ভবনে আমাদের রুমগুলো লক করে দেওয়া হয়েছে। এ কারণে আমরা আপনাদের কাছে এসেছি।
মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেন, আমি নিজেও পুলিশের নির্যাতনের শিকার হয়েছি। আজও আমি ভালো করে হাঁটতে পারছি না। বুধবার মিলনায়তনের ভেতরে পুলিশ আইনজীবীদের পায়ের নিচে ফেলে নির্যাতন করেছে। সাংবাদিক ও নারী আইনজীবীদেরও লাঠিচার্জ করেছে।
এদিকে নির্বাচন ঘিরে দুই দলের আইনজীবীদের মধ্যে কয়েক দফা ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটেছে। সুপ্রিমকোর্ট অঙ্গনে প্রচুর সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য নিরাপত্তায় নিয়োজিত রয়েছেন।