দেশের বিভিন্ন স্কুল-কলেজে কর্মরত ৬৭৮ জাল সনদধারী শিক্ষককে চাকরিচ্যুত করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। সেইসঙ্গে তাদের এমপিও বন্ধ করার এবং অবৈধভাবে এমপিও বাবদ ভোগ করা লাখ লাখ টাকা সরকারি কোষাগারে ফেরত নেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতরকে। এছাড়া জাল সনদধারী যেসব শিক্ষক অবসরে গেছেন তাদের অবসর সুবিধা বাতিল করতে বলেছে মন্ত্রণালয়। যারা স্বেচ্ছায় অবসরে গেছেন বা চাকরি ছেড়ে পালিয়েছেন তাদের টাকা অধ্যক্ষ ও প্রধান শিক্ষকের মাধ্যমে আদায় করতে বলা হয়েছে। আর জাল সনদধারীদের বিরুদ্ধে মামলা করতে হবে প্রতিষ্ঠান প্রধানদের। জাল সনদধারী শিক্ষক-কর্মচারী নিয়োগের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নিতে অধিদফতরকে বলেছে মন্ত্রণালয়।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ থেকে এসব নির্দেশনা দিয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতরে চিঠি পাঠানো হয়েছে। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন বিভাগের অভ্যন্তরীণ নিরীক্ষা শাখার সহকারী সচিব সেলিম শিকদার।
তিনি বলেন, পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদফতর থেকে যাচাই বাছাই করে ৬৭৮ জন শিক্ষক কর্মচারীর জাল সনদ শনাক্ত হয়েছে। গত ৮ ফেব্রুয়ারি সনদ দেয়া দফতরের প্রধান বা প্রতিনিধির সমন্বয়ে অভিযুক্ত শিক্ষক কর্মচারীদের সনদের সত্যতা যাচাই করে ৬৭৮ জনের তালিকা চূড়ান্ত করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালককে বলা হয়েছে।
মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের অভ্যন্তরীণ নিরীক্ষা শাখা থেকে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদকে পাঠানো চিঠিতে বলা হয়েছে, জাল সনদধারী শিক্ষক-কর্মচারীদের এমপিও বন্ধ ও বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে চাকরিচ্যুত করতে বলা হয়েছে। অবৈধভাবে গ্রহণকৃত বেতন ভাতা সরকারি কোষাগারে ফেরত দেয়ার ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। যারা অবসরে গেছেন তাদের অবসরের সুবিধা প্রাপ্তি বাতিল হবে। যারা স্বেচ্ছায় অবসর নিয়েছেন তাদের আপত্তির টাকা অধ্যক্ষ ও প্রধান শিক্ষকের মাধ্যমে আদায় করতে হবে।
মন্ত্রণালয় আরো বলছে, বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জাল সনদধারী শিক্ষক-কর্মচারীদের অবসর ভাতা ও কল্যাণ ট্রাস্টের ভাতা বন্ধের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য তালিকা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠাতে হবে। জাল সনদধারীদের বিরুদ্ধে প্রতিষ্ঠান প্রধান কর্তৃক মামলা দায়ের করতে হবে। জাল সনদধারীদের নিয়োগ কার্যক্রমের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধেও বিধিমোতাবেক ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।