
রাষ্ট্রপতি পুলিশ পদক (পিপিএম)-সেবা পেলেন যশোরের শার্শা থানার অফিসার ইনচার্জ শেখ মোঃ মনিরুজ্জামান। শেখ মোঃ মনিরুজ্জামান ,তার পেশাগত দায়িত্ব পালনে মামলার রহস্য উদঘাটন, পুলিশী সেবা নিশ্চিত করা, অপরাধ নিয়ন্ত্রণ, দক্ষতা, কর্তব্যনিষ্ঠা, সততা, শৃঙ্খলামূলক আচরণের মাধ্যমে প্রশংসনীয় অবদানের জন্য তিনি পিপিএম-সেবা পদকে ভূষিত হন।
পুলিশ সপ্তাহে তিনি রাজারবাগ পুলিশ লাইনস গ্রাউন্ডে এক অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই পদক তাকে পরিয়ে দেন।
যশোর জেলার শার্শা থানার অফিসার ইনচার্জ শেখ মো: মনিরুজ্জামান খুলনা জেলার রুপসা উপজেলার বাসিন্দা। তিনি পুলিশ বাহিনীতে সাব-ইনন্সপেক্টর হিসেবে প্রথমে যোগদান করেন।বিশেষ কাজের অবদানে এর আগে তিনি দু’বার আইজিপি মেডেল প্রাপ্ত হয়েছেন। শেখ মোঃ.মনিরুজ্জামান সাংবাদিকদের বলেন, সততা নিষ্ঠা কর্তব্য ও উত্তম পেশাদারিত্বের সাথে দায়িত্ব পালনে আমি বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীর সর্বশেষ পদক রাষ্ট্রপতি পুলিশ পদকে ভূষিত হয়েছি।আমি আমার চাকুরি জীবনে শেষ দিন পর্যন্ত আমার উপর অর্পিত দায়িত্ব শত ভাগ সততার সাথে পালন করে যেতে চাই।
অফিসার ইনচার্জ হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে সার্বিক নির্দেশনা প্রদান ও সহযোগিতার জন্য যশোর জেলার পুলিশ সুপার প্রলয় কুমার জোয়ারদার সহ সকল সহকর্মিদের প্রতি কৃতঙ্গতা প্রকাশ করেন।
অফিসার ইনচার্জ শেখ মোঃ মনিরুজ্জামান এর আগে ঢাকা যশোর কোতোয়ালি , মনিরামপুর থানা সহ , গুরুত্বপূর্ণ থানায় দায়িত্ব পালন করেছেন।
যশোরে এক কলেজ শিক্ষার্থী অপহরনের অভিযোগে মামলা
যশোরে সানিয়া খাতুন (১৭) নামে এক কলেজ পড়ুয়া ছাত্রীকে ফুসলিয়ে অপহরণের অভিযোগে কোতয়ালি থানায় মামলা করেছেন কলেজ ছাত্রীর মা। ছাত্রীর যশোর সদর থানার কৃষ্ণবাটি মোল্লাপাড়া গ্রামের শফিকুল ইসলামের স্ত্রী নাজমা বেগম। মামলায় আসামী করেন,সদর উপজেলার তফসীডাঙ্গা গ্রামের কামরুল ইসলামের ছেলে মান্না খান তফসীডাঙ্গা, পুলেরহাটের মৃত আব্দুর রশিদের ছেলে জিয়াউর রহমান,তফসীডাঙ্গা গ্রামের কামরুল ইসলাম, কামরুল ইসলামের স্ত্রী রহিমা,কামরুল ইসলামের ছেলে মুন্নাসহ অজ্ঞাতনামা ৩/৪জন।
এমালায় বাদি উল্লেখ করেন, তার নাবালিকা মেয়ে সানিয়া খাতুন নতুনহাট পাবলিক কলেজে এইচ এসসি প্রথম বর্ষে লেখাপড়া করে। মান্না খান তার সহযোগীদের সহায়তায় বাদির মেয়েকে বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে ফুসলাতে থাকে। বাদির মেয়ে আসামীর কথায় রাজী না হওয়ায় মেয়েকে জোর করে অপহরণ করে ক্ষতি করার জন্য বিভিন্ন বাবে ষড়যন্ত্র করতে থাকে। গত ২৫ ফেব্রুয়ারী সকাল সাড়ে ৮ টায় বাদির মেয়ে বাড়ি হতে গলায় সোনার চেইন,কানের দুল ও একটি আংটি পরে উক্ত কলেজের উদ্দেশ্যে রওনা হয়। পরে উক্ত কলেজ পড়ূয়া শিক্ষার্থী বাড়িতে আর ফিরে আসেনি। বাদির পরিবার খোঁজাখুজির পর জানতে পারেন মান্না খান তার সহযোগী আসামীদের সহায়তায় উক্ত কলেজের সামনে সকাল ৯ টায় পৌছালে মান্না খান জিয়াউর রহমান জিয়া ও কামরুল ইসলামের সহায়তায় বাদির মেয়েকে বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে ফুসলিয়ে অসৎ উদ্দেশ্যে অপহরণ করে নিয়ে যায়। পরে উক্ত আসামী তার পিতা ও মাতার ও আসামীর খালু জিয়াউর রহমান জিয়ার সহায়তায় বাদির মেয়েকে অসৎ উদ্দেশ্যে অজ্ঞাতস্থানে গোপন করে রেখেছে। বাদি ও তার পরিবারের লোকজন বাদির মেয়েকে বিভিন্ন আত্মীয় বাড়ি ও তার বন্ধু বান্ধবীর সাথে যোগাযোগ করে তাদের বাড়িতে খোজ কবর করে তার মেয়ের কোন সন্ধান করতে পারেনি। মান্না খানের পিতা মাতাকে বাদি তার মেয়েকে ফেরত দিতে বললে তার মেয়েকে ফেরত দিবে বলে আশ^াস দেওয়া সত্বেও বাদির মেয়েকে ফেরত না দিয়ে তালবাহনা করে। আসামীরা যে কোন সময়ে বাদির মেয়েকে বড় ধরনের ক্ষতি করতে পারে বলে আশংকা প্রকাশ আশংকা করছে। কোন উপায়ূন্তর না পেয়ে কোতয়ালি থানায় মামলা করেন। