মঙ্গলবার, ১৩ মে ২০২৫, ৩০ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বিপিএলে কুমিল্লার দাপট খর্ব করে ট্রফি জয় করেছে বরিশাল

বিপিএলে কুমিল্লার দাপট খর্ব করে ট্রফি জয় করেছে বরিশাল। ক্রিকেটপ্রেমীরা দেখলে তামিমের নেতৃত্বাধীন নতুন চ্যাম্পিয়ন দলকে। পঞ্চম শিরোপার দিকে তাকিয়ে থেকে খুব একটা বড় সংগ্রহ গড়তে পারেনি বিপিএলের সবচেয়ে সফল দলটি। শুক্রবার দশম আসরের ফাইনালে তাদের ছয় উইকেটে ১৫৪ রানে থামিয়েছে ফরচুন বরিশাল। পরে ওই রান তাড়া করতে নেমে ছয় উইকেটে জয় পায় বরিশাল।
বরিশালের প্রথম ওভারে তানভীর ইসলামকে ঠিকঠাক কানেক্ট করতে পারছিলেন না তামিম। এই স্পিনারের পরের ওভারের শেষ দুই বলে দু’টি ছক্কা হাঁকান তামিম। ম্যাচের নিয়ন্ত্রণও তখনই বরিশালের কাছে চলে আসে। পাওয়ার প্লের ছয় ওভারে কোনো উইকেট না হারিয়ে সংগ্রহ ৫৯।
মঈন আলি কুমিল্লাকে প্রথম উইকেট এনে দেন। আগের চার বলে তাকে একটি ছক্কা ও দু’টি চার হাঁকিয়েছিলেন তিনি। ওভারের শেষ বলে এগিয়ে এসে খেলতে যান, কিন্তু বলের কাছাকাছিও ছিলেন না তামিম। তিনটি চার ও ছক্কার ইনিংসে ২৬ বলে ৩৯ রান করেন তিনি। নিজের কাজটা অবশ্য ততক্ষণে ঠিকই করে দিয়ে গেছেন তামিম।
তার সঙ্গী মেহেদী হাসান মিরাজও তাই। ২৬ বলে ২৯ রান করা এই ব্যাটারকে ফেরান মঈন। বরিশালের লম্বা ব্যাটিং লাইন আপ, আর লক্ষ্য অল্প থাকায় জয় নিয়ে কখনোই অনিশ্চয়তা ছিল না তাদের। সেটি আরও কাছাকাছি নিয়ে আসেন পুরো আসরজুড়ে বরিশালের বড় ভরসা হওয়া মেয়ার্স।
মোস্তাফিজুর রহমানের বলে পুল করতে যান তিনি। কিন্তু ব্যাটে ঠিকঠাক না লাগায় মিড অনে দাঁড়ানো মঈন একটু পিছিয়ে গিয়ে ক্যাচ নেন তার। ওই ওভারেই মুশফিকুর রহিমকেও ফেরান মোস্তাফিজ। নিজের প্রথম বিপিএল শিরোপার উদযাপন তাই মাঠে বসে করতে পারেননি মুশফিক। ফাইনালে ১৮ বলে করেন ১৩ রান।
এক ওভারে দুই উইকেট পেলেও ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে গেছে। দুই দলের পথও বদলে গেছে অনেকটাই। বিপিএলকে নিজেদের সা¤্রাজ্য বানিয়ে ফেলা কুমিল্লা থমকে গেছে এবার। বিপিএল শিরোপা পথ ধরেছে বরিশালের। মুশফিক না পারলেও জয় নিশ্চিত করে মাঠ ছেড়েছেন জাতীয় দলে তার দীর্ঘদিনের সতীর্থ মাহমুউল্লাহ রিয়াদ ও দক্ষিণ আফ্রিকার ডেভিড মিলার।
এর আগে মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে দশম আসরের টস হেরে ব্যাট করতে নামে কুমিল্লা। পাওয়ার প্লেতে ৪৯ রান তুলতেই হারিয়ে ফেলে তিন উইকেট। পড্রথম ওভারে ওপেনার সুনীল নারিনকে ফেরান কাইল মেয়ার্স। তার বলে শর্ট ফাইন লেগে থাকা ওবেড ম্যাককয়ের হাতে ক্যাচ দেন নারিন। তিনি করেন পাঁচ রান। চতুর্থ ওভারে জেমস ফুলারের শিকারে পরিণত হন ফর্মে থাকা তাওহীদ হৃদয়। তিনটি চারে বড় কিছুর ইঙ্গিত দিলেও ১০ বলে ১৫ রানে থামে তার ইনিংস। থার্ডম্যান অঞ্চলে থাকা মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে সহজ ক্যাচ দেন তিনি।
একই বোলারের বিরুদ্ধে একইভাবে সাজঘরের পথ ধরেন কুমিল্লার অধিনায়ক লিটন দাস। ১২ বলে তিনটি চারে ১৬ রান করেন তিনি। পাওয়ার প্লের পর কুমিল্লার রানের গতি সেভাবে বাড়েনি। বিশেষ করে তাদের বিদেশি তারকারা জ্বলে উঠতে পারেননি। জনসন চার্লস দু’টি ছক্কা মারলেও ১৫ রান নিতে তিনি খরচ করেন ১৭ বল। ইংলিশ অলরাউন্ডার মঈন আলী ছয় বলে তিন রানে ফেরেন রান আউটের শিকার হয়ে।
ষষ্ঠ উইকেটে মাইদুল ইসলাম অঙ্কনের সঙ্গে প্রতিরোধের চেষ্টা করেন জাকের আলী। কিন্তু তাদের ৩৬ রানের জুটি ভেঙে যায় সাইফউদ্দিন বলে অঙ্কন ফিরলে। ৩৫ বলে দু’টি চার ও ছক্কায় ৩৮ রান করেন তিনি। শেষ দিকে ১৩ বলে চারটি ছক্কায় ২৫ রান করে আন্দ্রে রাসেল রানের গতি কিছুটা বাড়িয়েছেন শুধু। অপর প্রান্তে ২৩ বলে ২০ রানে অপরাজিত থাকেন জাকের।
বরিশালের হয়ে সর্বোচ্চ দু’টি উইকেট নেন ফুলার। এছাড়া একটি করে শিকার মেয়ার্স, সাইফউদ্দিন ও ম্যাককয়ের।

