শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডেতে ব্যাটিং বিপর্যয় সামলে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও মুশফিকুর রহিমের সঙ্গে দুর্দান্ত জুটিতে দলকে জয় এনে দেন শান্ত। বুধবার চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের প্রথমটিতে লঙ্কাকে ছয় উইকেটে হারিয়েছে বাংলাদেশ। শুরুতে ব্যাট করতে নেমে ২৫৫ রানে অলআউট হযে যায় সফরকারীরা। রান তাড়ায় নেমে শুরুতে উইকেট হারিয়ে কিছুটা চাপে পড়লেও পরে ৪৪ ওভার চার খেলে জয় তুলে নেয় বাংলাদেশ।
অধিনায়ক শান্তর ব্যাট থেকে আসে অপরাজিত ১২২ রান। অপরদিকে মুশফিকুর রহিমের অপরাজিত ছিলেন ৭৩ রানে। টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ভাল শুরু পায় শ্রীলঙ্কা। দুই ওপেনার পাথুম নিশাঙ্কা ও আভিস্কা ফার্নান্দো খেলছিলেন হাত খুলে। তানজিম হাসান সাকিব নিজের দ্বিতীয় ওভার করতে এসে আভিস্কার উইকেট তুলে নেন। পাঁচটি চার ও একটি ছক্কায় ৩৩ বলে ৩৩ রান করেন আভিস্কা। তাকে ফিরিয়েই থামেননি তানজিম সাকিব, নিজের পরের দুই ওভারে আরও দুই ব্যাটারকে ফিরিয়ে দেন।
পাঁচটি চার ও একটি ছক্কায় ২৮ বলে ৩৬ রান করেন নিশাঙ্কা। ১৩ রানের ভেতর তিন উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে যায় শ্রীলঙ্কা। তাদের রানের গতিও কমে যায়। ৩৭ বলে ১৮ রান করা চারিথ আশালাঙ্কাকে বোল্ড করেন মেহেদী হাসান মিরাজ। পরে কুশল মেন্ডিস হাল ধরেন জেনিথ লিয়ানগের সঙ্গে। তাদের ৬৮ বলে ৬৯ রানের জুটি ভাঙেন তাসকিন আহমেদ।
কুশল মেন্ডিস আউট হওয়ার আগে পাঁচটি চার ও একটি ছক্কায় ৭৫ বলে ৫৯ রান করেন তিনি। আরেক প্রান্তে ঠিকই টিকে থাকেন জানিথ। তিনি হাফ সেঞ্চুরি করলেও ইনিংসটা অবশ্য শেষ করে আসতে পারেননি। ৬৯ বলে ৬৭ রান করে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন তিনি।
এর আগেই ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা ও মাহেশ থিকসেনাকে ফিরিয়ে শেষদিকে শ্রীলঙ্কার বড় রান করে ফেলার শঙ্কা অনেকটাই কমিয়ে দিয়েছিলেন তাসকিন। বাংলাদেশ যদিও ইনিংসটা শেষ করেছে অস্বস্তি নিয়েই। আট ওভার চার বলে ৪৪ রান দিয়ে তিন উইকেট নেন তানজিম, তিন উইকেট পাওয়া তাসকিন ১০ ওভারে ৬০ রান দেন, শরিফুলও তিনটি উইকেট নিয়েছেন।
রান তাড়ায় নেমে শুরুটা ভালো হয়নি বাংলাদেশের। মাদুশাঙ্কার করা ইনিংসের প্রথম বলেই বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফেরত যান লিটন দাস। তাওহীদ হৃদয়ও ফেরেন আট বলে ৩ রান করে প্রামোদ মাদুসানের বলে বোল্ড হয়ে। ২৩ রানে তিন উইকেট হারিয়ে হারের শঙ্কা ভর করে বাংলাদেশের। কিন্তু তিন নম্বরে খেলতে নামা অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত ছিলেন ঠান্ডা মেজাজে।
দু’টি বড় জুটি গড়ে দলকে জয়ের দিকে নিয়ে যান শান্ত। প্রথমে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের সঙ্গে ৬২ বলে ৬৯ রানের জুটি গড়েন শান্ত। ৩৭ বলে ৩৭ রান করে মাদুশাঙ্কার দুর্দান্ত ক্যাচের শিকার হয়ে কুমারার বলে আউট হন রিয়াদ।
কিন্তু শান্ত খেলতে থাকেন দেখেশুনে। নতুন সঙ্গী মুশফিকুর রহিমও রান এগিয়ে যান দারুণভাবে, তিনি ছুয়ে ফেলেন হাফ সেঞ্চুরি। শান্ত অধিনায়ক হিসেবে প্রথম সেঞ্চুরির দেখা পান। সব মিলিয়ে ওয়ানডেতে এটি তার তৃতীয় সেঞ্চুরি।