শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

ইনক্রিমেন্টের ঘোষণা আসছে সরকারি কর্মজীবীদের জন্য

আগামী বাজেটে সরকারি কর্মজীবীদের জন্য মহার্ঘ ভাতার আদলে ইনক্রিমেন্টের ঘোষণা আসতে পারে। এর পরিমাণ হতে পারে মূল বেতনের ১০ থেকে ২০ শতাংশ। এছাড়া বাজেট ঘোষণার পর নবম বেতন স্কেলের ঘোষণা আসতে পারে।

প্রধানমন্ত্রীর দফতর ও অর্থ বিভাগ সূত্রে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।

সরকারি কর্মজীবীরা বলছেন, ২০১৫ সালে অষ্টম জাতীয় বেতন স্কেল কার্যকর হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত মুদ্রাস্ফীতি হয়েছে প্রায় ৪০ শতাংশ। অথচ প্রতিবছর বার্ষিক একটি ইনক্রিমেন্ট হিসেবে বেতন বেড়েছে সামান্যই।

তারা বলছেন, সরকারকে ২০১৮ সালের সুপারিশ অনুযায়ী বর্তমানে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, জীবনযাত্রার ব্যয় বৃদ্ধি ও মুদ্রাস্ফীতিসহ সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে আপাতত তিনটি ‘বিশেষ ইনক্রিমেন্ট’ ও ‘নবম পে-কমিশন’ গঠনের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সবাইকে নির্দেশনা দিতে হবে। কারণ বর্তমান বেতন স্কেলে টাইম স্কেল ও সিলেকশন গ্রেড বাতিল করায় নিম্ন বেতনভুক্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সংসার চালানো কঠিন হয়ে পড়েছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্প্রতি এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, সরকার প্রতিবছর হিসেবমতো মূল্যস্ফীতি যত হয় তার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বেতন বাড়ায়।

তিনি বলেছেন, তাছাড়া সরকারি কর্মজীবীদের জন্য অনেক সুযোগ-সুবিধা দিয়েছি। যেমন বৈশাখী ভাতাসহ নানা ধরনের ভাতা।

তিনি বলেছেন, আমাদের দেশে মূল্যস্ফীতি বেড়ে গেছে। সেখানে যাদের ক্রয়ক্ষমতা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে এবং যাদের একটু কষ্ট হচ্ছে সেটা হিসাব করা হবে। একটা সময়ের জন্য মূল্যস্ফীতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে সরকারি কর্মজীবীদের জন্য একটা পারসেন্ট হিসেবে আর্থিক সুবিধা দেবো। সেটা আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

তিনি বলেছেন, বেসরকারি খাত সম্পর্কে আমরা কিছু বলতে পারব না। বেসরকারি খাত যাতে বেতন ও আর্থিক সুবিধা দেয় সেজন্য আমরা অনেক ধরনের আর্থিক সুবিধা- ঋণ, কর ছাড় এবং ঋণের রিসিডিউল করেছি।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এবারের বাজেট আওয়ামী লীগ সরকারের টানা তৃতীয় মেয়াদের শেষ বাজেট। তাই একে নির্বাচনী বাজেট বলা যায়। সাত বছর পর এবারের বাজেটে সরকারি কর্মজীবীদের জন্য নতুন কিছু সুযোগ-সুবিধা দেয়ার বিষয়ে সব মহলে আলোচনা হচ্ছে। তবে নতুন বেতন স্কেল নয়, মহার্ঘ ভাতার বিষয়টি নিয়ে চলছে এই আলোচনা।

অনেকের ধারণা, নির্বাচনী বছরে সরকারি কর্মচারীদের জন্য হয়তো কোনো সুখবর আসবে। সরকারপ্রধান হয়তো আলাদাভাবে সেটি ঘোষণা করবেন। সূত্র বলছে, বর্তমান সরকারি কর্মজীবীদের সংখ্যা প্রায় ২৪ লাখ। ঘোষণা যেদিনই হোক, আগামী ১ জুলাই থেকে তাদের মহার্ঘ ভাতার আদলে ইনক্রিমেন্ট কার্যকর করা হবে।

সাবেক সিনিয়র অর্থ সচিব মাহবুব আহমেদ বলেন, সরকার আগামী অর্থবছরও কৃচ্ছ্রসাধন কার্ষক্রম চলমান রাখতে চায়। এজন্য অর্থ বিভাগ আগামী বছর মহার্ঘ ভাতা দেয়া থেকে সরে এসে বেতনের সঙ্গে ইনক্রিমেন্ট দিতে চাইছে। সরকারি কর্মজীবীদের ইনক্রিমেন্ট দিলে সরকারের খরচ কম হবে। সাধারণত ইনক্রিমেন্টের সঙ্গে দেশের মূল্যস্ফীতি যোগ করে সরকারি কর্মজীবীদের বেতনের এ অতিরিক্ত অর্থ দেয়া হয়ে থাকে।