জনপ্রিয়

পেট্টাপোলে বিজিবি-বিএসএফ সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত

বিপিএলে কুমিল্লার দাপট খর্ব করে ট্রফি জয় করেছে বরিশাল

প্রকাশের সময় : ১১:১৩:৫৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১ মার্চ ২০২৪

বিপিএলে কুমিল্লার দাপট খর্ব করে ট্রফি জয় করেছে বরিশাল। ক্রিকেটপ্রেমীরা দেখলে তামিমের নেতৃত্বাধীন নতুন চ্যাম্পিয়ন দলকে। পঞ্চম শিরোপার দিকে তাকিয়ে থেকে খুব একটা বড় সংগ্রহ গড়তে পারেনি বিপিএলের সবচেয়ে সফল দলটি। শুক্রবার দশম আসরের ফাইনালে তাদের ছয় উইকেটে ১৫৪ রানে থামিয়েছে ফরচুন বরিশাল। পরে ওই রান তাড়া করতে নেমে ছয় উইকেটে জয় পায় বরিশাল।
বরিশালের প্রথম ওভারে তানভীর ইসলামকে ঠিকঠাক কানেক্ট করতে পারছিলেন না তামিম। এই স্পিনারের পরের ওভারের শেষ দুই বলে দু’টি ছক্কা হাঁকান তামিম। ম্যাচের নিয়ন্ত্রণও তখনই বরিশালের কাছে চলে আসে। পাওয়ার প্লের ছয় ওভারে কোনো উইকেট না হারিয়ে সংগ্রহ ৫৯।
মঈন আলি কুমিল্লাকে প্রথম উইকেট এনে দেন। আগের চার বলে তাকে একটি ছক্কা ও দু’টি চার হাঁকিয়েছিলেন তিনি। ওভারের শেষ বলে এগিয়ে এসে খেলতে যান, কিন্তু বলের কাছাকাছিও ছিলেন না তামিম। তিনটি চার ও ছক্কার ইনিংসে ২৬ বলে ৩৯ রান করেন তিনি। নিজের কাজটা অবশ্য ততক্ষণে ঠিকই করে দিয়ে গেছেন তামিম।
তার সঙ্গী মেহেদী হাসান মিরাজও তাই। ২৬ বলে ২৯ রান করা এই ব্যাটারকে ফেরান মঈন। বরিশালের লম্বা ব্যাটিং লাইন আপ, আর লক্ষ্য অল্প থাকায় জয় নিয়ে কখনোই অনিশ্চয়তা ছিল না তাদের। সেটি আরও কাছাকাছি নিয়ে আসেন পুরো আসরজুড়ে বরিশালের বড় ভরসা হওয়া মেয়ার্স।
মোস্তাফিজুর রহমানের বলে পুল করতে যান তিনি। কিন্তু ব্যাটে ঠিকঠাক না লাগায় মিড অনে দাঁড়ানো মঈন একটু পিছিয়ে গিয়ে ক্যাচ নেন তার। ওই ওভারেই মুশফিকুর রহিমকেও ফেরান মোস্তাফিজ। নিজের প্রথম বিপিএল শিরোপার উদযাপন তাই মাঠে বসে করতে পারেননি মুশফিক। ফাইনালে ১৮ বলে করেন ১৩ রান।
