বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

বরেণ্য নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর ৫০তম জন্মদিন

বরেণ্য নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর ৫০তম জন্মদিন আজ। জন্মদিনের প্রথম প্রহরে পরিবার-পরিজন নিয়ে কেক কাটলেন ফারুকী। সে আনন্দ মুহূর্তের ছবি তিনি প্রকাশ করেছেন তার ভক্তদের সঙ্গে। সঙ্গে লিখেছেন তার মনের কথাগুলোও।

এক ফেসবুক পোস্টে ফারুকী লিখেছেন, ‘সারাজীবন আমি বয়স গুনি নাই, গুনছি ব্লেসিংস! আজকে আমার ৫০তম জন্মদিনে এসে তাই পেছন ফিরে নিজেকে একজন কৃতজ্ঞ মানুষই মনে হচ্ছে। সৃষ্টিকর্তার কাছে কৃতজ্ঞ পৃথিবী নামের এই গ্রহে এক চমৎকার জার্নির জন্য আমাকে নির্বাচিত করার জন্য। আমার জার্নিটা অন্য আরো কোটি রকম হতে পারতো! হতে পারতাম কীর্তনখোলা নদীর পারের এক উদাসী রাখাল। কিংবা যাত্রা প্যান্ডেলের টিকিট চেকার। অথবা কোনো এক নির্জন স্কটিশ গ্রামের পাইপার। এর কোনোটাই ভালো বা খারাপ বলছি না। বলছি এই যে বাংলাদেশের একজন গল্পকথক হইছি, হয়ে আমার সময়টাকে গল্পে ধরার চেষ্টা করছি, করতে গিয়ে কতো মানুষের ভালোবাসা পাইছি, কতো মানুষের সাথে কতো ব্রিজ তৈরি করছি, এইসবই একেকটা ব্লেসিংস।’

পরিবার ও অতীতের প্রসঙ্গ টেনে তিনি লিখেন, ‘তিশার মতো একজন সঙ্গী পাইছি এই জার্নিতে, ইলহামের মতো একটা বেহেশতের টুকরা পাইছি। আমি তার কোনো নিয়ামতকে অস্বীকার করবো? আজকে পিছনে ফিরে ভাবি, আমি যখন ছবি বানাতে শুরু করি, তখন যেসব রাস্তায় আমি হাঁটা ধরছিলাম, আমি তো পথ হারায়ে ঝরে যেতে পারতাম আরো এক স্বপ্নবান তরুণ হিসেবে। কতো ঝড় গেছিলো, ভাষার ঝড়, অভিনয়ের ঝড়, এমনকি বিষয়ের ঝড়ও। আজকের সময়ে বসে হয়তো বোঝা যাবেনা একসময় ন্যাচারাল অভিনয় করাতে চাওয়াটা কতো “আনন্যাচারাল” ছিল, স্বাভাবিক সংলাপ লেখাটাও কত বড় অপরাধ ছিল! আজকের বাংলাদেশী ভিজুয়াল ল্যান্ডস্কেপের দিকে তাকালে সেইসব দিন অবিশ্বাস্যই মনে হয়।’

আগামীর ভাবনা নিয়ে ফারুকীর ভাষ্য, ‘হয়তো করা যেতো আরো অনেক কিছুই, আরো অনেক বেটার কিছু, কিন্তু আজকের এই দিনে এসে অপ্রাপ্তির দিকে তাকাইতে চাই না। কারণ যখনই গুনতে বসবেন, জীবনে প্রাপ্তির চেয়ে অপ্রাপ্তি বেশিই হবে। গুনতে চাই তাই ব্লেসিংস! জীবনের দুই-তৃতীয়াংশ পার করে দিয়েছি! ট্রেন যতদূর যাবে, চাইবো সেটা যেন মিনিংফুল জার্নি হয় আরো। নতুন নতুন গল্পে দেখতে চাইবো সময়টাকে! আর হ্যাঁ, এমনও হইতে পারে, ছবি বানানোর পাশাপাশি দেখতে পারেন নতুন কোনো ভূমিকায়ও। কারণ জীবন শুরু হতে পারে ফিফটিতেও।’

সবশেষে এই নির্মাতা লিখেছেন, ‘সবাই ভালো থাকবেন। ভালোবাসবেন সবাইকে। গভীরে নামলে দেখবেন, মানুষে মানুষে ঘৃণার আসলে কোনো গভীর কারণই নাই। আমাদের এইসব পার্থক্য সব ওপরের, সকলই কসমেটিক।’

