শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

আওয়ামী লীগ দেশে সন্ত্রাস সৃষ্টি করছে–মির্জা ফখরুল

আওয়ামী লীগ দেশে সন্ত্রাস সৃষ্টি করছে বলে অভিযোগ করেছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। সোমবার (২২ মে) দুপুরে এক আলোচনা সভায় বিএনপি মহাসচিব এই অভিযোগ করেন। বনানীর গোল্ডেন টিউলিপ হোটেলের সভাকক্ষে অ্যাসোসিয়েশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স, বাংলাদেশ (অ্যাব) এর উদ্যোগে ‘দেশের জ্বালানি খাতে অমানিশা : লুটপাট আর অরাজগতার চালচিত্র’ শীর্ষক এই গোল টেবিল আলোচনা সভা হয়। এতে মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন সংগঠনটির মহাসচিব প্রকৌশলী হাছিন আহমেদ।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, আপনারা নিশ্চয়ই লক্ষ্য করেছেন গত কিছু দিন ধরে সরকারের মন্ত্রী-নেতারা বার বার করে একটা কথা বলছে, অগ্নিসন্ত্রাস হবে, আবার আগুন নিয়ে খেলবে বিএনপি। এটা কিন্তু অত্যন্ত পরিকল্পিত একটি বক্তব্য। এটা তারা (ক্ষমতাসীনরা) করবে সেজন্যই তারা এই কথাগুলো বলতে শুরু করেছে। কিছুটা সফলও হয়ে যাচ্ছে। আমি পত্রিকায় দেখছি যে, বিভিন্ন দূতাবাস থেকে অ্যালার্ট করা হচ্ছে তাদের নাগরিকদের যে, নির্বাচন ঘনিয়ে আসছে, এখন কনফনট্রেশন হতে পারে। সুতরাং তোমরা একটু সাবধানে থাকবে। কনফনট্রেশন সৃষ্টি করছে আওয়ামী লীগ, কনফনট্রেশনের ভয় দেখাচ্ছে আওয়ামী লীগ, হুমকি দিচ্ছে আওয়ামী লীগ এবং তারা সন্ত্রাস করছে।

মির্জা ফখরুল বলেন, রিসেন্টলি ঘটনাগুলো বলছি আমি- খুলনাতে যা করেছে, রাজবাড়ীতে যা করেছে, নেত্রকোনায় যা করেছে, পটুয়াখালীতে যা করেছে।  এর কারণটা হচ্ছে একটাই। যে তারা দেখে যে, এই প্রতিবাদকে বন্ধ করতে হলে সন্ত্রাসই একমাত্র পথ। এই সন্ত্রাস সৃষ্টি করে জনগণের যে দাবি সেই দাবিকে তারা দাবিয়ে দিতে চায়। এই অবস্থা থেকে উত্তরণ ঘটাতে হলে সরকারের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন ছাড়া বিকল্প নাই।

ন্যাড়া বার বার বেলতলা যায় না মন্তব্য করে মির্জা ফখরুল বলেন, গোটা বাংলাদেশকে লুট করে শেষ করে দিয়েছে। আরো পাঁচ বছর লুট করতে চায় এবং তারা ভোট চাইতে শুরু করে দিয়েছে। আর বলছে, নির্বাচন তো হবে, নির্বাচনে আসেন। আমাদের পরিস্কার কথা- ন্যাড়া বার বার বেল তলা যায় না। সুতরাং এবার বাংলাদেশের মানুষ এই ধরনের কোনো পাতানো নির্বাচন, দিনের ভোট রাতে করার নির্বাচনে দেশের মানুষ পা দেবে না। এই ফাঁদে মানুষ পা দেবে না।

তিনি বলেন, আমরা মারামারি করতে চাই না, আমাদের দাবি মেনে নেন, নির্দলীয় সরকারের দাবি মেনে নেন, শান্তিপূর্ণ ভাবে নির্বাচন হবে।  আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি মেনে নিতে হবে। তত্ত্বাধায়ক সরকার ছাড়া কোনো নির্বাচন হবে না।