এক ওভারে দুই উইকেট পেলেও ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে গেছে। দুই দলের পথও বদলে গেছে অনেকটাই। বিপিএলকে নিজেদের সা¤্রাজ্য বানিয়ে ফেলা কুমিল্লা থমকে গেছে এবার। বিপিএল শিরোপা পথ ধরেছে বরিশালের। মুশফিক না পারলেও জয় নিশ্চিত করে মাঠ ছেড়েছেন জাতীয় দলে তার দীর্ঘদিনের সতীর্থ মাহমুউল্লাহ রিয়াদ ও দক্ষিণ আফ্রিকার ডেভিড মিলার।
এর আগে মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে দশম আসরের টস হেরে ব্যাট করতে নামে কুমিল্লা। পাওয়ার প্লেতে ৪৯ রান তুলতেই হারিয়ে ফেলে তিন উইকেট। পড্রথম ওভারে ওপেনার সুনীল নারিনকে ফেরান কাইল মেয়ার্স। তার বলে শর্ট ফাইন লেগে থাকা ওবেড ম্যাককয়ের হাতে ক্যাচ দেন নারিন। তিনি করেন পাঁচ রান। চতুর্থ ওভারে জেমস ফুলারের শিকারে পরিণত হন ফর্মে থাকা তাওহীদ হৃদয়। তিনটি চারে বড় কিছুর ইঙ্গিত দিলেও ১০ বলে ১৫ রানে থামে তার ইনিংস। থার্ডম্যান অঞ্চলে থাকা মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে সহজ ক্যাচ দেন তিনি।
একই বোলারের বিরুদ্ধে একইভাবে সাজঘরের পথ ধরেন কুমিল্লার অধিনায়ক লিটন দাস। ১২ বলে তিনটি চারে ১৬ রান করেন তিনি। পাওয়ার প্লের পর কুমিল্লার রানের গতি সেভাবে বাড়েনি। বিশেষ করে তাদের বিদেশি তারকারা জ্বলে উঠতে পারেননি। জনসন চার্লস দু’টি ছক্কা মারলেও ১৫ রান নিতে তিনি খরচ করেন ১৭ বল। ইংলিশ অলরাউন্ডার মঈন আলী ছয় বলে তিন রানে ফেরেন রান আউটের শিকার হয়ে।
ষষ্ঠ উইকেটে মাইদুল ইসলাম অঙ্কনের সঙ্গে প্রতিরোধের চেষ্টা করেন জাকের আলী। কিন্তু তাদের ৩৬ রানের জুটি ভেঙে যায় সাইফউদ্দিন বলে অঙ্কন ফিরলে। ৩৫ বলে দু’টি চার ও ছক্কায় ৩৮ রান করেন তিনি। শেষ দিকে ১৩ বলে চারটি ছক্কায় ২৫ রান করে আন্দ্রে রাসেল রানের গতি কিছুটা বাড়িয়েছেন শুধু। অপর প্রান্তে ২৩ বলে ২০ রানে অপরাজিত থাকেন জাকের।
বরিশালের হয়ে সর্বোচ্চ দু’টি উইকেট নেন ফুলার। এছাড়া একটি করে শিকার মেয়ার্স, সাইফউদ্দিন ও ম্যাককয়ের।