ইনক্রিমেন্টের ঘোষণা আসছে সরকারি কর্মজীবীদের জন্য

প্রকাশের সময় : ০৯:৫১:৪২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২১ মে ২০২৩

আগামী বাজেটে সরকারি কর্মজীবীদের জন্য মহার্ঘ ভাতার আদলে ইনক্রিমেন্টের ঘোষণা আসতে পারে। এর পরিমাণ হতে পারে মূল বেতনের ১০ থেকে ২০ শতাংশ। এছাড়া বাজেট ঘোষণার পর নবম বেতন স্কেলের ঘোষণা আসতে পারে।

প্রধানমন্ত্রীর দফতর ও অর্থ বিভাগ সূত্রে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।

সরকারি কর্মজীবীরা বলছেন, ২০১৫ সালে অষ্টম জাতীয় বেতন স্কেল কার্যকর হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত মুদ্রাস্ফীতি হয়েছে প্রায় ৪০ শতাংশ। অথচ প্রতিবছর বার্ষিক একটি ইনক্রিমেন্ট হিসেবে বেতন বেড়েছে সামান্যই।

তারা বলছেন, সরকারকে ২০১৮ সালের সুপারিশ অনুযায়ী বর্তমানে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, জীবনযাত্রার ব্যয় বৃদ্ধি ও মুদ্রাস্ফীতিসহ সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে আপাতত তিনটি ‘বিশেষ ইনক্রিমেন্ট’ ও ‘নবম পে-কমিশন’ গঠনের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সবাইকে নির্দেশনা দিতে হবে। কারণ বর্তমান বেতন স্কেলে টাইম স্কেল ও সিলেকশন গ্রেড বাতিল করায় নিম্ন বেতনভুক্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সংসার চালানো কঠিন হয়ে পড়েছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্প্রতি এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, সরকার প্রতিবছর হিসেবমতো মূল্যস্ফীতি যত হয় তার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বেতন বাড়ায়।

তিনি বলেছেন, তাছাড়া সরকারি কর্মজীবীদের জন্য অনেক সুযোগ-সুবিধা দিয়েছি। যেমন বৈশাখী ভাতাসহ নানা ধরনের ভাতা।

তিনি বলেছেন, আমাদের দেশে মূল্যস্ফীতি বেড়ে গেছে। সেখানে যাদের ক্রয়ক্ষমতা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে এবং যাদের একটু কষ্ট হচ্ছে সেটা হিসাব করা হবে। একটা সময়ের জন্য মূল্যস্ফীতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে সরকারি কর্মজীবীদের জন্য একটা পারসেন্ট হিসেবে আর্থিক সুবিধা দেবো। সেটা আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

তিনি বলেছেন, বেসরকারি খাত সম্পর্কে আমরা কিছু বলতে পারব না। বেসরকারি খাত যাতে বেতন ও আর্থিক সুবিধা দেয় সেজন্য আমরা অনেক ধরনের আর্থিক সুবিধা- ঋণ, কর ছাড় এবং ঋণের রিসিডিউল করেছি।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এবারের বাজেট আওয়ামী লীগ সরকারের টানা তৃতীয় মেয়াদের শেষ বাজেট। তাই একে নির্বাচনী বাজেট বলা যায়। সাত বছর পর এবারের বাজেটে সরকারি কর্মজীবীদের জন্য নতুন কিছু সুযোগ-সুবিধা দেয়ার বিষয়ে সব মহলে আলোচনা হচ্ছে। তবে নতুন বেতন স্কেল নয়, মহার্ঘ ভাতার বিষয়টি নিয়ে চলছে এই আলোচনা।

অনেকের ধারণা, নির্বাচনী বছরে সরকারি কর্মচারীদের জন্য হয়তো কোনো সুখবর আসবে। সরকারপ্রধান হয়তো আলাদাভাবে সেটি ঘোষণা করবেন। সূত্র বলছে, বর্তমান সরকারি কর্মজীবীদের সংখ্যা প্রায় ২৪ লাখ। ঘোষণা যেদিনই হোক, আগামী ১ জুলাই থেকে তাদের মহার্ঘ ভাতার আদলে ইনক্রিমেন্ট কার্যকর করা হবে।

সাবেক সিনিয়র অর্থ সচিব মাহবুব আহমেদ বলেন, সরকার আগামী অর্থবছরও কৃচ্ছ্রসাধন কার্ষক্রম চলমান রাখতে চায়। এজন্য অর্থ বিভাগ আগামী বছর মহার্ঘ ভাতা দেয়া থেকে সরে এসে বেতনের সঙ্গে ইনক্রিমেন্ট দিতে চাইছে। সরকারি কর্মজীবীদের ইনক্রিমেন্ট দিলে সরকারের খরচ কম হবে। সাধারণত ইনক্রিমেন্টের সঙ্গে দেশের মূল্যস্ফীতি যোগ করে সরকারি কর্মজীবীদের বেতনের এ অতিরিক্ত অর্থ দেয়া হয়ে থাকে।