শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সংলাপ নিয়ে ভাবছেও না আওয়ামী লীগ : ওবায়দুল কাদের

বিএনপির সঙ্গে সংলাপের সম্ভাবনা নাকচ করে দিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, সংলাপের কথায় বিএনপির জিহ্বায় পানি এসেছে। কিন্তু সংলাপ হবে না। আপাতত সংলাপ নিয়ে ভাবছেও না আওয়ামী লীগ।

বৃহস্পতিবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ঐতিহাসিক ছয় দফা দিবস উপলক্ষে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

দলের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আপাতত সংলাপের কথা আমরা ভাবছি না। সময় হলে ভাববো কি-না সেটাও পরে দেখা যাবে। গতবারের কথা আমাদের মনে আছে। একবার না, দুইবার বসেছি। রেজাল্ট কী? জগাখিচুড়ি।

আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও ১৪ দলের সমন্বয়ক-মুখপাত্র আমির হোসেন আমু গত মঙ্গলবার এক সমাবেশে বলেছিলেন, বিএনপির সঙ্গে মুখোমুখি বসে আলোচনা করে দেখতে চাই। প্রয়োজনে অতীতের মতো জাতিসংঘের প্রতিনিধি দলের মধ্যস্থতায়ও সেই আলোচনা হতে পারে।

আমুর এই বক্তব্যের প্রসঙ্গ টেনে ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, কথার ছলে আমির হোসেন আমু সংলাপের কথা বলেছেন। আর এই কথা নিয়েই বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুলসহ বিএনপি নেতাদের জিহ্বায় পানি এসেছে। হবে না, হবে না। কোনো সংলাপ হবে না।

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, ফখরুল সাহেব ভাবছেন, আমরা তাদের সংলাপে ডাকবো। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের জন্য নিরপেক্ষ লোক খুঁজে বের করুন, তারপর দেখা যাবে। এ তত্ত্বাবধায়ক মরে গেছে। মরা কিছুকে জীবিত করার চেষ্টা করবেন না।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, তারা (বিএনপি) নালিশ করে নিষেধাজ্ঞার পরিবর্তে কী পেয়েছে? ভিসানীতি। এতে আওয়ামী লীগের ভীত হওয়ার কিছু নেই। কে কাকে ভিসা দেবে, এটা তাদের ব্যাপার। আমরা আমাদের দেশে কাকে ভিসা দেবো, কাকে দেবো না, সেটা আমাদের ব্যাপার।

তিনি বলেন, যারা নির্বাচনে বিশৃঙ্খলা করবে, বাধা দেবে, তাদের বিরুদ্ধে ভিসানীতি আরোপ করা হবে। এখন (বিএনপির) নেতাদের গলা শুকিয়ে গেছে। বিদেশিরা চায় ফ্রি ফেয়ার নির্বাচন। বিএনপি চায় তত্ত্বাবধায়ক সরকার। কিন্তু তত্ত্বাবধায়ক সরকার পৃথিবীর কোন দেশে আছে?

বিএনপি একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ‘তিন জায়গা থেকে নমিনেশন বিক্রি করেছে’ উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, গতবারের মতো এবারও কি নমিনেশন বাণিজ্য করার জন্যই এত খেলা শুরু করেছে? আবারও কি সেদিন আসবে?

সেতুমন্ত্রী বলেন, বিএনপি গণতন্ত্র গিলে খেয়েছে। নির্বাচন ব্যবস্থা গিলে খেয়েছে। এরা মুক্তিযুদ্ধের মূল্যবোধ গিলে খেয়েছে। এদের হাতে দেশ নিরাপদ নয়। এরা যদি ক্ষমতা ফিরে পায়, বিএনপি নামের বিষধর সাপ গোটা দেশ গিলে খাবে।

নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আপনারা নিয়মের মধ্যে থাকুন, আমাদের শপথে থাকুন। আমাদের আবারও ৭ মার্চের শপথ নিতে হবে।

বিদ্যুৎ সংকট প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা জনগণকে বলেছি, আপনারা সময় দিন। ১০-১৫টা দিন সময় দিন। সব ঠিক হবে। বঙ্গবন্ধু কন্যার ওপর ভরসা রাখুন।

নতুন ভোটারদের উদ্দেশে তিনি বলেন, বাংলাদেশের তরুণ সমাজ, এবার তোমরা যারা প্রথমবার ভোট দেবে, তোমরা স্মার্ট বাংলাদেশের পক্ষে ভোটটা দেবে।

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফীর সভাপতিত্বে সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীর বিক্রম, অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির, সহ-সভাপতি নুরুল আলম রুহুল প্রমুখ। সমাবেশ পরিচালনা করেন মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক রিয়াজ উদ্দিন রিয়াজ।

