বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) মহাপরিচালক মেজর জেনারেল এ কে এম নাজমুল হাসান বলেছেন, ‘দেশের মধ্যে হিলি একটি গুরুত্বপূর্ণ সীমান্ত ও স্থলবন্দর। এই চেকপোস্ট দিয়ে পাসপোর্টের মাধ্যমে লোকজনেরা বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে যাতায়াত করে। আগের যেকোন সময়ের চেয়ে বর্তমানে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) মধ্যে সম্পর্ক অনেক ভালো। আমরা একে অপরে কাঁধে কাঁধ মিলে নিজ নিজ দেশের জন্য কাজ করছি। ফলে আমরা যেকোন সমস্যা সমাধান করতে পারি।’
আজ রোববার দুপুরে হিলি সীমান্তের জিরোপয়েন্টের ভারত অংশে বিএসএফের ঊর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে সীমান্ত সংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে মতবিনিময়ের সময় তিনি এ কথা বলেন। এর আগে বিজিবি মহাপরিচালক হিলি সীমান্ত ও স্থলবন্দর পরিদর্শন করেছেন। তিনি হিলি চেকপোস্টের জিরোপয়েন্টে গেলে বিএসএফের রায়গঞ্জ সেক্টরের ডিআইজি কুলওয়ান্ট রায় শার্মা তাকে ফুল ও ক্রেস্ট দিয়ে অভ্যর্থনা জানান। এ সময় বিজিবির পক্ষেও বিএসএফকে ক্রেস্টসহ উপহার দেওয়া হয়।
তিনি আরও বলেন, ‘আমি দায়িত্ব নেওয়ার পর হিলি সীমান্ত, ব্যাটালিয়ন ও বিওপি ভিজিট করেছি। বিজিবি কিভাবে দায়িত্ব পালন করছে তা দেখতে এখানে এসেছি। আগামীতে বিজিবি ও বিএসএফের মধ্যে হিলি চেকপোস্ট জিরোপয়েন্টে রিট্রিট সেরিমনি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে। তবে হিলি রেলস্টেশনে ট্রেন না থামানোর বিষয়ে আমাদের পক্ষে কোনো বাধা নেই।’
এ সময় বিজিবি সদর দপ্তরের ঊর্দ্ধতন কর্মকর্তা ছাড়াও বিজিবির উত্তর-পশ্চিম রিজিয়ন (রংপুর) কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ মোরশেদ আলম, বিজিবির দিনাজপুর সেক্টর কমান্ডার কর্ণেল রাশেদ আসগর ও জয়পুরহাট- ২০ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্ণেল মো. রফিকুল ইসলাম সঙ্গে ছিলেন।