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত পুলিশ অপহৃতা কলেজ শিক্ষার্থীকে উদ্ধার ও অপহরনের সাথে জড়িত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি।#
যশোরে হেরোইন,গাঁজাসহ গ্রেফতার-২
যশোর কোতয়ালি থানা ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তর যশোরের সদস্যরা আলাদা কয়েকটি অভিযান চালিয়ে ষ হেরোইন ও গাঁজা উদ্ধার করেছে। এ সময় মাদকদ্রব্য রাখার অভিযোগে এক নারীসহ দু’ জনকে গ্রেফতার করেছে। গ্রেফতারকৃতরা হচ্ছে,যশোর শহরের বেজপাড়া তালতলার ইমান আলীর ছেলে আাশরাফুল আলম রাব্বি ওরফে মাছ রাব্বি, যশোর সদর থানার ডাকাতিয়া দক্ষিণপাড়া গ্রামের আতিক হাসানের স্ত্রী শান্তা বেগম। গ্রেফতারকৃত ও পলাতক আসামীদের বিরুদ্ধে মাদক আইনে আলাদা দু’টি মামলা হয়েছে।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর মামলায় জানিয়েছেন গত শনিবার ২ মার্চ বিকেলে যশোর সদরের ডাকাতিয়ার দক্ষিনপাড়া গ্রামের আতিক হাসান ও শান্তা বেগম এর বাড়িতে অভিযান চালায়। এসময় শান্তা বেগমকে আটক করে। তার সহযোগী আতিক হাসান পালিয়ে যায়। এ সময় শান্তা বেগমের কাছ থেকে ৩শ’ গ্রাম গাঁজা উদ্ধার করে। আতিক হাসান একই গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে।
এদিকে যশোর কোতয়ালি থানার পুলিশ গত শনিবার ২ মার্চ রাতে শহরের বেজপাড়া কবরস্থান এলাকায় অভিযান চালিয়ে আশরাফুল আলম রাব্বি ওরফে মাছ রাব্বিকে গ্রেফতার করে। এসময় তার সহযোগী শহরের বেজপাড়া টিবি ক্লিনিক পাড়ার মৃত কানা বাবু ওরফে বাবুর ছেলে সুমন হোসেন ওরফে ট্যাটু সুমন, শংকরপুর চোপদারপাড়ার মৃত রবিউল ইসলাম ওরফে ইকতারের ছেলে হানিফ, টিবি ক্লিনিক পাড়ার মৃত রইচ উদ্দিনের ছেলে আল আমিন, শহরের খড়কী কলাবাগান রেল লাইনের দক্ষিনপাশে মজিবর শেখ ওরফে জাহাঙ্গীরের ছেলে রাজা হোসেন ওরফে পিচ্চি রাজাসহ অজ্ঞাতনামা ৩/৪জন পালিয়ে যায়। গ্রেফতারকৃত মাছ রাব্বিও তার পালিয়ে যাওয়া সহযোগীদের থাকা ৩৪ গ্রাম হেরোইন উদ্ধার করে। মাদক উদ্ধারের ঘটনায় রাতে কোতয়ালি থানায় মামলা হয়েছে ।
আটক আসামিদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা হয়েছে ও তাদেরকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। আটক মাছ রাব্বির বিরুদ্ধে কোতয়ালি থানায় ৭টি মামলা,রয়েছে। দাগি ও দাগী ওপলাতক আসামিদের মধ্যে সুমন হোসেন ওরফে ট্যাটু সুমনের বিরুদ্ধে ১৪টি, হানিফের বিরুদ্ধে ৮টি, আল আমিনের বিরুদ্ধে ৭টি, রাজা হোসেন ওরফে পিচ্চি রাজার বিরুদ্ধে ১৬টি মামলা রয়েছে। #
যশোরে বাঘারপাড়ার মুক্তিযোদ্ধা ওসমান গনিকে রাষ্টীয় মর্যাদায় দাফন
বাঘারপাড়া উপজেলার সাইটখালি গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা ওসমান গনিকে রাষ্টীয় মর্যাদায় দাফন করা হয়েছে । গতকাল রোববার উপজেলা নির্বাহী অফিসার হোসনে আরাতন্নীর উপস্থিতিতে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. শাহাদাত হোসেনের নেতৃত্বে পুলিশ গার্ড অবঅনার প্রদান করেন। এদিন জোহর বাদ মৃতের জানাজা সাইট খালি কেন্দ্রীয় ঈদগাঁ ময়দানে অনুষ্ঠিত হয়। নামাজে জানাযা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।
