
যশোরের চৌগাছার মাকাপুর গ্রামের বহুলালোচিত হায়দার আলীকে হত্যার অভিযোগে তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রী-ছেলে ও মেয়েসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে যশোর আদালতে মামলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার চৌগাছার বাদেখানপুর গ্রামের মৃত মহাতাব উদ্দিনের স্ত্রী ও হায়দার আলীর বোন হামিদা বেগম বাদী হয়ে এ মামলা করেছেন। জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে বিচারক মো. ইমরান আহম্মেদ অভিযোগের তদন্ত করে সিআইডিকে তদন্ত করে প্রতিবেদন জমা দেয়ার আদেশ দিয়েছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাদীর আইনজীবী শাহানুর আলম শাহীন।
আসামিরা হলো, চৌগাছার মাকাপুর গ্রামের মৃত হায়দার আলীর ছেলে আল ইমরান বাবু, ইমামুল হাসান, স্ত্রী (তালাকপ্রাপ্ত) লতিফা হায়দার, মেয়ে ¯েœনলতা পারভীন বিউটি, তামান্না নাজনীন লাভলী, লিয়াকত আলীর ছেলে রোকন, ঝিনাইদহ মহেশপুরের শংকরহুদো গ্রামের মৃত লতিফ মন্ডলের ছেলে নিজাম উদ্দিন বাবুল, গিয়াস উদ্দিন মুকুল, আতিয়ার রহমানের ছেলে মনিরুল জামান মনির জনি, ভাটপাড়া গ্রামের আলী আহম্মদ ও তার স্ত্রী জেসমিন আক্তার লাকী।
মামলার অভিযোগে জানা গেছে, হামিদা বেগমের ভাই হায়দার আলী সম্পদশালী হওয়ায় গ্রামে ধনী নামে পরিচিত ছিলেন। হায়দার আলী ৭০ বিঘা জমির মালিক, দুইটি পাকা বাড়ি ও গুদামঘরসহ বিভিন্ন সম্পদের মালিক ছিলেন। তার ছেলে ব্যারিস্টার একেএম মর্তুজা রাসেল বৃটিশ বারের একজন নিয়মিত সদস্য হিসেবে আইন পেশায় নিয়োজিত আছেন। আসামিরা বিভিন্ন সময়ে হায়দার আলীর জমি লিখে নেয়ার জন্য নানা ষড়যন্ত্র শুরু করেন। হায়দার আলী জমি লিখে দিতে রাজি না হওয়ায় আসামিরা পরিকল্পিতি ভাবে তার উপর শারিরীক ও মানসিক নির্যাতন শুরু করেন। বিষয়টি ব্যারিস্টার ছেলে রাসেল জানতে পারেন। তিনি বাড়িতে সিসি টিভি ক্যামেরা লাগান। এতে হায়দার আলীর উপর শারিরীক নির্যাতনের বিষয়টি ধরা পড়ে। ২০২২ সালের ২৪ এপ্রিল স্ত্রী ও ছেলে-মেয়েরা হত্যার উদ্দেশ্যে হায়দার আলীকে সিড়ি থেকে লাথি মেরে নিচেয় ফেলে দেন। এতে হায়দার বুকের পাজরের হাড় ভেঙ্গে গুরুত আহত হন। এছাড়াও হায়দার আলীকে মারপিট, সময়মত খাবার না দেয়া ও শীতের রাতে লেপ কেড়ে নিয়ে আলগা রেখে দেয়াসহ বিভিন্ন নির্যাতনের দৃশ্য ধরা পড়ে সিসি টিভিতে। আসামিরা সিসি টিভিতে ভিডিও রেকর্ডের বিষটি বুঝতে পেরে তার ভেঙ্গে নষ্ট করে ফেলেন।
