সোমবার, ১৬ জুন ২০২৫, ২ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

তিন দিনের অবকাশ যাপনে রাঙামাটির সাজেকে আসছেন রাষ্ট্রপতি

তিন দিনের অবকাশ যাপনে রাঙামাটির পর্যটনকেন্দ্র সাজেকে আসছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। রাষ্ট্রপতির সফর উপলক্ষে নিরাপত্তা জোরদারসহ সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে বিভিন্ন কর্তৃপক্ষ।

রাঙামাটির জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন খান প্রতিদিনের বাংলাদেশকে জানান, রবিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) রাষ্ট্রপতি সাজেকে আসবেন এবং মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) ফিরে যাবেন। রাষ্ট্রপতির সফর ঘিরে সাজেকে ইতোমধ্য ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থাসহ সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। রাষ্ট্রপতির আগমনে কোনো রিসোর্ট-কটেজ বন্ধ থাকবে না। পুরো সাজেক পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত থাকবে।

এদিকে সাজেকে গত ৪ ফেব্রুয়ারি দুই খুনের শোকাবহ পরিস্থিতির মধ্যে রাষ্ট্রপতির সফর ঘিরে ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের (ইউপিডিএফ) পাঁচ সহযোগী সংগঠনের পক্ষ থেকে অসন্তোষ প্রকাশ করে বিবৃতি দেওয়া হয়েছে। শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) বিকালে ইউপিডিএফের সহযোগী সংগঠন পাহাড়ি ছাত্রপরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির দপ্তর সম্পাদক থুইলাপ্রু মারমা সংবাদমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে এই খবর দেন। পাঁচ সংগঠন হলো পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ (পিসিপি), গণতান্ত্রিক যুব ফোরাম, হিল উইমেন্স ফেডারেশন,পার্বত্য চট্টগ্রাম নারী সংঘ ও শ্রমজীবী ফ্রন্ট। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আলংকারিক প্রধান হিসেবে রাষ্ট্রপতিকে দেশের বিবেক হিসেবে ভাবা হয়। এমন একজন মর্যাদাসম্পন্ন ব্যক্তির সাজেকে এলাকাবাসীর শোকাবহ পরিস্থিতিতে প্রমোদ ভ্রমণ এলাকাবাসী ও পরিবেশবাদীদের নিকট ভুল বার্তা দেবে।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, সাজেকে সীমান্ত সড়ক নির্মাণ, অব্যাহত পাহাড় কাটা ও পাথর উত্তোলনের ফলে একদিকে স্থানীয় লোকজন উচ্ছেদ হচ্ছে, অন্যদিকে এলাকার জীববৈচিত্র্য, প্রকৃতি ও পরিবেশের মারাত্মক ক্ষতি হচ্ছে। রাষ্ট্রপতির সফর এ ধরনের পরিবেশ ধ্বংসের কার্যক্রমকে আরও উৎসাহিত করার শামিল, যা কোনো সচেতন নাগরিক সমর্থন করতে পারেন না।

এর আগে গত বছরের ২০ থেকে ২২ ডিসেম্বর তিন দিন রাষ্ট্রপতির সাজেক সফরের কথা থাকলেও ‘অনিবার্য কারণবশত’ স্থগিত করা হয়। ওই সফরকে কেন্দ্র করে ১৮ থেকে ২২ ডিসেম্বর পর্যন্ত পাঁচ দিন সাজেকের সব কটেজ-রিসোর্ট বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল সাজেক কটেজ মালিক সমিতি।

জনপ্রিয়

ঈদের ছুটিতে ৯৯৯-এ কল সোয়া ২ লাখ, সবচেয়ে বেশি মারামারির

তিন দিনের অবকাশ যাপনে রাঙামাটির সাজেকে আসছেন রাষ্ট্রপতি

প্রকাশের সময় : ০৮:৫৫:৩২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

তিন দিনের অবকাশ যাপনে রাঙামাটির পর্যটনকেন্দ্র সাজেকে আসছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। রাষ্ট্রপতির সফর উপলক্ষে নিরাপত্তা জোরদারসহ সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে বিভিন্ন কর্তৃপক্ষ।

রাঙামাটির জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন খান প্রতিদিনের বাংলাদেশকে জানান, রবিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) রাষ্ট্রপতি সাজেকে আসবেন এবং মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) ফিরে যাবেন। রাষ্ট্রপতির সফর ঘিরে সাজেকে ইতোমধ্য ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থাসহ সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। রাষ্ট্রপতির আগমনে কোনো রিসোর্ট-কটেজ বন্ধ থাকবে না। পুরো সাজেক পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত থাকবে।

এদিকে সাজেকে গত ৪ ফেব্রুয়ারি দুই খুনের শোকাবহ পরিস্থিতির মধ্যে রাষ্ট্রপতির সফর ঘিরে ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের (ইউপিডিএফ) পাঁচ সহযোগী সংগঠনের পক্ষ থেকে অসন্তোষ প্রকাশ করে বিবৃতি দেওয়া হয়েছে। শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) বিকালে ইউপিডিএফের সহযোগী সংগঠন পাহাড়ি ছাত্রপরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির দপ্তর সম্পাদক থুইলাপ্রু মারমা সংবাদমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে এই খবর দেন। পাঁচ সংগঠন হলো পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ (পিসিপি), গণতান্ত্রিক যুব ফোরাম, হিল উইমেন্স ফেডারেশন,পার্বত্য চট্টগ্রাম নারী সংঘ ও শ্রমজীবী ফ্রন্ট। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আলংকারিক প্রধান হিসেবে রাষ্ট্রপতিকে দেশের বিবেক হিসেবে ভাবা হয়। এমন একজন মর্যাদাসম্পন্ন ব্যক্তির সাজেকে এলাকাবাসীর শোকাবহ পরিস্থিতিতে প্রমোদ ভ্রমণ এলাকাবাসী ও পরিবেশবাদীদের নিকট ভুল বার্তা দেবে।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, সাজেকে সীমান্ত সড়ক নির্মাণ, অব্যাহত পাহাড় কাটা ও পাথর উত্তোলনের ফলে একদিকে স্থানীয় লোকজন উচ্ছেদ হচ্ছে, অন্যদিকে এলাকার জীববৈচিত্র্য, প্রকৃতি ও পরিবেশের মারাত্মক ক্ষতি হচ্ছে। রাষ্ট্রপতির সফর এ ধরনের পরিবেশ ধ্বংসের কার্যক্রমকে আরও উৎসাহিত করার শামিল, যা কোনো সচেতন নাগরিক সমর্থন করতে পারেন না।

এর আগে গত বছরের ২০ থেকে ২২ ডিসেম্বর তিন দিন রাষ্ট্রপতির সাজেক সফরের কথা থাকলেও ‘অনিবার্য কারণবশত’ স্থগিত করা হয়। ওই সফরকে কেন্দ্র করে ১৮ থেকে ২২ ডিসেম্বর পর্যন্ত পাঁচ দিন সাজেকের সব কটেজ-রিসোর্ট বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল সাজেক কটেজ মালিক সমিতি।