সংলাপ নিয়ে ভাবছেও না আওয়ামী লীগ : ওবায়দুল কাদের

প্রকাশের সময় : ১২:৩২:৪২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৯ জুন ২০২৩

বিএনপির সঙ্গে সংলাপের সম্ভাবনা নাকচ করে দিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, সংলাপের কথায় বিএনপির জিহ্বায় পানি এসেছে। কিন্তু সংলাপ হবে না। আপাতত সংলাপ নিয়ে ভাবছেও না আওয়ামী লীগ।

বৃহস্পতিবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ঐতিহাসিক ছয় দফা দিবস উপলক্ষে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

দলের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আপাতত সংলাপের কথা আমরা ভাবছি না। সময় হলে ভাববো কি-না সেটাও পরে দেখা যাবে। গতবারের কথা আমাদের মনে আছে। একবার না, দুইবার বসেছি। রেজাল্ট কী? জগাখিচুড়ি।

আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও ১৪ দলের সমন্বয়ক-মুখপাত্র আমির হোসেন আমু গত মঙ্গলবার এক সমাবেশে বলেছিলেন, বিএনপির সঙ্গে মুখোমুখি বসে আলোচনা করে দেখতে চাই। প্রয়োজনে অতীতের মতো জাতিসংঘের প্রতিনিধি দলের মধ্যস্থতায়ও সেই আলোচনা হতে পারে।

আমুর এই বক্তব্যের প্রসঙ্গ টেনে ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, কথার ছলে আমির হোসেন আমু সংলাপের কথা বলেছেন। আর এই কথা নিয়েই বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুলসহ বিএনপি নেতাদের জিহ্বায় পানি এসেছে। হবে না, হবে না। কোনো সংলাপ হবে না।

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, ফখরুল সাহেব ভাবছেন, আমরা তাদের সংলাপে ডাকবো। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের জন্য নিরপেক্ষ লোক খুঁজে বের করুন, তারপর দেখা যাবে। এ তত্ত্বাবধায়ক মরে গেছে। মরা কিছুকে জীবিত করার চেষ্টা করবেন না।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, তারা (বিএনপি) নালিশ করে নিষেধাজ্ঞার পরিবর্তে কী পেয়েছে? ভিসানীতি। এতে আওয়ামী লীগের ভীত হওয়ার কিছু নেই। কে কাকে ভিসা দেবে, এটা তাদের ব্যাপার। আমরা আমাদের দেশে কাকে ভিসা দেবো, কাকে দেবো না, সেটা আমাদের ব্যাপার।

তিনি বলেন, যারা নির্বাচনে বিশৃঙ্খলা করবে, বাধা দেবে, তাদের বিরুদ্ধে ভিসানীতি আরোপ করা হবে। এখন (বিএনপির) নেতাদের গলা শুকিয়ে গেছে। বিদেশিরা চায় ফ্রি ফেয়ার নির্বাচন। বিএনপি চায় তত্ত্বাবধায়ক সরকার। কিন্তু তত্ত্বাবধায়ক সরকার পৃথিবীর কোন দেশে আছে?

বিএনপি একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ‘তিন জায়গা থেকে নমিনেশন বিক্রি করেছে’ উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, গতবারের মতো এবারও কি নমিনেশন বাণিজ্য করার জন্যই এত খেলা শুরু করেছে? আবারও কি সেদিন আসবে?

সেতুমন্ত্রী বলেন, বিএনপি গণতন্ত্র গিলে খেয়েছে। নির্বাচন ব্যবস্থা গিলে খেয়েছে। এরা মুক্তিযুদ্ধের মূল্যবোধ গিলে খেয়েছে। এদের হাতে দেশ নিরাপদ নয়। এরা যদি ক্ষমতা ফিরে পায়, বিএনপি নামের বিষধর সাপ গোটা দেশ গিলে খাবে।

নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আপনারা নিয়মের মধ্যে থাকুন, আমাদের শপথে থাকুন। আমাদের আবারও ৭ মার্চের শপথ নিতে হবে।

বিদ্যুৎ সংকট প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা জনগণকে বলেছি, আপনারা সময় দিন। ১০-১৫টা দিন সময় দিন। সব ঠিক হবে। বঙ্গবন্ধু কন্যার ওপর ভরসা রাখুন।

নতুন ভোটারদের উদ্দেশে তিনি বলেন, বাংলাদেশের তরুণ সমাজ, এবার তোমরা যারা প্রথমবার ভোট দেবে, তোমরা স্মার্ট বাংলাদেশের পক্ষে ভোটটা দেবে।

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফীর সভাপতিত্বে সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীর বিক্রম, অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির, সহ-সভাপতি নুরুল আলম রুহুল প্রমুখ। সমাবেশ পরিচালনা করেন মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক রিয়াজ উদ্দিন রিয়াজ।