২০২৩ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি ব্যারিস্টার রাসেল দেশে ফিরে আসেন। আসামিরা তাকে বাড়িতে না আসতে নানা ভাবে হুমকি দেন। নিরুপায় হয়ে তিনি বৃটিশ হায়কমিশনের মাধ্যমে নিরাপত্তা রক্ষী নিয়ে ১৭ ফেব্রুয়ারি বাড়িতে যেয়ে দেখে কেউ নেই। এরপর তিনি খোঁজখবর নিয়ে পিতাকে উদ্ধারে আদালতের দারস্ত হন। আদালতে মাধ্যমে তিনি তার পিতাকে ফিরে পান। চিকিৎসা করান যশোরের কুইন্স হসপিটালে ও বিদেশে চিকিৎসার জন্য কাগজপত্র প্রস্তুত করেন তিনি। আসামিরা সম্পত্তির লোভে হায়দার আলীকে হত্যার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়। পরিকল্পিত ভাবে হায়দার আলীকে চিকিৎকার নামে অপচিকিৎসা করান আসামিরা। ফলে হায়দার আলী দীর্ঘদিন ধরে ধুকেধুকে মৃত্যু বরণ করেন। আসামিদের পরিকল্পনায় তার এ মৃত্যু হওয়ায় হত্যার অপরাধের সামিল হওয়া তিনি আদালতে এ মামলা করেছেন। #
জিয়াউর রহমানের ৮৮ তম জন্মবার্ষিকী, জেলা ছাত্রদলের শিশুদের মাঝে শিক্ষা উপকরণ বিতরণ
যশোর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক নার্গিস বেগম বলেছেন, দেশ ও জাতি গঠনের শহীদ জিয়াউর রহমানের ভূমিকা অনস্বীকার্য। তার স্বল্প সময়ের শাসনকালে শিক্ষা,স্বাস্থ্য, অর্থনীতিসহ বিভিন্ন বিষয়ের যুগান্তকারী পদক্ষেপ দেশ ও জাতি গঠনে ঐতিহাসিক ভূমিকা রেখেছিল।
বিএনপির প্রতিষ্ঠা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৮৮ তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে জেলা ছাত্রদল আয়োজিত কোমলমতি শিশুদের মাঝে শিক্ষা উপকরণ বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন। জেলা বিএনপি কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে অধ্যাপক নার্গিস বেগম আরও বলেন, সেনা ছাউনি থেকে জনগণ তাকে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব ভার তুলে দেন। শহীদ জিয়াউর রহমান রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্বভার পেয়ে যে কয়টি বিষয়ের ওপর গুরুত্ব দিয়েছিলেন তার মধ্যে শিক্ষা অন্যতম। তিনি অনুধাবন করেছিলেন জাতির ভিত মজবুত করতে শিক্ষার কোন বিকল্প নেই। সে কারণে প্রাথমিক শিক্ষার্থীদের ঝরে পড়া রোধে দেশের শিক্ষাবিদদের নিয়ে কর্মশালা করেছিলেন। বিনামূল্যে শিক্ষার পাশাপাশি অর্থের বিনিময় শিক্ষা কর্মসূচি চালু করেছিলেন। শিক্ষার পাশাপাশি তিনি স্বাস্থ্য, অর্থনীতি, বৃক্ষরোপণসহ নানাবিধ বিষয় যে যুগান্তকারী পদক্ষেপ নিয়েছিলেন তার জাতি গঠনে ব্যাপক ভূমিকা রেখেছিল।
জেলা ছাত্রদলের সভাপতি রাজিদুর রহমান সাগরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, যশোর নগর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মনিরুজ্জামান মাসুম, জেলা মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদিকা বীর মুক্তিযোদ্ধা ফেরদৌসী বেগম, জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আনসারুল হক রানা, জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান বাপ্পি, সাংগঠনিক সম্পাদক শাহওনেয়াজ ইমরান, নগর ছাত্রদলের সদস্য সচিব মাসুদ কায়সার ইস্তি, সদর উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক আলমগীর হোসেন লিটন, সদস্য সচিব পিকুল হোসেন,সরকারি এম এম কলেজ ছাত্রদলের আহ্বায়ক শেখ হাসান ইমাম প্রমুখ।#
