চুলের স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে খুশকি বড় সমস্যা! ঠান্ডা আবহাওয়া, শুষ্ক হাওয়ার কারণে শীতে চুলের নানান সমস্যা দেখা দেয়। শীতে এই খুশকির জন্যও নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে শরীরে। অতিরিক্ত চুল ঝরে যাওয়া, চুল রুক্ষ হয়ে যাওয়া। এ ছাড়াও মাথার ত্বকে নানা রকমের সংক্রমণে জন্যেও দায়ি থাকে খুশকি। তাই সঠিক সময়ে খুশকির সমস্যার ঠাকাতে উপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে হবে। না হলে সমস্ত চুল অকালেই ঝরে যেতে পারে।
খুশকির সমস্যা থেকে রেহাই পেতে বাজারে নানা ধরনের শ্যাম্পু বা লোশন পাওয়াই যায়। তবে সেগুলিতে থাকা বিভিন্ন রাসায়নিক উপাদানের প্রভাবে উল্টে চুলেরই ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা থাকে। অভিজ্ঞ চিকিৎসক অর্ণব নিয়োগী জানান, স্বাভাবিক নিয়মে কিছু মৃত কোষ সবার মাথাতেই থাকে। তা কিন্তু চোখে পড়ার আগেই ঝরে পড়ে যায়৷ সমস্যাটা যখন বাড়ে, তখনই তা বাইরে থেকে চোখে পড়ে৷ মাথার তালু চুলকায়, আবার চুলকোতে গেলেই উঠে আসে মৃত কোষ৷ চিরুনি দিয়ে চুল আঁচড়ালে বা মাথা চুলকালে জামাকাপড় ভরে যায় খুশকিতে৷
খুসকি হলে চুল ওঠে গোছা গোছা৷ সব মিলিয়ে বেশ বিরক্তিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয় শীতের এই সময়ে৷ তবে তার থেকে রেহাই পাওয়া খুবই সহজ। চুলের পক্ষে অ্যালোভেরা অত্যন্ত উপকারী। চুলে অ্যালোভেরা জেল লাগালে শিকড় মজবুত হয়। এই জেলে উপস্থিত অ্যান্টি ফাঙ্গাল ও অ্যান্টিব্যাক্টিরিয়াল উপাদান খুশকির সমস্যা থেকে মুক্তি দেয়।”
“শীতকালে সপ্তাহে অন্তত একবার গরম নারকেল তেল বা আমন্ড তেল দিয়ে স্ক্যাল্পের ম্যাসাজ করা ভাল। ফলে মাথার ত্বকের কোষ ভাল থাকবে এবং চুলের রুক্ষভাবও কমবে। দই ও লেবুর রসেও খুশকি দূর হয় অনেকটা। তবে যদি খুশকির সমস্যার সমাধান না করা হয়। তবে সেক্ষেত্রে ভবিষ্যতে তাঁর থেকে শরীরে অন্যান্য বেশ কিছু সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে। চোখের বিভিন্ন সমস্যা। পিঠের মধ্যে নানা ধরনের ফাঙ্গাল চুলকানি। কানের বেশ কিছু সমস্যা। এই সমস্যা ছোট থেকে বড় সকালের মধ্যেই দেখা যেতে পারে।”
খুশকির সমস্যা দেখা দিলে তা ফেলে না রেখে দ্রুত সেটার প্রতিকার নেওয়া ভাল। দরকার পড়লে অভিজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে পারেন।