মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

আদালতে মামলা করবেন শাকিব খান

থানায় গিয়ে মামলা করতে না পেরে আদালতে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন চিত্রনায়ক শাকিব খান। মানহানির অভিযোগে রহমত উল্লাহ নামে প্রযোজকের বিরুদ্ধে তিনি মামলা করতে চান।

মামলা করতে শনিবার গভীর রাত পর্যন্ত গুলশান থানায় অবস্থান করেন শাকিব। রোববার দুপুরে তিনি যান ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) কার্যালয়ে। রাতে ডিবি কার্যালয় ত্যাগ করেন। আজ সোমবার তিনি আদালতে মামলা করতে পারেন বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র যুগান্তরকে জানিয়েছে।

ডিবি প্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ যুগান্তরকে বলেন, শাকিব খান একটি ব্যক্তিগত সমস্যায় আছেন। ওই সমস্যা নিয়ে তিনি স্বেচ্ছায় ডিবি কার্যালয়ে আসেন। তিনি আমাদের কাছে পরামর্শ চান। আমরা তাকে কিছু পরামর্শ দিয়েছি।

শাকিব খানের বিরুদ্ধে অস্ট্রেলিয়ায় ‘অপারেশন অগ্নিপথ’ সিনেমার শুটিংয়ে শিডিউল ফাঁসানো ও সহ-নারী প্রযোজককে ধর্ষণের অভিযোগ তোলেন রহমত উল্লাহ নামের প্রযোজক।

ওই প্রযোজকের নামে মানহানি মামলা করতে শনিবার রাতে শাকিব গুলশান থানায় গেলেও পুলিশ মামলা নেয়নি। মামলাটি আদালতে করার পরামর্শ দেয় পুলিশ। এ সময় প্রায় দেড় ঘণ্টা থানার ভেতরে পুলিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেন শাকিব খান।

থানা থেকে বেরিয়ে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, আমাকে থানা থেকে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে আদালতে মামলা করার জন্য। আমার বিরুদ্ধে যিনি অভিযোগ এনেছেন তিনি আসলে প্রযোজক কিনা আপনারা প্রযোজক সমিতিতে গেলেই আসল তথ্য পেয়ে যেতেন। উনি কোনো প্রযোজকই নন। আমার বিরুদ্ধে একটি ভুয়া অভিযোগ এনেছেন।

শাকিব খান বলেন, অস্ট্রেলিয়ার আইন কি এতই দুর্বল যে আমার বিরুদ্ধে সেখানে মামলা হলে বিচার ছাড়াই আমি বাংলাদেশে চলে আসতে পারব? আপনারা খোঁজ নিয়ে দেখুন, যে মামলা নম্বর উনি উল্লেখ করেছেন সেটি ভুয়া।

এর আগে বুধবার বিকালে সশরীরে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতিতে হাজির হয়ে শাকিব খানের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেন রহমত উল্লাহ। অভিযোগে বলা হয়, ২০১৭ সালে অস্ট্রেলিয়ায় ‘অপারেশন অগ্নিপথ’ সিনেমার শুটিংয়ের সময় এক নারী সহ-প্রযোজককে ধর্ষণ করেন শাকিব খান। পরে তিনি দেশে পালিয়ে আসেন।

এ অভিযোগের পরই বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক আলোচনা শুরু হয় বিনোদনপাড়ায়। বৃহস্পতিবার রাজধানীর গুলশানের একটি রেস্টুরেন্টে আলোচনায় বসেন শাকিব খান এবং রহমত উল্লাহ। ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন প্রযোজক নেতা খোরশেদ আলম খসরু। তবে ওই বৈঠকে বিষয়টির সুরাহা হয়নি।

ওয়ানডে তিন ম্যাচের সিরিজে শেষখেলায় শ্রীলংকাকে ৪ উইকেটে হারাল বাংলাদেশ

আদালতে মামলা করবেন শাকিব খান

প্রকাশের সময় : ০৩:২৮:১৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ মার্চ ২০২৩

থানায় গিয়ে মামলা করতে না পেরে আদালতে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন চিত্রনায়ক শাকিব খান। মানহানির অভিযোগে রহমত উল্লাহ নামে প্রযোজকের বিরুদ্ধে তিনি মামলা করতে চান।

মামলা করতে শনিবার গভীর রাত পর্যন্ত গুলশান থানায় অবস্থান করেন শাকিব। রোববার দুপুরে তিনি যান ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) কার্যালয়ে। রাতে ডিবি কার্যালয় ত্যাগ করেন। আজ সোমবার তিনি আদালতে মামলা করতে পারেন বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র যুগান্তরকে জানিয়েছে।

ডিবি প্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ যুগান্তরকে বলেন, শাকিব খান একটি ব্যক্তিগত সমস্যায় আছেন। ওই সমস্যা নিয়ে তিনি স্বেচ্ছায় ডিবি কার্যালয়ে আসেন। তিনি আমাদের কাছে পরামর্শ চান। আমরা তাকে কিছু পরামর্শ দিয়েছি।

শাকিব খানের বিরুদ্ধে অস্ট্রেলিয়ায় ‘অপারেশন অগ্নিপথ’ সিনেমার শুটিংয়ে শিডিউল ফাঁসানো ও সহ-নারী প্রযোজককে ধর্ষণের অভিযোগ তোলেন রহমত উল্লাহ নামের প্রযোজক।

ওই প্রযোজকের নামে মানহানি মামলা করতে শনিবার রাতে শাকিব গুলশান থানায় গেলেও পুলিশ মামলা নেয়নি। মামলাটি আদালতে করার পরামর্শ দেয় পুলিশ। এ সময় প্রায় দেড় ঘণ্টা থানার ভেতরে পুলিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেন শাকিব খান।

থানা থেকে বেরিয়ে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, আমাকে থানা থেকে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে আদালতে মামলা করার জন্য। আমার বিরুদ্ধে যিনি অভিযোগ এনেছেন তিনি আসলে প্রযোজক কিনা আপনারা প্রযোজক সমিতিতে গেলেই আসল তথ্য পেয়ে যেতেন। উনি কোনো প্রযোজকই নন। আমার বিরুদ্ধে একটি ভুয়া অভিযোগ এনেছেন।

শাকিব খান বলেন, অস্ট্রেলিয়ার আইন কি এতই দুর্বল যে আমার বিরুদ্ধে সেখানে মামলা হলে বিচার ছাড়াই আমি বাংলাদেশে চলে আসতে পারব? আপনারা খোঁজ নিয়ে দেখুন, যে মামলা নম্বর উনি উল্লেখ করেছেন সেটি ভুয়া।

এর আগে বুধবার বিকালে সশরীরে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতিতে হাজির হয়ে শাকিব খানের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেন রহমত উল্লাহ। অভিযোগে বলা হয়, ২০১৭ সালে অস্ট্রেলিয়ায় ‘অপারেশন অগ্নিপথ’ সিনেমার শুটিংয়ের সময় এক নারী সহ-প্রযোজককে ধর্ষণ করেন শাকিব খান। পরে তিনি দেশে পালিয়ে আসেন।

এ অভিযোগের পরই বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক আলোচনা শুরু হয় বিনোদনপাড়ায়। বৃহস্পতিবার রাজধানীর গুলশানের একটি রেস্টুরেন্টে আলোচনায় বসেন শাকিব খান এবং রহমত উল্লাহ। ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন প্রযোজক নেতা খোরশেদ আলম খসরু। তবে ওই বৈঠকে বিষয়টির সুরাহা হয়নি।