প্রিন্ট এর তারিখঃ ডিসেম্বর ১৫, ২০২৫, ১১:২৬ এ.এম || প্রকাশের তারিখঃ অগাস্ট ২১, ২০২৩, ৮:৪১ এ.এম
সিরাজগঞ্জ বেলকুচিতে ইউপি চেয়ারম্যান আত্মসাত করলেন প্রকল্পের টাকা

সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে এক ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে বিকাশ নাম্বার পরিবর্তন করে কর্মসৃজন প্রকল্পের ২ লাখ ৩২ হাজার টাকা হাতিয়ে নেওয়া অভিযোগ উঠেছে। বেলকুচি উপজেলার ভাঙ্গাবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জহুরুল ইসলাম ভূইয়ার বিরুদ্ধে।,
ভুক্তভোগীরা জানান, বেলকুচি উপজেলার ভাঙ্গাবাড়ি ইউনিয়ের উত্তর বানিয়াগাঁতি গ্রামে চান মাতব্বরের বাড়ি হইতে মাসুদের বাড়ি পর্যন্ত ও ভাঙ্গাবাড়ি কবরস্থানে রাস্তা নির্মাণ এবং মাটি ভরাট প্রকল্প ৬০ জন শ্রমিক কাজ করেন। এই শ্রমিকদের মধ্যে ২০ জন শ্রমিকের ১ম কিস্তি টাকা দেওয়ার সময় যে বিকাশ এ্যাকাউন্ট নাম্বার ব্যবহার করা হয়েছে সেগুলো তাদের ২০টি বিকাশ এ্যাকাউন্ট ছিল। দ্বিতীয় কিস্তিতে যে বিকাশ এ্যাকাউন্ট ব্যবহার করা হয়েছে সেই বিকাশ এ্যাকাউন্ট ছিল তা ওই ২০জন শ্রমিকের না। ইউপি চেয়ারম্যান জহুরুল ইসলাম ও প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মজনু মিয়ার যোগসাজসে ২০ জন শ্রমিকের বিকাশ এ্যাকাউন্ট নাম্বার পরিবর্তন করে ২ লাখ ৩২ হাজার টাকার আত্মসাত করেছে।
ভাঙ্গাবাড়ি ইউনিয়নের ওই ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আব্দুর রাজ্জাক খান বলেন, ২০জন শ্রমিক ১ম কিস্তির টাকা প্রত্যেকের বিকাশ এ্যাকাউন্টে ১৬ হাজার টাকা পৌছেছে। কিন্তু দ্বিতীয় কিস্তির টাকা ১১ হাজার ৬’শ টাকা তাদের বিকাশ এ্যাকাউন্টে পৌছে নাই। অফিস গিয়ে খোজ নিয়ে দেখতে পাই এই ২০জন শ্রমিকের নাম পরিবর্তন না করে শুধুমাত্র বিকাশ এ্যাকাউন্ট নাম্বার পরিবর্তন করে চেয়ারম্যান জহুরুল ইসলামের আত্মীয় স্বজনের বিকাশ এ্যাকাউন্ট নাম্বার বসানো হয়েছে। তিনি আরও বলেন, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তাকে আমি বারবার তাগিদ দিলে তিনি আমাকে জানান, কর্মসৃজনের টাকা সকল শ্রমিকের বিকাশ এ্যাকাউন্টে চলে গেছে। আমার কিছুই করার নেই।
এবিষয়ে ভাঙ্গাবাড়ি ইউপি চেয়ারম্যান জহুরুল ইসলামকে বারবার ফোন দেওয়া হলে তিনি ফোন রিসিভ করেনি।,
এ বিষয়ে বেলকুচি উপজেলা সাবেক প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মজনু মিয়া বলেন, বিকাশ নাম্বার পরিবর্তনের এখতিয়ার ইউনিয়ন কমিটির। আমি বিকাশ নাম্বার পরিবর্তন করতে পারি না। হয়তো চেয়ারম্যান জহুরুল ইসলাম বিকাশ নাম্বার পরিবর্তন করে দিয়ে বিল সাবমিট করেছে।,
বেলকুচি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আফিয়া সুলতানা কেয়া বলেন, বিকাশ নাম্বার কিভাবে পরিবর্তন হল এটা পিআইও কর্মকর্তা ভাল বলতে পারবে। তার সাথে কথা বলেন।
সম্পাদক ও প্রকাশক: মহসিন মিলন
সম্পাদকীয় পরিষদ
সম্পাদক মন্ডলীর সভাপতি: নুরুজ্জামান লিটন, ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: রোকনুজ্জামান রিপন, নির্বাহী সম্পাদক: আব্দুল লতিফ, যুগ্ন নির্বাহী সম্পাদক: আলহাজ্ব মতিয়ার রহমান, সহকারী সম্পাদক: সাজ্জাদুল ইসলাম সৌরভ, মামুন বাবু, বার্তা সম্পাদক: নজরুল ইসলাম
সম্পাদকীয় কার্যালয়
বার্তা ও বানিজ্যক কার্যালয়: গাজীপুর আবাসিক এলাকা, বেনাপোল, যশোর। ইমেইল: mohsin.milon@gmail.com, bartakontho@gmail.com ফোন: ৭৫২৮৯, ৭৫৬৯৫ মোবা: ০১৭১১৮২০৩৯৪
All Rights Reserved © Barta Kontho