রাজনীতিতে নাম লেখাতে যাচ্ছেন সানিয়া মির্জা

আওয়ামী লীগ দেশে সন্ত্রাস সৃষ্টি করছে–মির্জা ফখরুল

প্রকাশের সময় : ০৭:৫৯:৪৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২২ মে ২০২৩

আওয়ামী লীগ দেশে সন্ত্রাস সৃষ্টি করছে বলে অভিযোগ করেছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। সোমবার (২২ মে) দুপুরে এক আলোচনা সভায় বিএনপি মহাসচিব এই অভিযোগ করেন। বনানীর গোল্ডেন টিউলিপ হোটেলের সভাকক্ষে অ্যাসোসিয়েশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স, বাংলাদেশ (অ্যাব) এর উদ্যোগে ‘দেশের জ্বালানি খাতে অমানিশা : লুটপাট আর অরাজগতার চালচিত্র’ শীর্ষক এই গোল টেবিল আলোচনা সভা হয়। এতে মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন সংগঠনটির মহাসচিব প্রকৌশলী হাছিন আহমেদ।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, আপনারা নিশ্চয়ই লক্ষ্য করেছেন গত কিছু দিন ধরে সরকারের মন্ত্রী-নেতারা বার বার করে একটা কথা বলছে, অগ্নিসন্ত্রাস হবে, আবার আগুন নিয়ে খেলবে বিএনপি। এটা কিন্তু অত্যন্ত পরিকল্পিত একটি বক্তব্য। এটা তারা (ক্ষমতাসীনরা) করবে সেজন্যই তারা এই কথাগুলো বলতে শুরু করেছে। কিছুটা সফলও হয়ে যাচ্ছে। আমি পত্রিকায় দেখছি যে, বিভিন্ন দূতাবাস থেকে অ্যালার্ট করা হচ্ছে তাদের নাগরিকদের যে, নির্বাচন ঘনিয়ে আসছে, এখন কনফনট্রেশন হতে পারে। সুতরাং তোমরা একটু সাবধানে থাকবে। কনফনট্রেশন সৃষ্টি করছে আওয়ামী লীগ, কনফনট্রেশনের ভয় দেখাচ্ছে আওয়ামী লীগ, হুমকি দিচ্ছে আওয়ামী লীগ এবং তারা সন্ত্রাস করছে।

মির্জা ফখরুল বলেন, রিসেন্টলি ঘটনাগুলো বলছি আমি- খুলনাতে যা করেছে, রাজবাড়ীতে যা করেছে, নেত্রকোনায় যা করেছে, পটুয়াখালীতে যা করেছে।  এর কারণটা হচ্ছে একটাই। যে তারা দেখে যে, এই প্রতিবাদকে বন্ধ করতে হলে সন্ত্রাসই একমাত্র পথ। এই সন্ত্রাস সৃষ্টি করে জনগণের যে দাবি সেই দাবিকে তারা দাবিয়ে দিতে চায়। এই অবস্থা থেকে উত্তরণ ঘটাতে হলে সরকারের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন ছাড়া বিকল্প নাই।

ন্যাড়া বার বার বেলতলা যায় না মন্তব্য করে মির্জা ফখরুল বলেন, গোটা বাংলাদেশকে লুট করে শেষ করে দিয়েছে। আরো পাঁচ বছর লুট করতে চায় এবং তারা ভোট চাইতে শুরু করে দিয়েছে। আর বলছে, নির্বাচন তো হবে, নির্বাচনে আসেন। আমাদের পরিস্কার কথা- ন্যাড়া বার বার বেল তলা যায় না। সুতরাং এবার বাংলাদেশের মানুষ এই ধরনের কোনো পাতানো নির্বাচন, দিনের ভোট রাতে করার নির্বাচনে দেশের মানুষ পা দেবে না। এই ফাঁদে মানুষ পা দেবে না।

তিনি বলেন, আমরা মারামারি করতে চাই না, আমাদের দাবি মেনে নেন, নির্দলীয় সরকারের দাবি মেনে নেন, শান্তিপূর্ণ ভাবে নির্বাচন হবে।  আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি মেনে নিতে হবে। তত্ত্বাধায়ক সরকার ছাড়া কোনো নির্বাচন হবে না।