বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

রমজানে অসহায় মানুষের পাশে:মানবিক রাজবাড়ী ফাউন্ডেশন 

 রাজবাড়ীতে  ২টাকার বিনিময়ে দরিদ্র ও অসহায় মানুষের হাতে ইফতার সামগ্রি তুলে দিচ্ছেন মানবিক রাজবাড়ী ফাউন্ডেশন।
সোমবার ২৭ মার্চ রাজবাড়ী রেল স্টেশন বট তলায় নামমাত্র মূল্যে ইফতার নিতে বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ আসেন। পুরো রমজান জুড়ে এই ইফতার আয়োজন চলবে। বিষয়টি নিয়ে রাজবাড়ীবাসীর মধ্যে ব্যাপক আগ্রহ সৃষ্টি হয়েছে।
সাদা রঙের ওয়ানটাইম ফুড বক্সে দেওয়া এই ইফতার পেয়ে খুবই খুশি নিম্ন আয়ের মানুষ। দরিদ্র ও ছিন্নমূল মানুষের পাশাপাশি মধ্যবিত্ত পরিবারের লোকজনও এই ইফতার নিয়েছেন। গত বছর রমজানে সারা মাস সুবিধাবঞ্চিত মানুষের হাতে ১টাকায় ইফতার তুলে দিয়েছে  সংগঠনটি। এরই ধারাবাহিকতায় এবারও রমজানের ২য় দিন থেকেই এ কার্যক্রম শুরু করে মানবিক রাজবাড়ী ফাউন্ডেশন।
২০২০ সালে করোনাভাইরাস মহামারিতে দেশজুড়ে সরকারঘোষিত কঠোর বিধিনিষেধে রাজবাড়ীতে আটকা পড়েছিল বিভিন্ন জেলা থেকে আসা শতাধিক দিনমজুর।আটকা পড়া শ্রমজীবী মানুষ থাকা ও খাবার সংকটে পড়লে তাদের পাশে দাঁড়ায় ‘মানবিক সাংবাদিক’ হিসেবে পরিচিত খন্দকার রবিউল ইসলামের সেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘মানবিক রাজবাড়ী ফাউন্ডেশন’।
‘মানবসেবায় অঙ্গীকারবদ্ধ’ স্লোগান সামনে রেখে সাংবাদিক খন্দকার রবিউল ইসলামের উদ্যোগে গড়ে উঠে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন মানবিক রাজবাড়ী।একের পর এক অসহায় মানুষের জন্য কাজ করে আসছে সামাজিক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন মানবিক রাজবাড়ী ফাউন্ডেশন। ২০২০ সাল থেকে করোনার মধ্যে ভ্রাম্যমাণ দোকানে এক টাকায় খাবার বিক্রি করাসহ সমাজসেবামূলক বিভিন্ন কর্মকাণ্ড করে সংগঠনটি বেশ সারা ফেলে রাজবাড়ীতে। এছাড়াও রেল স্টেশন এলাকার ছিন্নমূল মানুষদের বসিয়ে এক টাকায় পেট ভরে খাবার খাওয়ানোর ব্যবস্থা করে ছিল ‘মানবিক রাজবাড়ী’।
সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাতা সাংবাদিক খন্দকার রবিউল ইসলাম জানান, ক্ষুধার্তকে এক বেলা খাওয়ানোর আনন্দ থেকে মানবিক রাজবাড়ীর যাত্রা শুরু। আর্থিক অসংগতি থাকা মানুষের জন্য এক বেলা খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছিল।তিনি আরও জানান, আসলে প্রথম দিকে আমরা ফ্রিতে খাবার দিতাম, এতে অনেক মানুষ তাদের প্রতি একটু ভিন্ন চোখে তাকা তো, তারাও লজ্জাবোধ করত। পরে আমরা সবার সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে, ফ্রিতে খাবার না দিয়ে এক টাকা করে নিব। এতে করে মানুষকে আর লজ্জায় পড়তে হবে না।যে কারনেই এবারও টোকেন মানি নাম মাত্র ২টাকায় ইফতার দেওয়া সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।এ কার্যক্রমে আমাদের পাশে এসে কেউ দাঁড়াতে চাইলে আমরা তাকে স্বাগত জানাবো।
এসময় সংগঠনের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

