
আন্দ্রে রাসেল একাই খেললেন শেষ ওভারে , কিন্তু সাইফুদ্দিনের বিপক্ষে পেরে ওঠেননি। আগের ওভারে ফুলারকে তিন ছক্কায় উড়িয়ে যদিও দেড়শ রানের গণ্ডির খুব কাছে নিয়ে আসেন। ইনিংসের শেষ ওভারে ৭ রান নিলে জমা পড়ে ১৫৪ রান৷ চতুর্থবারের চেষ্টায় অধরা শিরোপা ছুঁতে ফরচুন বরিশালকে আনতে হবে ওভারপ্রতি ৮ রানের কিছু কম।
আজ শুক্রবার (১ মার্চ) মিরপুর শের-ই বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে চলতি বিপিএলের শিরোপা নির্ধারণী ফাইনালে টস জিতে কুমিল্লাকে ব্যাটিংয়ে পাঠান বরিশালের অধিনায়ক তামিম ইকবাল। ইনিংসের দ্বিতীয় বলে বাউন্ডারি হাঁকিয়ে দারুণ শুরুর ইঙ্গিত দিয়েছিলেন সুনীল নারাইন। তবে কাইল মায়ার্সের করা পঞ্চম বলেই সাজঘরের পথ ধরেন এই ক্যারিবীয় তারকা। বিদায়ের আগে ৫ বলে ৪ রান করেন বাঁহাতি এই ব্যাটার।
এরপর পাওয়ার প্লেতে আরও দুই উইকেট হারায় কুমিল্লা। চতুর্থ ওভারে দলীয় ৩০ রানের মাথায় জেমস ফুলারের বলে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তাওহিদ হৃদয়। বিদায়ের আগে ডানহাতি এই ব্যাটার করেন ১০ বলে ৩ বাউন্ডারিতে ১৫ রান। ষষ্ঠ ওভারে ফুলারের বলে ফের রিয়াদের হাতে ক্যাচ দিয়ে বসেন লিটন দাস। সাজঘরে ফেরার আগে ১২ বলে ১৬ রান করেন কুমিল্লার অধিনায়ক।
দলীয় ৭৯ রানে টপ অর্ডারের ৫ ব্যাটারকে হারিয়ে রীতিমত ধুকছিল কুমিল্লা। সেই সময়ে ত্রাণকর্তা হয়ে দলের হাল ধরেন মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন ও জাকের আলি অনিক। ষষ্ঠ উইকেটে তারা দুজনে মিলে ৩৬ রানের জুটি গড়ে দলকে এগিয়ে নিতে থাকেন। তবে ১৭তম ওভারে মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের বলে বোল্ড হয়ে যান অঙ্কন। বিদায়ের আগে ডানহাতি এই ব্যাটারের ব্যাট থেকে এসেছে সর্বোচ্চ ৩৮ রান।
অঙ্কন ফেরার পর শেষদিকে ঝড় তোলেন আন্দ্রে রাসেল। এই ক্যারবিয়ান হার্ডহিটার ১৪ বলে করেছেন অপরাজিত ২৭ রান। এরমধ্যে ১৯তম ওভারেই তুলেছেন ২১ রান। অপরাজিত ২০ রানের ইনিংসে এক প্রান্ত আগলে রেখেছিলেন জাকের আলি। তাতে নির্ধারিত সময়ে ১৫৪ রানে থামে কুমিল্লার ইনিংস।
বল হাতে বরিশালের হয়ে ৪ ওভারে ৪৪ রানের বিনিময়ে ২ উইকেট শিকার করেন ফুলার। এছাড়া ম্যাকয়, সাইফউদ্দিন ও মায়ার্স পান ১টি করে উইকেট।