বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

বাংলাদেশের জন্য দোয়া করবেন হজ পালনকালে : শেখ হাসিনা

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হজযাত্রীদের অনুরোধ করেছেন হজ পালনকালে আপনারা বাংলাদেশের জন্য দোয়া করবেন। হজ পালনকালে বাংলাদেশে যাতে উন্নয়নটা আমরা করতে পারি সেই দোয়া করবেন।
শুক্রবার (১৯ মে) রাজধানীর আশকোনা হজ ক্যাম্পে ১৪৪৪ হিজরি/২০২৩ সনের ‘হজ কার্যক্রম-২০২৩’ উদ্বোধন ও হজযাত্রীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে তিনি এ অনুরোধ করেন।
তিনি বলেন, উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির পথে বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা যেন অব্যাহত থাকে, বাংলাদেশের মানুষকে যেন আর দুঃখ, কষ্ট ভোগ করতে না হয় সেই দোয়াটা আপনারা আল্লাহর কাছে করবেন।
শেখ হাসিনা বলেন, দুর্যোগ-দুর্বিপাক অথবা প্রাকৃতিক দুযোর্গ, সেই সঙ্গে আমাদের দেশে আবার মনুষ্য সৃষ্ট দুযোর্গও হয়, অগ্নিসন্ত্রাস হয়, বাসের মধ্যে আগুন দিয়ে মানুষ মারে, গাড়িতে আগুন দিয়ে মানুষ মারে এ ধরনের মনুষ্য সৃষ্ট দুর্যোগ বা প্রাকৃতিক দুর্যোগ, কোনো দুর্যোগ যেন বাংলাদেশকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে না পারে আপনারা সেই দোয়াটা করবেন। আপনাদের কাছে দেশের মানুষের জন্য দোয়া চাই।
টানা তিনবারের প্রধানমন্ত্রী বলেন, দিনরাত অক্লান্ত পরিশ্রম করে আজকে অন্তত বাংলাদেশের মানুষ দুবেলা দুমুঠো খেতে পারছে সেই ব্যবস্থা করতে পেরেছি। বাংলাদেশের একটি মানুষও গৃহহীন থাকবে না, ভূমিহীন থাকবে না। জাতির পিতার সেই স্বপ্ন বাস্তবায়ন করে দিচ্ছি।
হাজিদের সুস্থতা কামনা করে শেখ হাসিনা বলেন, আপনারা আল্লাহর মেহমান হিসেবে আল্লাহর ঘরে যাবেন। মক্কা-মদিনা শরিফে যাবেন। আপনারা যেন নিরাপদে, সুস্থ-সুন্দরভাবে হজব্রত পালন করতে পারেন, সুস্থভাবে দেশে আপনজনের কাছে ফিরে আসতে পারেন আমরা সেই দোয়া করি।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, স্বাধীনতার পরপরই বঙ্গবন্ধু সৌদির বাদশাহর কাছে অনুরোধ করেছিলেন যাতে আমাদের দেশের মানুষ হজে যেতে পারেন। সৌদির বাদশাহও সেই ব্যবস্থা করে দিয়েছিলেন। অল্প খরচে হজে পাঠানোর ব্যবস্থা বঙ্গবন্ধু করে দিয়েছিলেন।
তিনি বলেন, বাবা সরকারে এসেই হজ ব্যবস্থা যেন সুষ্ঠুভাবে হয় তার ব্যবস্থা নেন। তখন যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ। একটা টাকা রিজার্ভ মানি নেই। কারেন্সি নোট নেই। গোলায় খাবার নেই। এর মাঝে মানুষ যাতে অল্প খরচে হজ করতে যেতে পারেন সেই ব্যবস্থা তিনি নিয়েছিলেন। হিজবুল বাহার নামে একটি জাহাজ ক্রয় করে হজের ব্যবস্থা করেছিলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ই-হজ ব্যবস্থাপনার কারণে হজযাত্রা অনেক সহজ হয়েছে। এবছর শতভাগ হজযাত্রী সৌদি আরবের ইমিগ্রেশন ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সম্পন্ন করতে পারবেন।
ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খানের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- বেসরকারী বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী, সংসদ সদস্য হাবিব হাছান, ধর্ম বিষয়ক সচিক কাজী এনামুল হাসান এনডিসি, ঢাকায় নিযুক্ত সৌদি রাষ্ট্রদূত ঈসা বিন ইউসুফ আল দুহাইলান, হজ এজেন্সিস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (হাব) সভাপতি এম শাহাদাত হোসাইন তসলিম প্রমুখ।

