মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

কথাটা বিএনপিকে ক্ষমতায় নেওয়ার জন্য বলছি না: ফখরুল

তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ধারণা আওয়ামী লীগ নিয়ে এসেছিল উল্লেখ করে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসেই সংবিধান পালটে দিল। কারণ কিছু দিনের মধ্যেই দেখল তারা নিরপেক্ষ নির্বাচনে জয়ী হতে পারবে না। সেই জন্য তারা দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের ব্যবস্থা করেছে।’

‘এখনো তারা চিৎকার করছে, সংবিধানের আলোকে নির্বাচন হবে। কোন সংবিধান? এই সংবিধান তো সেই সংবিধান নেই! এটা তারা পরিবর্তন করেছে গায়ের জোরে।’

সোমবার দুপুরে সৈয়দপুরে আয়োজিত নীলফামারী জেলা বিএনপির সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

ফখরুল বলেন, ‘এই কথাটা আমরা বিএনপিকে ক্ষমতায় নেওয়ার জন্য বলছি না। আমরা বলছি মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য। মানুষ যেন ভোট দিতে পারে। তাদের আমলে তো মানুষ ভোটই দিতে পারে না! ভোট জিনিসটা তারা (আওয়ামী লীগ) তুলে দিয়েছে কিন্তু দেখাতে চায় তারা একটা ভোট করছে।’

এ সময় নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ছাড়া আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি যাবে না বলেও পুনর্ব্যক্ত করেন দলটির মহাসচিব। তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সব সময় মিথ্যা কথা বলে, প্রতারণা করে। ভণ্ড রাজনীতি করে মানুষকে ভুল পথে পরিচালিত করে তারা বারবার ক্ষমতায় যেতে চায়।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘এবার ভিন্নভাবে আবারো তারা (আওয়ামী লীগ) একদলীয় শাসন ব্যবস্থা বাকশাল প্রতিষ্ঠা করতে চায়। ২০১৪ সালে তারা নির্বাচন করেছে, কোনো নির্বাচনই হয়নি। ১৫৪ জনকে ঘোষণা করে দিয়েছে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত। ২০১৮ সালে নির্বাচন করেছে, কোনো নির্বাচনই হয়নি। আগের রাতে সবাইকে নির্বাচিত ঘোষণা করে দিয়েছে। আর ক্ষমতায় গিয়ে তারা একে একে রাষ্ট্রের সব প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করে দিয়েছে।’

আওয়ামী লীগ জুডিশিয়ারি সম্পূর্ণভাবে নিয়ন্ত্রণ করছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, সংসদে কোনো জবাবদিহিতা নেই। সেখানে কোনো বিতর্ক, দেশের সম্পর্কে কোনো আলোচনা হয় না। শুধুমাত্র দুটি কাজই তারা সফলভাবে করতে পেরেছে- চুরি; রাষ্ট্রের সমস্ত সম্পদ তারা লুট করে নিয়ে যাচ্ছে এবং সেটাকে পাচার করে দিচ্ছে দেশের বাইরে। আরেকটা হচ্ছে- সন্ত্রাস সৃষ্টি করে ভয় দেখাচ্ছে, মানুষ প্রতিবাদ করার সাহস পাচ্ছে না।’

দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আওয়ামী লীগ আবারো একটি নতুন নির্বাচনের পাঁয়তারা শুরু করেছে। এই নির্বাচন আমাদেরকে অবশ্যই প্রতিহত করতে হবে, এই দেশের স্বার্থে। আমরা কোনো মতেই আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে এই দেশে কোনো নির্বাচন হতে দেব না। যেখানে ভোটের অধিকার থাকে না, জনগণ সেই ভোট মানে না। আমাদের কথা খুব পরিষ্কার, আওয়ামী লীগের অধীনে এই দেশের মানুষ কোনো নির্বাচনে যাবে না।’

