
ভারতের সিকিমে ভারী বৃষ্টিতে সৃষ্ট বন্যায় অন্তত ৩৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। নিখোঁজ রয়েছেন অন্তত ৭৮ জন। বন্যায় নিহতদের লাশ ভেসে আসছে বাংলাদেশেও। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সময় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে হতাহতের সংখ্যা বাড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
তিস্তার ভাটি এলাকা জলপাইগুড়ির গাজলডোবা, ময়নাগুড়ি ও কোতোয়ালিতে বেশিরভাগ মরদেহ পাওয়া গেছে। এছাড়া কোচবিহারের কুচলিবাড়ি ও হলদিবাড়ি, মিলনপল্লী ও শিলিগুড়িতে তিস্তা ব্যারেজ এলাকায়ও মরদেহ পাওয়া গেছে। কয়েকটি লাশ ভেসে এসেছে বাংলাদেশের গাইবান্ধাতেও।
আকস্মিক বন্যায় ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হওয়া সেনাবাহিনী অবশ্য এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো সদস্যের মৃত্যুর তথ্য স্বীকার করেনি।
গত মঙ্গলবার রাত থেকে ভারী বৃষ্টি শুরু হয় সিকিমে। ব্যাপক বর্ষণে উত্তর সিকিমের লোনাক হ্রদ উপচে পড়ে। এতে অতিরিক্ত পানি তিস্তা নদীতে চলে আসায় হঠাৎ পানির স্তর বেড়ে যায়। তিস্তা নদী সিকিম ও পশ্চিমবঙ্গের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে।
হঠাৎ বন্যার ঘটনায় সিকিম প্রশাসন সেখানকার বাসিন্দাদের জন্য উচ্চ সতর্কতা জারি করেছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে স্থানীয় বাসিন্দাদের শেয়ার করা ভিডিওতে দেখা যায়, পানিতে ভেসে গেছে সড়ক। নদীতে জলোচ্ছ্বাসের মতো অবস্থা।
ভারতের আবহাওয়া অফিস সবাইকে সতর্ক থাকার আহবান জানিয়ে বলেছে, গজলডোবা, দোমোহনী, মেখলিগঞ্জ এবং ঘিশের মতো নিচু এলাকাগুলো বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
উত্তরাঞ্চলের পাঁচ জেলায় বন্যার আশঙ্কা: সিকিমে ভারী বৃষ্টিতে তিস্তা নদীর চুংথাং বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় সবগুলো গেট খুলে দেয়া হয়েছে। এতে উজানে তিস্তা নদীর পানি দ্রুত বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ওপরে বইছে। পানি বিপৎসীমার ৫০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে। এমন পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলের পাঁচ জেলায় বন্যার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। নীলফামারী, লালমনিরহাট, রংপুর, কুড়িগ্রাম ও গাইবান্ধা জেলার সব কর্মকর্তা ও কর্মচারীর ছুটি বাতিল করেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)।
সম্পাদক ও প্রকাশক: মহসিন মিলন
সম্পাদকীয় পরিষদ
সম্পাদক মন্ডলীর সভাপতি: নুরুজ্জামান লিটন, ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: রোকনুজ্জামান রিপন, নির্বাহী সম্পাদক: আব্দুল লতিফ, যুগ্ন নির্বাহী সম্পাদক: আলহাজ্ব মতিয়ার রহমান, সহকারী সম্পাদক: সাজ্জাদুল ইসলাম সৌরভ, মামুন বাবু, বার্তা সম্পাদক: নজরুল ইসলাম
সম্পাদকীয় কার্যালয়
বার্তা ও বানিজ্যক কার্যালয়: গাজীপুর আবাসিক এলাকা, বেনাপোল, যশোর। ইমেইল: mohsin.milon@gmail.com, bartakontho@gmail.com ফোন: ৭৫২৮৯, ৭৫৬৯৫ মোবা: ০১৭১১৮২০৩৯৪
All Rights Reserved © Barta Kontho