বাংলাদেশের জন্য দোয়া করবেন হজ পালনকালে : শেখ হাসিনা

প্রকাশের সময় : ০৪:১১:৪৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ মে ২০২৩

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হজযাত্রীদের অনুরোধ করেছেন হজ পালনকালে আপনারা বাংলাদেশের জন্য দোয়া করবেন। হজ পালনকালে বাংলাদেশে যাতে উন্নয়নটা আমরা করতে পারি সেই দোয়া করবেন।
শুক্রবার (১৯ মে) রাজধানীর আশকোনা হজ ক্যাম্পে ১৪৪৪ হিজরি/২০২৩ সনের ‘হজ কার্যক্রম-২০২৩’ উদ্বোধন ও হজযাত্রীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে তিনি এ অনুরোধ করেন।
তিনি বলেন, উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির পথে বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা যেন অব্যাহত থাকে, বাংলাদেশের মানুষকে যেন আর দুঃখ, কষ্ট ভোগ করতে না হয় সেই দোয়াটা আপনারা আল্লাহর কাছে করবেন।
শেখ হাসিনা বলেন, দুর্যোগ-দুর্বিপাক অথবা প্রাকৃতিক দুযোর্গ, সেই সঙ্গে আমাদের দেশে আবার মনুষ্য সৃষ্ট দুযোর্গও হয়, অগ্নিসন্ত্রাস হয়, বাসের মধ্যে আগুন দিয়ে মানুষ মারে, গাড়িতে আগুন দিয়ে মানুষ মারে এ ধরনের মনুষ্য সৃষ্ট দুর্যোগ বা প্রাকৃতিক দুর্যোগ, কোনো দুর্যোগ যেন বাংলাদেশকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে না পারে আপনারা সেই দোয়াটা করবেন। আপনাদের কাছে দেশের মানুষের জন্য দোয়া চাই।
টানা তিনবারের প্রধানমন্ত্রী বলেন, দিনরাত অক্লান্ত পরিশ্রম করে আজকে অন্তত বাংলাদেশের মানুষ দুবেলা দুমুঠো খেতে পারছে সেই ব্যবস্থা করতে পেরেছি। বাংলাদেশের একটি মানুষও গৃহহীন থাকবে না, ভূমিহীন থাকবে না। জাতির পিতার সেই স্বপ্ন বাস্তবায়ন করে দিচ্ছি।
হাজিদের সুস্থতা কামনা করে শেখ হাসিনা বলেন, আপনারা আল্লাহর মেহমান হিসেবে আল্লাহর ঘরে যাবেন। মক্কা-মদিনা শরিফে যাবেন। আপনারা যেন নিরাপদে, সুস্থ-সুন্দরভাবে হজব্রত পালন করতে পারেন, সুস্থভাবে দেশে আপনজনের কাছে ফিরে আসতে পারেন আমরা সেই দোয়া করি।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, স্বাধীনতার পরপরই বঙ্গবন্ধু সৌদির বাদশাহর কাছে অনুরোধ করেছিলেন যাতে আমাদের দেশের মানুষ হজে যেতে পারেন। সৌদির বাদশাহও সেই ব্যবস্থা করে দিয়েছিলেন। অল্প খরচে হজে পাঠানোর ব্যবস্থা বঙ্গবন্ধু করে দিয়েছিলেন।
তিনি বলেন, বাবা সরকারে এসেই হজ ব্যবস্থা যেন সুষ্ঠুভাবে হয় তার ব্যবস্থা নেন। তখন যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ। একটা টাকা রিজার্ভ মানি নেই। কারেন্সি নোট নেই। গোলায় খাবার নেই। এর মাঝে মানুষ যাতে অল্প খরচে হজ করতে যেতে পারেন সেই ব্যবস্থা তিনি নিয়েছিলেন। হিজবুল বাহার নামে একটি জাহাজ ক্রয় করে হজের ব্যবস্থা করেছিলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ই-হজ ব্যবস্থাপনার কারণে হজযাত্রা অনেক সহজ হয়েছে। এবছর শতভাগ হজযাত্রী সৌদি আরবের ইমিগ্রেশন ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সম্পন্ন করতে পারবেন।
ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খানের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- বেসরকারী বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী, সংসদ সদস্য হাবিব হাছান, ধর্ম বিষয়ক সচিক কাজী এনামুল হাসান এনডিসি, ঢাকায় নিযুক্ত সৌদি রাষ্ট্রদূত ঈসা বিন ইউসুফ আল দুহাইলান, হজ এজেন্সিস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (হাব) সভাপতি এম শাহাদাত হোসাইন তসলিম প্রমুখ।