গত ২ মার্চ শনিবার আনুমানিক সকাল ১০টায় কুমিল্লার সরকারি সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বীর মুক্তিযোদ্ধা মো.ওসমান গনি (৭৫) ইন্তেকাল করেন। ইন্না…. রাজিউন। মৃত্যু কালে তিনি ১ ছেলে ২ মেয়ে ও স্ত্রীসহ অসংখ্য আত্মীয় স্বজনও গুনগ্রাহী রেখে গেছেন। তার জানাযায় বাঘারপাড়া উপজেলার মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার সহ বিভিন্ন প্রশাসনের কর্মকর্তা ও জনপ্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
মণিরামপুরের কলেজ ছাত্র হত্যার বিচার দাবিতে মানববন্ধন
রাজশাহী বাগমারা উপজেলার, মরুগ্রাম ডাঙ্গাপাড়া গ্রামের বন্ধু মনোহর হোসেনের বাড়ীতে ২ ফেব্রুয়ারী বেড়াতে গিয়ে স্থানীয় সন্ত্রাসীদের হাতে নিহত হয় মণিরামপুরের রাকিব হোসেন। গতকাল রোববার সকালে মানববন্ধনে মা-বাবার আহাজারিতে নিস্তব্ধ হয়ে যায় মণিরামপুর সরকারী ডিগ্রি কলেজ প্রাঙ্গন।মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন নিহত রাকিব হোসেন পিতা শরিফুল ইসলাম, মা ফিরোজা বেগম,মণিরামপুর সরকারি কলেজের প্রভাষক ফিরোজ হোসেন প্রভাষক মোস্তাফিজুর রহমান, প্রভাষক উত্তম কুমার,বীর মুক্তিযুদ্ধা আ হামিদ উপজেলা ছাত্র লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এসএম বাপ্পি সহ শতশত শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসী। এসময় নিহতের ঘটনায় জড়িত সকল আসামিদের দ্রুত বিচার ও ফাঁসি দাবি তুলেন তারা।
মানববন্ধনে প্রভাষক ফিরোজ হোসেন নিরাপরাধ কলেজ ছাত্র রাকিব হোসেনের হত্যার সাথে জড়িত সন্ত্রাসীদের ফাঁসি দাবি করে প্রধানমন্ত্রীর নিকট আবেদন জানান।
বীর মুক্তিযোদ্ধা আ হামিদ প্রশাসনের ওপর অভিযোগ তুলে ধরে বলেন,নিহতের পিতা শরিফুল ইসলাম নাম দিয়ে মামলা করতে গেলেও স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন অভিযোগ কপিটি ছিড়ে ফেলেন এবং অজ্ঞাত হিসাবে অভিযোগ দিতে বাধ্য করে।নিরুপায় হয়ে নিহতের বাবা রাজশাহী আমলী আদালত বাগমারা থানায় মামলা করলে গতকাল র্যাব গাজীপুর থেকে দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে। আমরা মণিরামপুরবাসী সকল আসামিকে আটক পূর্বক দ্রুত বিচার সম্পন্ন করে ফাঁসি রায় কার্যকর দাবি জানায়।
বাঘারপাড়ায় কেরাম বোর্ড খেলা নিয়ে তর্ক বিতর্কে একজনকে ছুরিকাঘাত
যশোর অফিস যশোরের বাঘারপাড়ায় ক্যারাম খেলা নিয়ে বিতর্কের জেরে ছুরিকাঘাতে রিয়াজুল ইসলাম (৩৫) নামে এক যুবক আহত হয়েছেন। ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার রাতে বাঘারপাড়া কৃষ্ণনগর পশ্চিমপাড়া বিল্লালের চায়ের দোকানে। তিনি ওই এলাকার বাসিন্দা।
আহত রিয়াজুল বলেন, ক্যারাম খেলা নিয়ে বিতর্কের জেরে একই এলাকার সুমন মন্ডলের সার্থে তর্কবিতর্ক হয়। একপর্যায়ে সে তাকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। আত্মীয়-স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে যশোর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল নিয়ে আসে।
হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক বিচিত্র মল্লিক জানান, তার পেটে ছুরিকাঘাতের চিহ্ন রয়েছে। শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক হাওয়ায় তাকে উন্নতচিকিৎসার জন্য ঢাকায় রেফার করা হয়েছে।