যশোরে পুলিশের অভিযান ইয়াবা-গাঁজা উদ্ধার গ্রেফতার ৪
যশোরে জেলা ডিবি, কোতয়ালি থানা পুলিশ ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তরের সদস্যরা আলাদা অভিযান চালিয়ে ৭০পিস ইয়াবা এবং সাড়ে তিনশ’ গ্রাম গাঁজা উদ্ধার করেছে। মাদকদ্রব্য নিজ হেফাজতে রাখার অভিযোগে চারজনকে গ্রেফতার করেছে। এরা হচ্ছে, যশোর সদর উপজেলার বাগডাঙ্গা খামারপাড়া গ্রামের মৃত কাশেম আলীর ছেলে আনিসুর রহমান, একই উপজেলার রামনগর ( মোল্যাপাড়া) গ্রামের মৃত গহর আলীর ছেলে ইয়াছিন হোসেন,কচুয়া খানপাড়া গ্রামের বক্কও খানের ছেলে শামীম খান ও একই এলাকার ওহাব খানের ছেলে ইমরান খান। গ্রেফতারকৃতদের বৃহস্পতিবার দুপুরে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
কোতয়ালি থানা পুলিশ গত বুধবার বিকেলে সদর উপজেলার কচুয়া খানপাড়া গ্রামের আসাদ শেখ এর বাড়ির পিছনের লিচু গাছের নীচে রাখা অবস্থায় শামীম খান ও ইমরান খানকে গ্রেফতার করে। এ সময় তাদের কাছ থেকে ২১০ গ্রাম গাঁজা উদ্ধার করে। অপরদিকে,মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তরের সদস্যরা ১৭ জানুয়ারী বিকেলে গোপন রামনগর মোল্যাপাড়া গ্রামের ইয়াছিন হোসেনের বাড়ি থেকে দেড়শ’ গ্রাম গাঁজাসহ ইয়াছিন হোাসেনকে গ্রেফতার করে। এছাড়া,জেলা ডিবি পুলিশ মঙ্গলবার সদরের উপজেলার বাগডাঙ্গা গ্রামের পালপাড়ার আবুর বাড়ির সামনে থেকে আনিসুর রহমানকে ৭০পিস ইয়াবাসহ গ্রেফতার করে।#
যশোরে মামাভাগ্নে সন্ত্রাসীদের হাতে জখম টাকা ছিনতাই
মাত্র ১১শ’ টাকা লেনদেনকে কেন্দ্র করে ভাগ্নেকে গতিরোধ করে অবৈধভাবে আটক করে রাখায় মামা উদ্ধার করতে এসে মামা ভাগ্নে চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে জখমসহ নগদ প্রায় ৬ হাজার টাকা ছিনিয়ে নিয়েছে। এ ঘটনায় ৩ সন্ত্রাসীর নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ৪/৫জনের বিরুদ্ধে বুধবার রাতে কোতয়ালি থানায় মামলা হয়েছে। মামলাটি করেন,আহত মামা যশোর সদর থানার ঘুনির মৃত তবিবর রহমানের ছেলে মেহেদী হাসান। মামলায় আসামী করেন,সদর উপজেলার ঘুনি জমাদ্দারপাড়ার রেজয়ান হোসেন, একই গ্রামের আবুল হাশেম মোল্যার ছেলে আকাশ ও ঘুনি পূর্ব পাড়ার মিন্টুর ছেলে তুহিনসহ অজ্ঞাতনামা ৪/৫জন।#
সম্পাদক ও প্রকাশক: মহসিন মিলন
সম্পাদকীয় পরিষদ
সম্পাদক মন্ডলীর সভাপতি: নুরুজ্জামান লিটন, ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: রোকনুজ্জামান রিপন, নির্বাহী সম্পাদক: আব্দুল লতিফ, যুগ্ন নির্বাহী সম্পাদক: আলহাজ্ব মতিয়ার রহমান, সহকারী সম্পাদক: সাজ্জাদুল ইসলাম সৌরভ, মামুন বাবু, বার্তা সম্পাদক: নজরুল ইসলাম
সম্পাদকীয় কার্যালয়
বার্তা ও বানিজ্যক কার্যালয়: গাজীপুর আবাসিক এলাকা, বেনাপোল, যশোর। ইমেইল: mohsin.milon@gmail.com, bartakontho@gmail.com ফোন: ৭৫২৮৯, ৭৫৬৯৫ মোবা: ০১৭১১৮২০৩৯৪
All Rights Reserved © Barta Kontho