শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ভুরুঙ্গামারীতে একই মজজিদে নামাজ আদায় করে ভারত- বাংলার মানুষ

কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী উপজেলায় বাংলাদেশ ও ভারত সীমান্তে জিরো পয়েন্ট ঘেঁসে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে অবস্তিত একটি মসজিদে যুগ যুগ ধরে নামায আদায় করে আসছে ভারত–বাংলার মানুষ।মসজিদটি কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী উপজেলার পাথরডুবি ইউনিয়নের বাঁশজানী সীমান্তে অবস্তিত।যা “ভারত -বাংলা মসজিদ” নামে পরিচিত।
বাংলাদেশ ও ভারত সীমানা আন্তর্জাতিক মেইন পিলার ৯৭৮-এর সাব পিলার ৯-এস এর পাশে মসজিদটির অবস্থান।মসজিদটির উত্তরে ভারতের পশ্চিম বঙ্গের কুচবিহার জেলার সাহেবগঞ্জ থানার ঝাকুয়াটারী গ্রাম,দক্ষিণে কুড়িগ্রাম জেলার ভূরুঙ্গামারী উপজেলার পাথরডুবি ইউনিয়নের বাঁশজানী গ্রাম।
জানা গেছে,দেশ ভাগের বহু বছর আগে মসজিদটি নির্মিত হয়েছে। ১৯৪৭ সালে ভারতীয় উপমহাদেশ বিভক্ত হলেও দুই দেশের মানুষকে আবদ্ধ করে রেখেছে মসজিদটি। আযান হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ছুটে আসে দুই দেশের মানুষ।কাঁধে কাধ মিলিয়ে নামায আদায় করে তারা। ভিন্ন দেশ ভিন্ন সংস্কৃতি হওয়া সত্বেও তারা একই সমাজের বাসিন্দা।দীর্ঘ ২০০ বছর ধরে এভাবেই ভ্রাতৃন্তের সাথে বাস করছে দুই গ্রামের মানুষ।
মসজিদটির ইমাম মোঃ আবু বক্কর সিদ্দিক বলেন,পাচঁ ওয়াক্ত নামায দুই দেশের মানুষ একসাথে আদায় করে।মসজিদে থাকা অবস্থায় ভুলে যাই যে আমরা দুই দেশের মানুষ।মিলাদ মাহফিল,ধর্মীয় অনুষ্ঠান সব একসাথে করি আমরা।
ঝাকুয়াটারী গ্রামের খয়বর আলী বলেন,মসজিদটি অনেক পুরনো।দুই দেশের মানুষের এমন বন্ধনের কথা শুনে অনেক দূর দূরান্ত থেকে লোকজন আসে দেখার জন্য,নামায আদায় করে। আমাদের খুব ভালো লাগে।
মসজিদটিতে নামায পড়তে আসা দর্শনার্থী হাফেজ নাজমুল হুদা ও ইউনুস আলী বলেন,মসজিদটিতে দুই দেশের মানুষের সাথে নামায আদায় করে খুব ভালো লাগলো।এই মসজিদ এবং দুই দেশের মানুষের মধ্যে এমন বন্ধন টিকে থাকুক।
ভূরুঙ্গামারী উপজেলার পাথরডুবি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুস সবুর বলেন,সীমান্তবর্তী দুই দেশের মানুষ একে অপরের আত্মীয়র মত।তারা শান্তিপূর্ণ ভাবে নামায আদায় করে।দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী কখনো বাধা দেয় না।

ভুরুঙ্গামারীতে একই মজজিদে নামাজ আদায় করে ভারত- বাংলার মানুষ

প্রকাশের সময় : ১১:৩৮:৩০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২ জুন ২০২৩
কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী উপজেলায় বাংলাদেশ ও ভারত সীমান্তে জিরো পয়েন্ট ঘেঁসে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে অবস্তিত একটি মসজিদে যুগ যুগ ধরে নামায আদায় করে আসছে ভারত–বাংলার মানুষ।মসজিদটি কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী উপজেলার পাথরডুবি ইউনিয়নের বাঁশজানী সীমান্তে অবস্তিত।যা “ভারত -বাংলা মসজিদ” নামে পরিচিত।
বাংলাদেশ ও ভারত সীমানা আন্তর্জাতিক মেইন পিলার ৯৭৮-এর সাব পিলার ৯-এস এর পাশে মসজিদটির অবস্থান।মসজিদটির উত্তরে ভারতের পশ্চিম বঙ্গের কুচবিহার জেলার সাহেবগঞ্জ থানার ঝাকুয়াটারী গ্রাম,দক্ষিণে কুড়িগ্রাম জেলার ভূরুঙ্গামারী উপজেলার পাথরডুবি ইউনিয়নের বাঁশজানী গ্রাম।
জানা গেছে,দেশ ভাগের বহু বছর আগে মসজিদটি নির্মিত হয়েছে। ১৯৪৭ সালে ভারতীয় উপমহাদেশ বিভক্ত হলেও দুই দেশের মানুষকে আবদ্ধ করে রেখেছে মসজিদটি। আযান হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ছুটে আসে দুই দেশের মানুষ।কাঁধে কাধ মিলিয়ে নামায আদায় করে তারা। ভিন্ন দেশ ভিন্ন সংস্কৃতি হওয়া সত্বেও তারা একই সমাজের বাসিন্দা।দীর্ঘ ২০০ বছর ধরে এভাবেই ভ্রাতৃন্তের সাথে বাস করছে দুই গ্রামের মানুষ।
মসজিদটির ইমাম মোঃ আবু বক্কর সিদ্দিক বলেন,পাচঁ ওয়াক্ত নামায দুই দেশের মানুষ একসাথে আদায় করে।মসজিদে থাকা অবস্থায় ভুলে যাই যে আমরা দুই দেশের মানুষ।মিলাদ মাহফিল,ধর্মীয় অনুষ্ঠান সব একসাথে করি আমরা।
ঝাকুয়াটারী গ্রামের খয়বর আলী বলেন,মসজিদটি অনেক পুরনো।দুই দেশের মানুষের এমন বন্ধনের কথা শুনে অনেক দূর দূরান্ত থেকে লোকজন আসে দেখার জন্য,নামায আদায় করে। আমাদের খুব ভালো লাগে।
মসজিদটিতে নামায পড়তে আসা দর্শনার্থী হাফেজ নাজমুল হুদা ও ইউনুস আলী বলেন,মসজিদটিতে দুই দেশের মানুষের সাথে নামায আদায় করে খুব ভালো লাগলো।এই মসজিদ এবং দুই দেশের মানুষের মধ্যে এমন বন্ধন টিকে থাকুক।
ভূরুঙ্গামারী উপজেলার পাথরডুবি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুস সবুর বলেন,সীমান্তবর্তী দুই দেশের মানুষ একে অপরের আত্মীয়র মত।তারা শান্তিপূর্ণ ভাবে নামায আদায় করে।দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী কখনো বাধা দেয় না।