কথাটা বিএনপিকে ক্ষমতায় নেওয়ার জন্য বলছি না: ফখরুল

প্রকাশের সময় : ০৩:২৪:২৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ মার্চ ২০২৩

তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ধারণা আওয়ামী লীগ নিয়ে এসেছিল উল্লেখ করে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসেই সংবিধান পালটে দিল। কারণ কিছু দিনের মধ্যেই দেখল তারা নিরপেক্ষ নির্বাচনে জয়ী হতে পারবে না। সেই জন্য তারা দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের ব্যবস্থা করেছে।’

‘এখনো তারা চিৎকার করছে, সংবিধানের আলোকে নির্বাচন হবে। কোন সংবিধান? এই সংবিধান তো সেই সংবিধান নেই! এটা তারা পরিবর্তন করেছে গায়ের জোরে।’

সোমবার দুপুরে সৈয়দপুরে আয়োজিত নীলফামারী জেলা বিএনপির সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

ফখরুল বলেন, ‘এই কথাটা আমরা বিএনপিকে ক্ষমতায় নেওয়ার জন্য বলছি না। আমরা বলছি মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য। মানুষ যেন ভোট দিতে পারে। তাদের আমলে তো মানুষ ভোটই দিতে পারে না! ভোট জিনিসটা তারা (আওয়ামী লীগ) তুলে দিয়েছে কিন্তু দেখাতে চায় তারা একটা ভোট করছে।’

এ সময় নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ছাড়া আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি যাবে না বলেও পুনর্ব্যক্ত করেন দলটির মহাসচিব। তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সব সময় মিথ্যা কথা বলে, প্রতারণা করে। ভণ্ড রাজনীতি করে মানুষকে ভুল পথে পরিচালিত করে তারা বারবার ক্ষমতায় যেতে চায়।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘এবার ভিন্নভাবে আবারো তারা (আওয়ামী লীগ) একদলীয় শাসন ব্যবস্থা বাকশাল প্রতিষ্ঠা করতে চায়। ২০১৪ সালে তারা নির্বাচন করেছে, কোনো নির্বাচনই হয়নি। ১৫৪ জনকে ঘোষণা করে দিয়েছে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত। ২০১৮ সালে নির্বাচন করেছে, কোনো নির্বাচনই হয়নি। আগের রাতে সবাইকে নির্বাচিত ঘোষণা করে দিয়েছে। আর ক্ষমতায় গিয়ে তারা একে একে রাষ্ট্রের সব প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করে দিয়েছে।’

আওয়ামী লীগ জুডিশিয়ারি সম্পূর্ণভাবে নিয়ন্ত্রণ করছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, সংসদে কোনো জবাবদিহিতা নেই। সেখানে কোনো বিতর্ক, দেশের সম্পর্কে কোনো আলোচনা হয় না। শুধুমাত্র দুটি কাজই তারা সফলভাবে করতে পেরেছে- চুরি; রাষ্ট্রের সমস্ত সম্পদ তারা লুট করে নিয়ে যাচ্ছে এবং সেটাকে পাচার করে দিচ্ছে দেশের বাইরে। আরেকটা হচ্ছে- সন্ত্রাস সৃষ্টি করে ভয় দেখাচ্ছে, মানুষ প্রতিবাদ করার সাহস পাচ্ছে না।’

দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আওয়ামী লীগ আবারো একটি নতুন নির্বাচনের পাঁয়তারা শুরু করেছে। এই নির্বাচন আমাদেরকে অবশ্যই প্রতিহত করতে হবে, এই দেশের স্বার্থে। আমরা কোনো মতেই আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে এই দেশে কোনো নির্বাচন হতে দেব না। যেখানে ভোটের অধিকার থাকে না, জনগণ সেই ভোট মানে না। আমাদের কথা খুব পরিষ্কার, আওয়ামী লীগের অধীনে এই দেশের মানুষ কোনো নির্বাচনে যাবে না।’