বরেণ্য নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর ৫০তম জন্মদিন

প্রকাশের সময় : ০৫:০৮:১৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ মে ২০২৩

বরেণ্য নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর ৫০তম জন্মদিন আজ। জন্মদিনের প্রথম প্রহরে পরিবার-পরিজন নিয়ে কেক কাটলেন ফারুকী। সে আনন্দ মুহূর্তের ছবি তিনি প্রকাশ করেছেন তার ভক্তদের সঙ্গে। সঙ্গে লিখেছেন তার মনের কথাগুলোও।

এক ফেসবুক পোস্টে ফারুকী লিখেছেন, ‘সারাজীবন আমি বয়স গুনি নাই, গুনছি ব্লেসিংস! আজকে আমার ৫০তম জন্মদিনে এসে তাই পেছন ফিরে নিজেকে একজন কৃতজ্ঞ মানুষই মনে হচ্ছে। সৃষ্টিকর্তার কাছে কৃতজ্ঞ পৃথিবী নামের এই গ্রহে এক চমৎকার জার্নির জন্য আমাকে নির্বাচিত করার জন্য। আমার জার্নিটা অন্য আরো কোটি রকম হতে পারতো! হতে পারতাম কীর্তনখোলা নদীর পারের এক উদাসী রাখাল। কিংবা যাত্রা প্যান্ডেলের টিকিট চেকার। অথবা কোনো এক নির্জন স্কটিশ গ্রামের পাইপার। এর কোনোটাই ভালো বা খারাপ বলছি না। বলছি এই যে বাংলাদেশের একজন গল্পকথক হইছি, হয়ে আমার সময়টাকে গল্পে ধরার চেষ্টা করছি, করতে গিয়ে কতো মানুষের ভালোবাসা পাইছি, কতো মানুষের সাথে কতো ব্রিজ তৈরি করছি, এইসবই একেকটা ব্লেসিংস।’

পরিবার ও অতীতের প্রসঙ্গ টেনে তিনি লিখেন, ‘তিশার মতো একজন সঙ্গী পাইছি এই জার্নিতে, ইলহামের মতো একটা বেহেশতের টুকরা পাইছি। আমি তার কোনো নিয়ামতকে অস্বীকার করবো? আজকে পিছনে ফিরে ভাবি, আমি যখন ছবি বানাতে শুরু করি, তখন যেসব রাস্তায় আমি হাঁটা ধরছিলাম, আমি তো পথ হারায়ে ঝরে যেতে পারতাম আরো এক স্বপ্নবান তরুণ হিসেবে। কতো ঝড় গেছিলো, ভাষার ঝড়, অভিনয়ের ঝড়, এমনকি বিষয়ের ঝড়ও। আজকের সময়ে বসে হয়তো বোঝা যাবেনা একসময় ন্যাচারাল অভিনয় করাতে চাওয়াটা কতো “আনন্যাচারাল” ছিল, স্বাভাবিক সংলাপ লেখাটাও কত বড় অপরাধ ছিল! আজকের বাংলাদেশী ভিজুয়াল ল্যান্ডস্কেপের দিকে তাকালে সেইসব দিন অবিশ্বাস্যই মনে হয়।’

আগামীর ভাবনা নিয়ে ফারুকীর ভাষ্য, ‘হয়তো করা যেতো আরো অনেক কিছুই, আরো অনেক বেটার কিছু, কিন্তু আজকের এই দিনে এসে অপ্রাপ্তির দিকে তাকাইতে চাই না। কারণ যখনই গুনতে বসবেন, জীবনে প্রাপ্তির চেয়ে অপ্রাপ্তি বেশিই হবে। গুনতে চাই তাই ব্লেসিংস! জীবনের দুই-তৃতীয়াংশ পার করে দিয়েছি! ট্রেন যতদূর যাবে, চাইবো সেটা যেন মিনিংফুল জার্নি হয় আরো। নতুন নতুন গল্পে দেখতে চাইবো সময়টাকে! আর হ্যাঁ, এমনও হইতে পারে, ছবি বানানোর পাশাপাশি দেখতে পারেন নতুন কোনো ভূমিকায়ও। কারণ জীবন শুরু হতে পারে ফিফটিতেও।’

সবশেষে এই নির্মাতা লিখেছেন, ‘সবাই ভালো থাকবেন। ভালোবাসবেন সবাইকে। গভীরে নামলে দেখবেন, মানুষে মানুষে ঘৃণার আসলে কোনো গভীর কারণই নাই। আমাদের এইসব পার্থক্য সব ওপরের, সকলই কসমেটিক।’