বিএনপির নেতাদের স্ত্রীরা ভারতীয় শাড়ি কেনেন না- রিজভী

রমজানে অসহায় মানুষের পাশে:মানবিক রাজবাড়ী ফাউন্ডেশন 

প্রকাশের সময় : ০৩:০৭:৩৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ মার্চ ২০২৩
 রাজবাড়ীতে  ২টাকার বিনিময়ে দরিদ্র ও অসহায় মানুষের হাতে ইফতার সামগ্রি তুলে দিচ্ছেন মানবিক রাজবাড়ী ফাউন্ডেশন।
সোমবার ২৭ মার্চ রাজবাড়ী রেল স্টেশন বট তলায় নামমাত্র মূল্যে ইফতার নিতে বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ আসেন। পুরো রমজান জুড়ে এই ইফতার আয়োজন চলবে। বিষয়টি নিয়ে রাজবাড়ীবাসীর মধ্যে ব্যাপক আগ্রহ সৃষ্টি হয়েছে।
সাদা রঙের ওয়ানটাইম ফুড বক্সে দেওয়া এই ইফতার পেয়ে খুবই খুশি নিম্ন আয়ের মানুষ। দরিদ্র ও ছিন্নমূল মানুষের পাশাপাশি মধ্যবিত্ত পরিবারের লোকজনও এই ইফতার নিয়েছেন। গত বছর রমজানে সারা মাস সুবিধাবঞ্চিত মানুষের হাতে ১টাকায় ইফতার তুলে দিয়েছে  সংগঠনটি। এরই ধারাবাহিকতায় এবারও রমজানের ২য় দিন থেকেই এ কার্যক্রম শুরু করে মানবিক রাজবাড়ী ফাউন্ডেশন।
২০২০ সালে করোনাভাইরাস মহামারিতে দেশজুড়ে সরকারঘোষিত কঠোর বিধিনিষেধে রাজবাড়ীতে আটকা পড়েছিল বিভিন্ন জেলা থেকে আসা শতাধিক দিনমজুর।আটকা পড়া শ্রমজীবী মানুষ থাকা ও খাবার সংকটে পড়লে তাদের পাশে দাঁড়ায় ‘মানবিক সাংবাদিক’ হিসেবে পরিচিত খন্দকার রবিউল ইসলামের সেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘মানবিক রাজবাড়ী ফাউন্ডেশন’।
‘মানবসেবায় অঙ্গীকারবদ্ধ’ স্লোগান সামনে রেখে সাংবাদিক খন্দকার রবিউল ইসলামের উদ্যোগে গড়ে উঠে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন মানবিক রাজবাড়ী।একের পর এক অসহায় মানুষের জন্য কাজ করে আসছে সামাজিক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন মানবিক রাজবাড়ী ফাউন্ডেশন। ২০২০ সাল থেকে করোনার মধ্যে ভ্রাম্যমাণ দোকানে এক টাকায় খাবার বিক্রি করাসহ সমাজসেবামূলক বিভিন্ন কর্মকাণ্ড করে সংগঠনটি বেশ সারা ফেলে রাজবাড়ীতে। এছাড়াও রেল স্টেশন এলাকার ছিন্নমূল মানুষদের বসিয়ে এক টাকায় পেট ভরে খাবার খাওয়ানোর ব্যবস্থা করে ছিল ‘মানবিক রাজবাড়ী’।
সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাতা সাংবাদিক খন্দকার রবিউল ইসলাম জানান, ক্ষুধার্তকে এক বেলা খাওয়ানোর আনন্দ থেকে মানবিক রাজবাড়ীর যাত্রা শুরু। আর্থিক অসংগতি থাকা মানুষের জন্য এক বেলা খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছিল।তিনি আরও জানান, আসলে প্রথম দিকে আমরা ফ্রিতে খাবার দিতাম, এতে অনেক মানুষ তাদের প্রতি একটু ভিন্ন চোখে তাকা তো, তারাও লজ্জাবোধ করত। পরে আমরা সবার সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে, ফ্রিতে খাবার না দিয়ে এক টাকা করে নিব। এতে করে মানুষকে আর লজ্জায় পড়তে হবে না।যে কারনেই এবারও টোকেন মানি নাম মাত্র ২টাকায় ইফতার দেওয়া সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।এ কার্যক্রমে আমাদের পাশে এসে কেউ দাঁড়াতে চাইলে আমরা তাকে স্বাগত জানাবো।
এসময় সংগঠনের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।